প্রেমে – অপ্রেমে দূর্গাপুর

গভীর অন্ধকারে, যখন সবাই ঘুমের দেশে, তখন, ছোট ছোট শহরের মত, রাতের আকাশের তারার মত, জ্বলতে থাকে ইস্পাত নগরী দূর্গাপুরের কারখানার আলোগুলি। ঠিক যেন মনে হয়, কেউ ছোট্ট শহরকে আলোয় মুড়ে রেখেছে জায়গায় জায়গায়, যেন জানাতে চায়, শিল্প নগরী ঘুমায় না। সেভাবেই হয়তো দূর্গাপুর কে অধিকাংশই চেনে, ডাক্তার বিধান রায় এর তৈরী তিনটি স্যাটেলাইট টাউন এর মধ্যে একটি। বাকি দুটি, কল্যাণী আর খড়গপুর, শিক্ষা নগরী হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মন্দার জন্য কিন্তু সে সময় দূর্গাপুর ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজেকে ধীরে ধীরে শিক্ষা এবং শিল্পনগরী দুটো তেই নিজেকে প্রমাণ করে পুনরায় পুরনো জায়গায় ফিরে…

Read More

দোফসলি

বন্ধা মাটির বুক জুড়ে কাস্তে লাঙ্গলের দাপাদাপি নতুন কিছু  সৃষ্টির আশায় লড়ে যাওয়া প্রকৃতি কখনো আসে সফলতা কখনো বা বিফলে শ্রম কভু আসে সোনালি ফসলের আলোকোজ্জ্বল ঝলকানি কভুবা এক বুক হাহাকার আর জমাট বাঁধা কান্না দশ মাস দশ দিনের প্রতিক্ষাতে সর্বংসহা নারীর মত যে আজন্ম লালিত কষ্টকে বুকে নিয়ে নতুন সুর্যকে পৃথিবীতে আনয়নের প্রতিক্ষাতে কখনো সফলতা বা বয়ে আসা ব্যর্থতা এ যেন সেই সর্বংসহা ধরিত্রীর মুখ বুজে স্বীকার করে নেওয়া যন্ত্রণাকে আগামীর আলোকে উদ্ভাসিত এক নতুন পৃথিবীর জন্য।। Parichay Kunduজন্ম ১০ ভাদ্র ১৩৭৬ (২৭ শে অগস্ট ১৯৬৬) বেথুয়াডহরী, নদীয়া ইন্ডিয়া।…

Read More

আমার “হ্যাঁ” বলা বানী

Affirmative Communication

দৃশ্য – ১ রাত ১০ টা বাজে। এখনও তুতাম ঘরে এল না। রাখীর বুকটা ধুকপুক করছে। প্রেসারটা এমনিতেই বেড়েছে গত বছর থেকে। অর্চন আগে বাড়ি ঢুকে পড়লে সেই রোজকার এক অশান্তি। সেদিন রমাবৌদি কথায় কথায় জানিয়ে দিল,  পাড়ার সবাই নাকি আমাদের বাড়ির অশান্তি নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত।……ছিঃ ছিঃ! মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করছিল  রাখীর। সে নিজেও বোঝে ‘দত্ত-বাড়ি’ পাড়ায় মার্কামারা হয়ে গেছে। সত্যি! কয়েকবছর ধরে কি যে হচ্ছে তার সংসারে …… এমনটা তো আগে ছিল না। স্মৃতির কোঠায় ঠোক্কর দিয়ে ভাবতে লাগল রাখী… কবে থেকে , কেন এইরকম হতে শুরু করল…

Read More

HAPPILY EVER AFTER

happily ever after

Everyone is not suitable for everything, this fact was understood by Trisha very well. Neither she was suitable for the life which her husband chose for her, Nor her husband was suitable for her, they were poles apart, so she took the liberty of freeing her husband and came to her city, ‘the city of joy’.However, things wouldn’t have been easy for her over here as well, if she did not have her Parent’s support and Suneil’s love. Suneil was a autistic 6 yrs old child who was a resident…

Read More

হানিমুন

আজও ওরা পাহাড়ের বেশ কিছু সুন্দর জায়গা দেখে সন্ধেবেলা হোটেলে ফিরলো। সেই সৌম্যদর্শন বৃদ্ধ লবিতে বসেছিলেন,বললেন“এই যে কেমন ঘুরলে তোমরা ? এই দক্ষিণের ট্রাইবাল ভিলেজটা তোমরা একবার দেখতে যেতে পার – – -” ঘরে ফিরে রীমা বললো “দেখো ঐ বুড়োকে এড়িয়ে চল, নইলে দেখবে রোজ জ্বালাবে। ” সুমন ওকে কাছে টেনে নিয়ে বলল, ”ছাড়োতো ওসব কথা , এবার একটু – – -” তৃতীয় দিন ওরা অনিচ্ছা সত্তেও সেই বৃদ্ধের রুমে গেল। ৫০তম বিবাহবার্ষিকী , বারবার বলেছিলেন। সারাঘরে ৫০টা মোমবাতি জ্বলছে, প্রচুর ফুলে সাজানো , একদিকে ধুপবাতি জ্বলছে। একটা গরদের শাড়ী…

Read More

বকশিশ

ব্যাঙ্কে একটা চেক জমা দিয়ে বেরুনোর সময় নন্দলালবাবুর নজরে এল, একটা স্লিপ হাতে এক বয়স্কা ভদ্রমহিলা একে ওকে কী যেন অনুরোধ করছেন। সকলেই তাকে এড়িয়ে চলে যাচ্ছে। নন্দলালবাবু ওনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কী ব্যাপার? -এই দেখ না বাবা, আমি কিছু টাকা তুলব।, কিন্তু, কাউকে দিয়ে লেখাতে পারছি না। নন্দলালবাবু হাত ঘড়িটা দেখে নিয়ে বললেন, ঠিক আছে আসুন আমার সঙ্গে, আমি না হয় লিখে দিচ্ছি। ফাঁকা একটা টেবিলে বসে নন্দলালবাবু পাশবই আর স্লিপটা ওনার কাছ থেকে নিয়ে বললেন, কত টাকা তুলবেন? -সাত হাজার টাকা, বাবা। স্লিপটা পূরণ করে ভদ্রমহিলাকে বললেন, নিন, এখানে…

Read More

আমার ছবি একটা মানুষের জীবন বাঁচাল – সৃজিত মুখার্জী

A chat session with Srijit Mukherjee

…… (অন্তিম ভাগ) WishScript –  আপনার তৈরি কোন ছবি আপনার কাছে সবথেকে significant? সৃজিত – Hemlock আমার মনে হয়, আমার সবচেয়ে significant  ছবি। Hemlock –এর পর আমি অনেক চিঠি পেয়েছিলাম, প্রতিটা সিনেমার জন্যই অনেক চিঠি পাই। একটা চিঠি আর একটা  phone call এর কথা আমি বলব। একটা চিঠি আমি পেয়েছিলাম, ১৯ বছরের একটি মেয়ের কাছ থেকে – সেই মেয়েটির boyfriend  তাকে cheat করেছিল, মেয়েটি ঠিক করেছিল যে সে suicide করবে। বদ্ধপরিকর ছিল সে আত্মহত্যা করবে বলে। ফাঁকতালে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে সে Hemlock দেখে, বা তাকে Hemlock দেখান হয়।মনে হয়, Hemlock…

Read More

অজ্ঞাত

বৃষ্টিভেজা ট্রামলাইন জানে আমার স্মৃতিমেদুরতা দেওয়ালের ফাটল জানে আমার নীরবতা পার্কের বেঞ্চ জানে আমার কথকতা গম্ভীর কার্নিশ জানে আমার ভাঙাগড়া মাতাল হাওয়া জানে আমার দীর্ঘশ্বাস রাতের তারা জানে আমার উন্মাদনা খোদাই জানে বিচিত্র খোদকারি |   Manjish RayI am a student I try to express myself through my pen.More Posts

Read More

চিঠি

গভীর রাতে গোটা কলকাতা নিঝুম  ঘুমে গড়িয়ে গেল।জোড়াসাঁকোর সদরের গ্যাসের আলো গুলিও ঘুমোল বোধ হয়।  আমি চুপিচুপি উঠে তখন তোমার  চিঠি পড়েছি।  বেলি ঘুমোচ্ছে ধরো আর শিয়রের জানলা দিয়ে একটু খানি চাঁদ আলো অনেক  খানি দখিন বাতাস  নিয়ে ঢুকে পড়লো ঘরে—ম্রিয়মাণ সেজের বাতি একটু কেঁপে নিভে গেল কেমন,আমি তখন স্পর্শ  দিয়ে তোমার  লেখা পড়ি। একটু একটু করে ছুঁয়ে ফেলি তোমার  মান অভিমান  আটপৌরে সংসার  ভাবনা —মনে হয় পদ্মা পার থেকে বেলির বাবা এসে আমাদের ঠিক পাশটিতে বসেছেন। তোমার  শরীর গন্ধ,আর দৃঢ়তর কাঁধ থেকে নেমে আসা কোমল বাহু আমাকে ছুঁয়ে দিল…

Read More

লাল তিতির

তিতলি আসতে আসতে মায়ের হাত টা সরিয়ে পা টিপে টিপে এসে দরজার কোণে বালতিটা উপুর করে রাখলো    ……….. তারপর ওটার ওপর উঠে দু’পা উঁচু করে সদর দরজার ছিটকিনিটা খুলেই দে ছুট….. আজ আসবে বলেছে লাল তিতির …… খুব দেরি হয়ে গেলো  … “তিতির কি অপেক্ষা করছে ওর জন্য !  নাকি ফিরে চলেই গেলো ! চলে যাবে !” বুক টা মোচর দিয়ে উঠলো তিতলি র ….সত্যি যদি লাল তিতির চলেযায় !! তিতির নাম টা তিতলি ই দিয়েছে ওকে ….তিতলি র ভালো লাগে ওকে এইনাম এ ডাকতে …. এটা একান্তই ওর দেওয়া নাম ….ওর সব চেয়ে কাছের বন্ধুকে… কেউ বিশ্বাস ই করতে চায়না লাল তিতির ওর সাথে কথা বলে …লাল তিতির আর তিতলি খুব ভালো বন্ধু ….. মা তো রোজ বকে ওকে , তিতলি কেন যে মা কে বোঝাতেই পারে না …!! রোজ নাকি ঘুমোতেই হবে …. বোঝে না লাল তিতির ওরজন্যই শুধু অপেক্ষা করে বসে থাকে বাগানের শেষ প্রান্তে …. পা চালিয়ে ছোটে তিতলি…..বাগানের ঘাসে পা রাখতেই রঙ্গন ফুলের গাছ টা তে তিতলি দেখতে পেল লালতিতির কে … ফুলের সাথে মিশে লুকিয়ে ছিলো ….. তিতলি কাছে যেতেই লালতিতির উড়ে এসে বসলো ওর হাতের    আঙুলে ….. রোজের মতো তিতলি হাত টা আসতে আসতে চোখের সামনে নিয়ে আসলো  … আর বললো …. “ভালো আছো লাল তিতির ? “তিতির ও রোজের মতো ফরফর করে উড়ে একবার ওকে চক্কর কেটেআবার এসে বসলো আঙুলে …..এই ভাবেই এককথা দুকথা …….জমে ওঠে ৮ বছরের তিতলি র সাথে লাল ফড়িং এর বন্ধুত্ব …..আর ছেলেবেলার গান ……সাঁঝ ঘনিয়ে আসে….. “তিতলি …. সোনা মা আমার …. ওঠো ওঠো ….. সন্ধ্যা লেগে গেছে …. চলো পড়তে বসতে হবে …. আজ অনেক হোমওয়ার্ক আছে … আর গানের রেওয়াজ টাও আজ করতে হবে …. আঁকার দিদির হোমওয়ার্ক ফিনিশ করেছ তো ! এই উইক এ আঁকার পরীক্ষা আছে কিন্তু ….চলো চলো …. উঠে পড় ….”মায়ের একনাগারে কথাগুলো যেন রেলগাড়ির মত  ঝমাঝম করে এলো আবার মিলিয়ে গেল ……সঙ্গে নিয়ে গেলো লাল তিতির কেও ….. তিতলি র চোখে ঘুম….আর লাল তিতিরের স্বপ্ন … হাতে পেনসিল আর হারানো শৈশবে বেড়ে ওঠা কঠোর বাস্তব …..   Suparna Pradhanআমি সুপর্ণা প্রধান । পশ্চিমবঙ্গের এক মফঃস্বলে (কৃষ্ণনগর ) ১৯৭৮ সালের ৯ ই মে আমার জন্ম । ডিপ্লোমা ইন্জিনীয়ারীং করলেও চাকরীতে মন ছিলো না কখনই । পরিবার…

Read More
Page 1 of 3
1 2 3