যাও যাও গিরিবর হে আনো মেয়ে নন্দিনী ভবনে, আমি দেখিতে পাহিয়াছি গৌরীরূপ আমারো স্বপনে, মস্তে পরিয়া রাজমুকুট; নাসিকা সজ্জিত কাঞ্চন নথে, বসে আছে হে আমার উমা পশম আসনে, যাও যাও গিরিবর হে আনো মেয়ে নন্দিনী ভবনে, ভাঙ্গর ভিখারী জামাই তোমার ওরে দুখ বিলাছে দিবানিশি, আমি দেখেছি সপনে নারদ বচনে জয়া কাঁদিছে মা মা করি; হইয়া আবেশী, সোনার বরন দূর্গা আমার শোকেতে হইয়াছে কয়লা, উমার যত বসন ভূষণ বেচে মাতাল হয়েছে বেয়াড়া ভোলা| Kusum PalName:Kusum Pal. Studies: Anthropology Honours. College: Contai Prabhat Kumar college. Lives in: Contai,East Medinipur. Interested in: photography…
Read MoreCategory: কবিতা
বাঁশিওয়ালা
তোমার বাঁশির আধভেজা সুরআনমনে পথ চলছিলো, তারহাত ধরেছি, হাতের ভেতরমুখ লুকিয়ে, ভেজা পাতারচোখের জলে তোমায় দেখি। দেখি, তুমি ডাকছ আমায় হাতছানিতেআধসারা কাজ রইল পড়েচলতে থাকে নেশার ঘোরে,টানছো আমায়, চলছি ভেসে বানভাসি,না জানি কোন সমুদ্দুরে যাচ্ছি চলেযাচ্ছে নিয়ে যাচ্ছে নিয়েঅরফিয়ুসের ঐ বাঁশি।
Read More” অযাচিত ভালোবাসা ”
ভালোবাসা তোকে দিলাম আমার ভালোবাসা ; তুই চাস নি, তবুও দিলাম অযাচিত ভালোবাসা । চরিত্রহীন ভেবে, তোর চোখে চরিত্রহীনতার ছায়া দেখলাম ; তবুও আমি তোকে দিলাম ; আমার ভালোবাসা । দিন যায় , কালে কালে পৃথিবীর অধর সীমায় নেমে আসে তোর অধর । দু হাত ভরে তোর হাতে একমুঠো জোনাকি তুলে দিলাম ; এক নিমেষেই দিলি উড়িয়ে ।তবুও দিলাম অযাচিত ভালোবাসা; ভালোবাসা তোকে । ওই যে দূরে বিষবৃক্ষের ছায়ায় আমার স্বপ্নের বাসা ।অনুতাপের আগুনে যদি কোনদিন ফুল হয়ে ঝরে পড়িস আমার আঙ্গিনাতে সযতনে কুড়িয়ে নেব আমার আঁচলে । ভালোবাসা তোকে…
Read Moreআজকে হঠাৎ…
আজকে হঠাৎ অজানা এক আজব কাণ্ড হল, ট্রেনে করে ফিরছি দেখি আকাশ ছলছল । রক্তকরবী মেঘ এল, ঈশাণ হল কালো, বারিধারা সপ্তসুরে অশান্ত রাগ সুধাল। আমি বললাম ‘এখানে কেন ? যা না কোন দূর রেগিস্তানে’, বৃষ্টিমামার বেজায় গোঁসা এহেন তড়িৎ প্রস্হানে । কানের কাছে ফিসফিসিয়ে কঠিন তার প্রশ্ন, লড়াই আজ তো পেটের জন্য, কোথায় আজ স্বপ্ন ? বরুনদেবের বাক্যশূলে বিদ্ধ হল হৃদয়, অশ্রু হল ফল্গুধারা, ঘনিয়ে এল ভয় । অপাংক্তেয় এ দৃষ্টি আমার ব্যাকুল হল আজ, সত্য এ বর্ষাবাণী, কিসের তরে কাজ ? তীব্র হল বর্ষণ, কাঁপল মনের বল, আমার…
Read Moreদুরবীক্ষণ
দুরবীন দিয়ে দেখেছি তোমায় তোমার চশমার গ্লাস, ভ্রুভঙ্গি কপালে অগোছাল চুল, ঠোঁটে চাপা সিগারেট এবং অস্থির হাতের মুদ্রা এ সবই একটু একটু করে এখন তোমাকে গড়েছে কিশোরীর প্রেম ছুঁয়েছিল যে হাতে, তা তখন ধরেছে মাইক্রোফোন, ব্যারিটোন ছড়িয়েছে মিডিয়ার শিরায় শানিত বাক্য, চশমার ফাঁকে তীক্ষ্ণ চাহনি বয়ে আনছে অযুত তারিফ দুরবীন দিয়ে এসবই তোমার সঙ্গে দেখেছি যদিও আমার পাশেই বসে আছো, তবুও দুরবীন দিয়ে দেখছি তোমায় Anindita Basu Sanyalঅনিন্দিতা বসু সান্যালের পড়াশোনার বিষয় ভাষাতত্ব, কিন্তু ভালবাসার ভুবন বাংলার কাব্যচর্চা ও রবীন্দ্রসঙ্গীত। গত দু’দশক ধরে ছোটো বড় লিটিল ম্যাগাজিন, বড় পত্রিকায়…
Read Moreমন্থন
নীরবতা কত কথা বলে ছলে বলে অথবা কৌশলে অভিমানে সময় নিথর জলের উপরে যার ঘর তার কেন বানে জলে ভয় ফিরে আয় উধাও সময় সব পথ মুক গুঁজে আছে সময় এখানে অসহায় জমে থাকা জল নয় তবু আগুনের তাপে গলে যায় তার পর বুকে হেঁটে চলা দেখে শুধু রাত জাগা কবি ভূত হয়ে কথা ফিরে আসে জেগে ওঠে মৃত সব ছবি মুহূর্তকে টুকরো করে ছবি প্রথম প্রেমে সবাই বুঝি কবি শিকড় নীচে উপরে ডালপালা চোখের নীচে স্বপ্ন কথামালা কাজল রাতে জ্বালিয়ে রাখে দীপ সময় হ্রদে যেই ফেলেছি ছিপ খুঁজে পেলাম…
Read Moreঅভয়া
নাবালক তুমি তোমাকে মানায় নর পিশাচের বেশে.. যত খুশি খেল নৃশংস খেলা উড়িয়ে দেবই হেসে.. নও তো পিশাচ তুমি নিষ্পাপ শত খুন মাফ শেষে.. ছোট তুমি তাই পিশাচ সেজেছ যেমন খুশীর দেশে..তুমি ছোট তাই পবিত্র তুমি যোনি নিয়ে সাজে খেলা.. যতই তোমার অন্তরে থাক ঘৃণ্য কামের মেলা.. মন যে তোমার পূর্ণ হয়েছে শৌর্যে সাহসে কবে.. শরীর হয়েছে পূর্ণ বীর্যে তবু নাবালক সবে..তোমার কাছে তো যোনির অর্থ শুধুই জন্মদাত্রী.. বক্ষ মানে তো প্রথম সে নারী তোমার স্তনদাত্রী.. যোনিতে তোমার নিষ্ঠুর খেলা লৌহদন্ড হাতে.. ছিঁড়ে ফেল যত যোনির ভিতর বিকৃত সে আঘাতে..নিষ্পাপ…
Read Moreবিষাদ প্রতিমা
এতদিনের অপেক্ষার অবসানে তুই এলি….. কত আলো কত চমক চারিদিকে বিরাজ করছে সেই মহালয়াতে শুরু বীরেন জ্যেঠুর স্তোত্র দিয়ে সবার মনে কত খুশি মা আসছে মা আসছে হৈহৈ রৈরৈ ব্যাপার বাঁশ, কাপড়, বেত, শন সরা, ভাঁড়, ড্রাম আরও কত কি বিজ্ঞাপনের মুখ ঢাকছে আকাশ টিভির চ্যানেলে কান পাতা দায় যেন সবকিছুর অবসান সব সুজলাং সুফলাং সেই তুই এসেই গেলি কোথাও তোর মুখ ঢাকলো কাপড়ে কোথাও আলোর রোশনাই এবার তোর বিচারের পালা কত সেলিব্রিটি হাতে কলম খাতা গম্ভীর মুখ কি অদ্ভুত বিশ্লেষণ হে হে হে মা তোর বিচার হয়ে গেল কোথাও…
Read More|| দুর্গা কথা ||
শরতের শিউলিতে শীত মেয়ে কুয়াশার অনন্ত আকাশে দাঁড়িয়ে _ _ _ দশ নয় , নিরস্ত্র দুটি হাত মস্তিষ্কের ভূগোলে রাখে ত্রিনয়ন ঐ প্রতিবাদিনীর দিনযাপনে সমাজ কোঁচকায় কোমলে প্রবঞ্চনার কাব্য সন্ন্যাসী দৃষ্টি সরে গেলে , খাদকের তীক্ষ্ণ ঠোঁট ছোঁ মেরে তুলে নেয় _ মাতৃলিঙ্গ টুকরো টুকরো করে ছড়ায় নির্জনে , কোন নালার ধারে অদৃশ্য পীঠের সহস্র রক্ত ভেজা আখ্যান , দীর্ঘ দশমী | মৌসুমী ষড়ঙ্গী চক্রবর্তীআমি মৌসুমী ষড়ঙ্গী চক্রবর্তী ওরফে মনি ষড়ঙ্গী | বাংলা সাহিত্য নিয়ে এম,,এ পড়া সঙ্গে বি,এড | শিক্ষকতা ছেড়ে মুম্বাই আসা | কবিতা ও ছোট গল্প লিখতে…
Read Moreদূরত্ব
সেই কবে থেকে পথ হাঁটা শুরু। জানি না কতটা পথ হয়ে গেছে হাঁটা! তোমার হৃদয় পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে কখনো ভাবিনি এতটা অচেনা সেই পথ… স্পন্দনের ধ্বনিতে মিশে ছিল শুকনো পাতার শব্দের মতো একাকিত্ব। ভাবিনি। ভাবিনি….. এতোটা অতল নীলে ডুবে আছে তোমার গভীর নিলয়! এতো কাছাকাছি থাকা, তবুও এতোটা দূরের পথ। ছায়ায় ছায়া মিশে থাকা- তবু অচেনা হৃদয় গলি। ক্লান্তি যখন ঘুম বয়ে আনে তোমার অলিন্দের রক্ত স্রোতে…. ফিরবো বলে ভাবি। দেখি ফেরা-পথ… মুছে যায় একমুখী জীবন তোড়ে। Paulabi Guptaআমি পৌলবী।পেশায় শিক্ষক। অবসর সময়ে অক্ষরদের খুঁজে বেড়াই মনের অনুভূতি গুলোকে…
Read More