খুব অসময়ের বৃষ্টি …. সকাল থেকে ছিপছিপ করে পরেই চলেছে ….থামবার নামটুকু নেই …. টিয়া গুগল এ একবার ওয়েদার ফোরকাস্টিং টা চেক করলো … ওরে বাবা …. এত বলছে নেক্সট চার দিন এমন ই চলবে ….এই নভেম্বর এর মাঝে এমন বৃষ্টি ভালো লাগে !হাল্কা ঠান্ডা ও পড়েছে ….টিয়ার মন টা খারাপ হয়ে গেল …. বেশ একটা টানা ছুটি পেয়েছিল সে … অর্ক ও … ভাবছিল এই সুযোগে একটু যদি কাছে পিঠে ঘুরে আসা যেত … কিন্তু এমন ওয়েদার থাকলে গিয়ে লাভ নেই …..
অর্ক আজ এখনো ফেরেনি অফিস থেকে … বোধহয় টানা চার দিন ছুটি … তাই শেষ আওয়ার অব্দি কাজ করছে … একদম কাজ পাগল ছেলেটা ….টিয়া অনেক ভেবে একটু খিচুরী ই বসিয়ে দিলো … এই বৃষ্টি তে মন্দ হবে না …..
টিং টং …
এই এলো তাহলে ….
দরজা খুলতেই টিয়া অবাক …” ওমা নয়ন দা যে ….. এই বৃষ্টি তে কোথা থেকে তুমি উদয় হলে !!”
– ঘরে ঢুকতে দিবি ?
– আরে এসো এসো ….একটু কফি করি ?
– নাহ ….অর্ক কোথায় ?
– তোমার বন্ধুকে তুমি চেনো না !! কেমন কাজ পাগল ছেলে ও !!
– হুম ….
– কি হয়েছে গো নয়ন দা ! এত গম্ভীর তুমি ! আমার স্বাতী র সাথে ঝগড়া করেছো !
– ধুর … ওটা তো একটা পাগলি … ওর সাথে আর কি ঝগড়া করবো !
– উহু … কিছু তো হয়েইছে …ফোন করবো আমি স্বাতি কে ?
– পাগলামো করিস না টিয়া ….আমি এমনি একটু তোদের সাথে দেখা করতে আসতে পারি না !হয়তো দেখা গেলো এটাই শেষ দেখা …হা হা.
– এই জন্যই স্বাতি তোমার ওপর রাগ করে জানোতো নয়ন দা … তুমি এতো বাজে কথা বোলো … ভালো লাগে না ….
– ওরে টিয়া বোন আমার ….রাগ করছিস কেন !আমি তো একটু মজা করলাম ….আসলে আমি তোকে একটা কথা বলতে এসেছি
– তা এটা বললেই হয় …বলো কি কথা …
– আমি এবার ফোঁটা নিতে আসতে পারবো না রে ….
টিয়ার চোখে মুহুর্তে জল ভরে উঠলো ….,” তা আসতে পারবে কেন !!আমি কি তোমার নিজের বোন !”
– তুই আমার নিজের থেকেও আপন … তাই তো এত কষ্ট করেও তোকে বলতে এলাম ….আমাকে আজকেই চলে যেতে হচ্ছে রে …
– কোথায় ? দেশে র মধ্যে না বাইরে ? সারা বছরে যে কতবার ট্যুর এ যাও ….
– বাইরে রে …. তুই এক কাজ করিস …. আমার ফটো তে ফোঁটা দিয়ে দিস ….
– বাজে কথা রাখো … আমি স্কাইপ এ কল করে তোমায় ফোঁটা দেবো ..
– কি জানি পাবি কিনা … তার চেয়ে ফটো তে দিয়ে দিস ….টিং টং ….
এলেন তোমার বন্ধু …
– তুই দরজা খোল … আমি একটু ব্যালকনি তে সিগারেট খেয়ে আসছি ….দরজা খুলতেই অর্ক র বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে টিয়া ভয় পেয়ে গেল …
– কিগো … কি হয়েছে তোমার !! শরীর খারাপ !! সারাদিন কতবার ফোন করলাম ….একবার ও ধরলে না … আমি ভাবলাম চার দিন ছুটি ….তাই খুব ব্যস্ত বোধহয় ….
– একটু জল দেবে টিয়া …
– এ আবার কি কথা !! তুমি বসো … আমি আনছি …
জল টা একঢোকে শেষ করে অর্ক বললো … কি রান্না করেছো ?
– খিচুরী …. খুব খিদে পেয়েছে বুঝি …. তুমি হাত পা ধোও … আমি সবার জন্য ই বারছি ….
– আমার খিদে নেই …. তুমি খেয়ে নাও টিয়া ….
– এটা কি বলছো তুমি !!কি হয়েছে তোমার !!কাজ করে করে তুমি কি নিজেকে শেষ করে দেবে !নয়ন দা……
– তুমি কি করে জানলে !! কে বললো তোমায় !!
– কি জানলাম !! কে কি বলবে আমায় !! কি হয়েছে অর্ক তোমার !!
– টিয়া আমি জানি তুমি এভাবেই রিয়াক্ট করবে … তাই আমি না আসা অব্দি তোমায় কিছু জানাতে চাইনি … কিন্তু কে জানালো তোমায় !বি স্টেডি সোনা ….এমন পাগলামো করো না ….”
– অর্ক পাগলামো আমি করছি না … করছো তুমি …. নয়ন দা এস না একটু এদিকে … কতক্ষণ লাগে তোমার সিগারেট খেতে !!দেখো না তোমার বন্ধুর কি হয়েছে ….
– টিয়া প্লিজ ….শান্ত হও …
– শান্ত !! ….. নয়ন দা ….
– কোথা থেকে নয়ন আসবে !! ও তো আজ দুপুরে রোড এক্সিডেন্ট এ স্পট ডেড ….
– অর্ক পাগলামো করো না …. নয়ন দা ব্যালকনি তে ….
টিয়া ছুটে গেল ব্যালকনি তে …. কেউ কোত্থাও নেই …..টিয়া শুয়ে আছে ….. খুব আবছা সে শুনতে পেল অর্ক কাকে যেন বলছে … ” আমি জানতাম ও জানলেই এমন কিছু একটা হবে … মায়ের পেটের ভাই বোন ওরা নয়তো কি …. তাই আমি ফিরেই ওকে জানাতে চেয়েছিলাম ….কিন্তু কে যে আগে ওকে জানালো !!!!
– কোথায় ও ? কি করছে ?
– ব্যালকনি তে পড়ে যাবার পর কোনরকমে বিছানায় নিয়ে এসেছিলাম …. ডাক্তার ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছে …এখন ঘুমোচ্ছে …..
চিত্কার করে বলতে গেল টিয়া …… ” বিশ্বাস করো নয়নদা এসেছিল ….আমরা কতক্ষণ গল্প করলাম ….তোমাদের কোথাও ভুল হচ্ছে …..”
চোখ পড়ে গেলো ওয়াল এ ঝোলানো ফ্যামিলি ফটোর মাঝখান থেকে নয়নদার হাসি মুখটাতে …..
– আমার ফটো তেই এবার ফোঁটা টা দিস …..কে যেন ফিসফিসিয়ে বলে গেলো কানের পাশে …..
অর্ক আজ এখনো ফেরেনি অফিস থেকে … বোধহয় টানা চার দিন ছুটি … তাই শেষ আওয়ার অব্দি কাজ করছে … একদম কাজ পাগল ছেলেটা ….টিয়া অনেক ভেবে একটু খিচুরী ই বসিয়ে দিলো … এই বৃষ্টি তে মন্দ হবে না …..
টিং টং …
এই এলো তাহলে ….
দরজা খুলতেই টিয়া অবাক …” ওমা নয়ন দা যে ….. এই বৃষ্টি তে কোথা থেকে তুমি উদয় হলে !!”
– ঘরে ঢুকতে দিবি ?
– আরে এসো এসো ….একটু কফি করি ?
– নাহ ….অর্ক কোথায় ?
– তোমার বন্ধুকে তুমি চেনো না !! কেমন কাজ পাগল ছেলে ও !!
– হুম ….
– কি হয়েছে গো নয়ন দা ! এত গম্ভীর তুমি ! আমার স্বাতী র সাথে ঝগড়া করেছো !
– ধুর … ওটা তো একটা পাগলি … ওর সাথে আর কি ঝগড়া করবো !
– উহু … কিছু তো হয়েইছে …ফোন করবো আমি স্বাতি কে ?
– পাগলামো করিস না টিয়া ….আমি এমনি একটু তোদের সাথে দেখা করতে আসতে পারি না !হয়তো দেখা গেলো এটাই শেষ দেখা …হা হা.
– এই জন্যই স্বাতি তোমার ওপর রাগ করে জানোতো নয়ন দা … তুমি এতো বাজে কথা বোলো … ভালো লাগে না ….
– ওরে টিয়া বোন আমার ….রাগ করছিস কেন !আমি তো একটু মজা করলাম ….আসলে আমি তোকে একটা কথা বলতে এসেছি
– তা এটা বললেই হয় …বলো কি কথা …
– আমি এবার ফোঁটা নিতে আসতে পারবো না রে ….
টিয়ার চোখে মুহুর্তে জল ভরে উঠলো ….,” তা আসতে পারবে কেন !!আমি কি তোমার নিজের বোন !”
– তুই আমার নিজের থেকেও আপন … তাই তো এত কষ্ট করেও তোকে বলতে এলাম ….আমাকে আজকেই চলে যেতে হচ্ছে রে …
– কোথায় ? দেশে র মধ্যে না বাইরে ? সারা বছরে যে কতবার ট্যুর এ যাও ….
– বাইরে রে …. তুই এক কাজ করিস …. আমার ফটো তে ফোঁটা দিয়ে দিস ….
– বাজে কথা রাখো … আমি স্কাইপ এ কল করে তোমায় ফোঁটা দেবো ..
– কি জানি পাবি কিনা … তার চেয়ে ফটো তে দিয়ে দিস ….টিং টং ….
এলেন তোমার বন্ধু …
– তুই দরজা খোল … আমি একটু ব্যালকনি তে সিগারেট খেয়ে আসছি ….দরজা খুলতেই অর্ক র বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে টিয়া ভয় পেয়ে গেল …
– কিগো … কি হয়েছে তোমার !! শরীর খারাপ !! সারাদিন কতবার ফোন করলাম ….একবার ও ধরলে না … আমি ভাবলাম চার দিন ছুটি ….তাই খুব ব্যস্ত বোধহয় ….
– একটু জল দেবে টিয়া …
– এ আবার কি কথা !! তুমি বসো … আমি আনছি …
জল টা একঢোকে শেষ করে অর্ক বললো … কি রান্না করেছো ?
– খিচুরী …. খুব খিদে পেয়েছে বুঝি …. তুমি হাত পা ধোও … আমি সবার জন্য ই বারছি ….
– আমার খিদে নেই …. তুমি খেয়ে নাও টিয়া ….
– এটা কি বলছো তুমি !!কি হয়েছে তোমার !!কাজ করে করে তুমি কি নিজেকে শেষ করে দেবে !নয়ন দা……
– তুমি কি করে জানলে !! কে বললো তোমায় !!
– কি জানলাম !! কে কি বলবে আমায় !! কি হয়েছে অর্ক তোমার !!
– টিয়া আমি জানি তুমি এভাবেই রিয়াক্ট করবে … তাই আমি না আসা অব্দি তোমায় কিছু জানাতে চাইনি … কিন্তু কে জানালো তোমায় !বি স্টেডি সোনা ….এমন পাগলামো করো না ….”
– অর্ক পাগলামো আমি করছি না … করছো তুমি …. নয়ন দা এস না একটু এদিকে … কতক্ষণ লাগে তোমার সিগারেট খেতে !!দেখো না তোমার বন্ধুর কি হয়েছে ….
– টিয়া প্লিজ ….শান্ত হও …
– শান্ত !! ….. নয়ন দা ….
– কোথা থেকে নয়ন আসবে !! ও তো আজ দুপুরে রোড এক্সিডেন্ট এ স্পট ডেড ….
– অর্ক পাগলামো করো না …. নয়ন দা ব্যালকনি তে ….
টিয়া ছুটে গেল ব্যালকনি তে …. কেউ কোত্থাও নেই …..টিয়া শুয়ে আছে ….. খুব আবছা সে শুনতে পেল অর্ক কাকে যেন বলছে … ” আমি জানতাম ও জানলেই এমন কিছু একটা হবে … মায়ের পেটের ভাই বোন ওরা নয়তো কি …. তাই আমি ফিরেই ওকে জানাতে চেয়েছিলাম ….কিন্তু কে যে আগে ওকে জানালো !!!!
– কোথায় ও ? কি করছে ?
– ব্যালকনি তে পড়ে যাবার পর কোনরকমে বিছানায় নিয়ে এসেছিলাম …. ডাক্তার ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছে …এখন ঘুমোচ্ছে …..
চিত্কার করে বলতে গেল টিয়া …… ” বিশ্বাস করো নয়নদা এসেছিল ….আমরা কতক্ষণ গল্প করলাম ….তোমাদের কোথাও ভুল হচ্ছে …..”
চোখ পড়ে গেলো ওয়াল এ ঝোলানো ফ্যামিলি ফটোর মাঝখান থেকে নয়নদার হাসি মুখটাতে …..
– আমার ফটো তেই এবার ফোঁটা টা দিস …..কে যেন ফিসফিসিয়ে বলে গেলো কানের পাশে …..

Bhari sundor. Mon bhore gelo.
Aro golpo chai.
Ache… emon ghotonar nojir sotti ache.
Bhalo laglo.