কল্পনা চাওলা (১৭ই মার্চ, ১৯৬২ – ১লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৩)
১। ছোট বেলা থেকেই ডাকাবুকো কল্পনা সবার থেকে ছিল অন্যরকম। হরিয়ানার কারনাল গ্রামের মেয়েরা যেখানে ঘর গেরস্থালীর কাজ শিখে সংসারধর্ম করার জন্য তৈরি হত, সেখানে কল্পনা তার মায়ের সাহচর্যে নিজের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন কে জয় করার সাহস রেখেছিল।
২। কারনালে ছোটবেলার পড়াশোনার পাট চুকিয়ে সে ১৯৮২ সালে অ্যারোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যায় পাঞ্জাবে।যদিও, ক্লাসে কখন প্রথম হয় নি সে কিন্তু প্রথম পাঁচ জনের মধ্যে থাকত।
৩। ১৯৮২ সালে তার আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন তাকে নিয়ে যায় আরলিংটনের উনিভারসিটি অফ টেক্সাসে। সেখান থেকে ১৯৮৪ সালে সে Aerospace Engineering এ M.Sc ডিগ্রী পায় এবং ১৯৮৮ সালে কলোরাডো ইউনিভার্সিটি থেকে P.hD পাশ করে।
৪। অনেকেই হয়তো জানেন না, বাবা মা র দেওয়া নাম “মন্টো” নিজের ডাকনাম হিসেবে পছন্দ করে, নিজেই নিজের নাম রাখে “কল্পনা”।
৫। ছেলেদের সাথে ডজ বল আর ব্যাডমিন্টন খেলতে পছন্দ করত কল্পনা। এ ছাড়া প্রতিটা দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার ছিল তার কুক্ষিগত।
৬। ১৯৮৩ সালে ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর Jean-Pierre-Harrison এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় কল্পনা।
৭। কমার্শিয়াল পাইলট এর লাইসেন্স ছাড়াও কল্পনার গ্লাইড এরোপ্লেন এর ফ্লাইট ইন্সট্রাক্টর এর লাইসেন্স ও ছিল।
৮। ১৯৯৩ তে কল্পনা, NASA র Computational Fluid Dynamics (CFD) র প্রোজেক্ট এর ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কাজ শুরু করে।
৮। ১৯৯৯ সালে সে US এর নাগরিকত্ব লাভ করে এবং NASA র Astronaut Corps Membership-এর জন্য আবেদন করে।
৯। ১৯৯৬ সালে কল্পনা তার জীবনে প্রথমবার আকাশ যাত্রা করে এবং ১০.৬৭ মিলিয়ন কিলমিটার অতিক্রম করে।
১০। ১লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৩ – স্পেস শাটল কলম্বিয়া বায়ুমণ্ডলে পুনঃ প্রবেশ করার সময় টেক্সাসের কাছে ধ্বংস হয়ে যায় – সে দিন ৬ জন নভোচারীর সাথে কল্পনা ও মহাকাশে বিলীন হয়ে যায়।
প্রকৃত অর্থেই কল্পনা নিজের আকাশ ছোঁয়ার শুধু স্বপ্ন পুরন করে নি…… নিজেই আকাশে মিলিয়ে গেছে।
কল্পনা, প্রথম আকাশ যাত্রার পর বলেছিল – “when you look at the stars and the galaxy, you feel that you are not just from any particular piece of land, but from the solar system”.