আজকাল চারিদিকে যা দেখছি তা নিয়ে দু’কলম লিখে ফেললাম। ভুল হলে দয়া করে মাফ করে দেবেন।
একটি মেয়ের গল্প শোনাই, নাম হল তাঁর পরী,
কলেজে সবে উন্নিত সে, কেটেছে পায়ের বেড়ি।
ফেসবুক আর টুইটারে তাঁর বিরাট কেরামতি,
‘ডরাব না আমি ভিখারি রাঘবে’ -এই স্তোত্রেই সে ব্রতী।
21 শতকে নারী কেন থাকবে অসহায় ?
নারীত্ববাদ তাই ওড়ে পরীর মনন ধ্বজায়।
বাসে ট্রামে তে কায়ায় স্পর্ষ নয়তো ঘৃণ্য আঁখি বর্ষণ,
হায় রে নারী নিভৃতে কাঁদে,রোজ হতে হয় ধর্ষন।
পুরুষের স্কণ্ধে স্কণ্ধ মেলালে নারীর জোটে রোষ,
হ্যাঁ, আজকের দিনেও মেয়ে হওয়া গর্হিত এক দোষ।
এই সব ভেবে পরী চালায় আজ নারীত্বের জয়রথ,
সংকীর্ণতা দূর হবে আজ, প্রশস্ত হবে পথ।
কপাল পুড়ল এক গাধা ছোকড়ার, অভিসন্ধি তার বাজে,
পরীর সাথে পাঙ্গা নিয়ে তাই জেলেতে দাঁত মাজে।
সক্কলে মিলে আজ দেয় তাই পরীর জয়ধ্বনি,
নারীবাদের দামামাতেই রচে নারীত্বের সম্মোহনী।
ভারসাম্যহীন সমাজে আজ নারী পথের প্রদর্শক,
সকল পুরুষই তাদের কাছে লোলুপ নোংরা ধর্ষক।
এই কথা শুনলে উথাল পাথাল হয়ে ওঠে আজ মন,
পুরুষ মরলে পাগল সে আর নারী মরলে পণ।
শোন হে নারী, কিভাবে আজ নগ্নতা হয় কলার বিলাসিতা?
আর সেই কলায় অংশ নিলেই তা নির্লজ্জ অশ্লীলতা।
নিপাত যাক এই সুবিধাবাদ, নারীবাদ থাক মৌন,
নারী হোক আজ মুখ্য কিন্তু পুরুষ কেন হবে গৌণ?
এই সব ভেবে সংশয়ে ভোগে নারীবাদী মেয়ে পরী,
নারীবাদের এই খেলায় আসলে হারে একজন নারী।