ফাগুনে আগুন লাগিয়ে যে পথ এঁকে বেঁকে চলে গেছে ওই সুদূরে , প্রোষিতভর্তৃকা জানালার পাশে দাঁড়ায়ে প্রতিক্ষায় দিন গোনে । মুখ থমথম চোখ ছলছল ঝাপসা দৃষ্টি মনের আকুতি পলাশ মল্লিকা যূথি শুধায় সবারে দেখেছ কি তারে ? দু আঁখিতে জোয়ারের ঢল পবন হিল্লোল দোলা দেয় মন চন্দন সুবাস , বিরহী সুদূর পিয়াস মনে মিলনের আশ । দিন যায় রাত আসে নিশুতি আঁধার শয্যায় মেশে প্রোষিতভর্তৃকা বসে থাকে জানালার পাশে । এই ফাগুনে প্রিয় যে তার পরবাসে । Abhijit DeyMyself Abhijit Dey, from kolkata. I work with Trans technologies Thermal Pvt.…
Read MoreTag: bengali poem
বসতি
সময় মতো দুজনের দেখা হলো দেখা মাত্রই প্রেমে ভেজা দুটি চোখ আবেশ এ বিভোর । চাঁদের নয়নে হাত চাপা দেয় এক রাশ মেঘ সেই ফাঁকে উষ্ণতার খোঁজে ভালোবাসা র বুকে মাথা রাখতে উদগ্রীব । হাতছানি দিয়ে ডাকে প্রেম , ঝড়ের গতিতে জল প্রপাত পাথরের বুকে আছড়ে পড়ে তার দয়িত এর জন্য । ঘন উষ্ণতার আদরে ঘনিভুত হয় এক ঘূর্ণাবর্ত, হারিয়ে যায় দহে ঘূর্ণাবর্তে র গহ্বরে । যেখানে আদি নেই, নেই অন্ত আছে শুধু শাশ্বত প্রেম । ভালোবাসার মিলনে নব জন্ম হয় নদীর । সম্ভোগ শেষে নদী এঁকে বেঁকে বয়ে চলে…
Read Moreওই দ্যাখো!
ওই দ্যাখো! চেয়ে আছে সে- শতাব্দীর সর্বসেরা বিবর্তনকে প্রত্যক্ষ করে নিচ্ছে কুলপির প্রতিটা কামড়ের সাথে সাথে, জরিপ করছে মনে মনে- নিজেকে আর কতটা অভিযোজিত করতে হবে সমাজের কাছে….. Kusum PalName:Kusum Pal. Studies: Anthropology Honours. College: Contai Prabhat Kumar college. Lives in: Contai,East Medinipur. Interested in: photography and writing poems/stories.More Posts
Read Moreস্মৃতি
স্মৃতি আসে,স্মৃতি যায়, কিছু হাসি কান্নায়, জীবন এগিয়ে চলে সময়ের স্রোত ধরে।। স্মৃতির নৌকা লাগে জীবন স্রোতের ধারে।। স্মৃতি কে সুধাই আমি।। কেন পিছু ছাড়ো না? কেন দূরে যাও না? স্মৃতি শুধু হাসে,তবু ফিরে যায়না। স্মৃতি, স্মৃতি, স্মৃতি।। জীবনের প্রতিটি বাঁকে ছড়ানো আছে, আজস্র স্মৃতি।। কিছু কথার,কিছু গানের। কিছু ভুলে যাওয়া অভিমানের। আজ তারা সবই ইতিহাস, আর কিছু সময়ের পরিহাস। তবু স্মৃতি আসে, স্মৃতি যায়। জীবন এর এই রঙ বদলানো, নাগরদোলায়।। Debmita MitraMyself Debmita Mitra, from Kolkata. Now working in Infinitude Global as a Marketing Exec. I love to be…
Read Moreদশটি দ্বিপদী
(১) “স্থানু” সে জানে না সময়, জানে না জোয়ার ভাঁটা দেখেনা চেয়ে সে ঘড়ির অস্থির কাঁটা ।। * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * (২) “অন্তর্ঘাত” হয়ে চলে গোপনে গোপনে রক্তে নিবিষ্ট অন্তর্ঘাত হিম স্রোত খুঁড়ে যায় দুস্তর পাথর ছড়ানো খাত । * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * *…
Read Moreকৃষ্ণকলি
তোমায় আমি বলছি,- তুমি শুনছো কৃষ্ণকলি? শরত্ মেঘের আড়াল থেকে অতলস্পর্শী দুইটি চোখে আজও আমি তোমায় দেখি নিষ্পলকে। ছেঁড়া মেঘের ফাঁকটি দিয়ে সূর্য যখন ঝাপটে পড়ে তোমার গায়ে। লাজে ঘেরা মুখটি তোমার রামধনু রঙ ধরে। তখন আমি তোমায় দেখি নিষ্পলকে। গেরুয়া রাঙা বিকেল বেলায় নদীর পাড়ে, দামাল বাতাস দুষ্টুমিতে, যখন তোমার ওড়না খানা উড়িয়ে নেয়। লজ্জা পেয়ে কৃষ্ণকলি তুমি যখন হাতটি দিয়ে মুখটি ঢাকো, তখন আমি তোমায় দেখি দুষ্টু চোখে। পাগল করা কালো চুলে কৃষ্ণকলি যখন তুমি আকাশ ঢাকার চেষ্টা করো। তখন আমি দুইটি আঁখি বন্ধ করে ওতপেতে রই তোমার…
Read Moreনিরাভরণ
অহংকার আমার রক্তে তোমার সুর বাজে । বড়ই ক্লান্ত আমি তোমার সুরের ওই মূর্ছনাতে । আজ সমস্ত অহংকার ঝেড়ে ফেলে ছুটি দিলাম তোমাকে, জানালাম চির বিদায় । মুকুরে র সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখলাম, কেমন লাগছে নিরাভরণ নিজেকে !! জিজ্ঞেস করলাম কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলে তুমি ?কেমন করে ছিলাম আমি তোমাকে ভুলে ? তুমি পিঠে হাত বুলিয়ে বললে , ছিলাম আমি ছোট্ট ছায়া হয়ে তোমারি পাশে পাশে । অহংকারে মত্ত তুমি খোঁজনি আমাকে । আজ তুমি নিরাভরণ , তাই এসেছি সহজ মানুষের অলংকার তোমার শরীরে একটি একটি করে পরাতে। Jharna Mukherjeeঝর্ণা মুখার্জী…
Read Moreনদীটা
তির তির করে বয়ে চলেছে নদীটা । মৃদু মন্দ ছন্দে সন্ধ্যে হয়ে আসছে । কাছে দূরে পাহাডের রং বদলাচ্ছে ।সবুজ থেকে গাঢ় সবুজ ….তারপর কালচে সবুজ । পশ্চিমাকাশের সিঁদূর টিপটা একটু গড়িমসি করছে লম্বা পাড়ি দেওয়ার জন্য । প্রকৃতি …পাহাড় নদী সমুদ্র আমায় খুব টানে ….আমার খুব আপন মনে হয় এদের …ওরা আমার মনকে কখনো খারাপ হতে দেয় না এরা থাকে এদের নিজের নিয়মে ….তাই মিশে যেতে ইচ্ছে করে এই প্রকৃতির কোলে ….পাখী হয়ে উড়ে যেতে ইচ্ছে হয় সীমাহীন আকাশের নীলিমায় ….আবার আঁকাবাঁকা পথ ধরে কোন এক নিরুদ্দেশের দিকে ধান ক্ষেতের…
Read Moreতোমার পুরুষ
তোমার পাপহীন সংসারে অপরাধ কড়া নাড়ছে রোজ লাল পেড়ে কাপড়ে লেগেছে কালো ছায়ার নির্বিকার রূপ চুপিচুপি তোমার তুলসি মঞ্চে আরও একজন নারী প্রণাম ঠোকে সন্ধ্যাবেলা তোমার পরিচিত পুরুষ গন্ধ আজ সেই নারীর বহুল পরিচিত। আয়নায় আঁকো সিঁথি জুড়ে লাল টকটকে সিঁদুর শরীরের ভাঁজে তোমার দামী আতরের আবাস সেই নারীও আতর মাখে স্বেচ্ছায় পুরুষ নিকোটিনের অন্য রকম আবছায়ায়।সমাজ নাম দিতে জানে সম্পর্কের বয়সে টানতে পারে বেপরোয়া গণ্ডি সমাজ নরীকে বহুবার “নষ্ট” করে অথচ ভালোবাসায় সেই নারীও স্বাধীন।লজ্জা করে পরস্বামীর প্রেমিকা হতে ভয় করে তোমার অজান্তে তাঁকে ভীষণ ভালোবাসতে চাই না আমার…
Read Moreথমকে দাঁড়াই
আমার শহর কাঠফাটা রোদে জ্বলে পুড়ে খাঁক হয়ে যায়, তাই মাঝে মাঝে বৃষ্টিদানারা এসে স্নান করিয়ে দিয়ে যায় আদর করে, আবার বেঁচে ওঠে আমার এই শহর, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সুখ দুঃখকে গায়ে মাখতে, তাই আমিও এক একবার হঠাৎই থমকে দাঁড়াই- এ শহরের সংগ্রামের তীব্রতাকে মেপে টেপে নি, উদ্দেশ্যহীন ভাবে গলিঘুচিতে খুঁজে বেড়াই শান্তির আবেশ… Kusum PalName:Kusum Pal. Studies: Anthropology Honours. College: Contai Prabhat Kumar college. Lives in: Contai,East Medinipur. Interested in: photography and writing poems/stories.More Posts
Read More