সতীত্বের সংকটে পড়ে বার বার অগ্নি পরীক্ষা দিয়েছিলে , সেই থেকে সতীত্বের সংকটে ভোগা শুরু । সৌমিত্রি বিরহে যুগ কাটিয়ে ত্যাগের দৃষ্টান্ত হলে । সেই থেকে ত্যাগের তকমা জুটল । মা বলেছিলেন , ভাগ কোরে খাও । তুমি পাঁচ স্বামী নিয়ে সংসার করলে , সেদিন থেকে আপসের সাথে সন্ধি । আমার সাথে তোমার নাম নেওয়া হবে । তুমি কলঙ্কের ভাগি হয়ে বাঁশির সুর হলে । অধিকার বিসর্জনের শুরু । সেদিন তোমরা যদি ‘না’ শব্দ টা বলতে , তবে আজকের ইতিহাস অন্য কথা বলতো । ‘না’ শব্দ সম্মানিত হোত । Jharna…
Read MoreAuthor: Jharna Mukherjee
বসতি
সময় মতো দুজনের দেখা হলো দেখা মাত্রই প্রেমে ভেজা দুটি চোখ আবেশ এ বিভোর । চাঁদের নয়নে হাত চাপা দেয় এক রাশ মেঘ সেই ফাঁকে উষ্ণতার খোঁজে ভালোবাসা র বুকে মাথা রাখতে উদগ্রীব । হাতছানি দিয়ে ডাকে প্রেম , ঝড়ের গতিতে জল প্রপাত পাথরের বুকে আছড়ে পড়ে তার দয়িত এর জন্য । ঘন উষ্ণতার আদরে ঘনিভুত হয় এক ঘূর্ণাবর্ত, হারিয়ে যায় দহে ঘূর্ণাবর্তে র গহ্বরে । যেখানে আদি নেই, নেই অন্ত আছে শুধু শাশ্বত প্রেম । ভালোবাসার মিলনে নব জন্ম হয় নদীর । সম্ভোগ শেষে নদী এঁকে বেঁকে বয়ে চলে…
Read Moreনিরাভরণ
অহংকার আমার রক্তে তোমার সুর বাজে । বড়ই ক্লান্ত আমি তোমার সুরের ওই মূর্ছনাতে । আজ সমস্ত অহংকার ঝেড়ে ফেলে ছুটি দিলাম তোমাকে, জানালাম চির বিদায় । মুকুরে র সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখলাম, কেমন লাগছে নিরাভরণ নিজেকে !! জিজ্ঞেস করলাম কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলে তুমি ?কেমন করে ছিলাম আমি তোমাকে ভুলে ? তুমি পিঠে হাত বুলিয়ে বললে , ছিলাম আমি ছোট্ট ছায়া হয়ে তোমারি পাশে পাশে । অহংকারে মত্ত তুমি খোঁজনি আমাকে । আজ তুমি নিরাভরণ , তাই এসেছি সহজ মানুষের অলংকার তোমার শরীরে একটি একটি করে পরাতে। Jharna Mukherjeeঝর্ণা মুখার্জী…
Read More” অযাচিত ভালোবাসা ”
ভালোবাসা তোকে দিলাম আমার ভালোবাসা ; তুই চাস নি, তবুও দিলাম অযাচিত ভালোবাসা । চরিত্রহীন ভেবে, তোর চোখে চরিত্রহীনতার ছায়া দেখলাম ; তবুও আমি তোকে দিলাম ; আমার ভালোবাসা । দিন যায় , কালে কালে পৃথিবীর অধর সীমায় নেমে আসে তোর অধর । দু হাত ভরে তোর হাতে একমুঠো জোনাকি তুলে দিলাম ; এক নিমেষেই দিলি উড়িয়ে ।তবুও দিলাম অযাচিত ভালোবাসা; ভালোবাসা তোকে । ওই যে দূরে বিষবৃক্ষের ছায়ায় আমার স্বপ্নের বাসা ।অনুতাপের আগুনে যদি কোনদিন ফুল হয়ে ঝরে পড়িস আমার আঙ্গিনাতে সযতনে কুড়িয়ে নেব আমার আঁচলে । ভালোবাসা তোকে…
Read More