শুঁয়োপোকার চরিত্রটি যদি বিশ্লেষণ করে দেখি, তাহলে দেখতে পাবো এই অমেরুদন্ডী প্রাণীটির রোঁয়া যতক্ষণ আছে ততক্ষণ তার যত রোয়াব, একটি দেশলাই কাঠি যখন এর রোঁয়া গুলোকে নির্মূল করে দেয় তখন এরা গুটিয়ে গিয়ে হীনবল হয়ে পড়ে, রোঁয়াহীন শুঁয়োপোকার তখন কোন পেডিগ্রি থাকেনা তার জাতভাইদের কাছে। মাথা ঝুঁকিয়ে, শরীরটিকে গুটিয়ে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেবার চেষ্টা করে।পুংলিঙ্গ জাতীয় অমেরুদন্ডী প্রাণীটির সঙ্গে এক্ষেত্রে শুঁয়োপোকার প্রভুত চরিত্রগত মিল পাওয়া যায়।পুরুষজাতীর রোয়াবি তার হম্বিতম্বিতে, এই ধ্রুবসত্যটা বিপরীত প্রজাতির বুদ্ধিমতী সম্প্রদায় কয়েকযুগ ধরে পর্যবেক্ষন করে ধরে ফেলেছে।পাল্টা প্রতিষেধক দিয়ে নারকেল ছোবড়ার মত তাদের রোয়াবী ছাড়িয়ে ফেললেই কেল্লা ফতে, ভিতরটা তো শুধু জল, আর জলকে যে পাত্রে রাখবেন সেই পাত্রের আকার ধারন করে। তাই যেকোন পুরুষকে দেখেই প্রেডিক্ট করে ফেলতে পারে এই আনপ্রেডিক্টেবল সম্প্রদায়।
দীর্ঘ কয়েকযুগের পরম্পরা ও ঐতিহ্য এই আনপ্রেডিক্টেবল সম্প্রদায়কে শিখিয়েছে মদ্যপ পুরুষ মানেই সে বৌকে ঠেঙাবে, পরনারীর সংস্পর্শে এসে নিজনারীর করনারি এটাকের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।তাই স্বামীর মদ খাওয়া নৈব নৈব চ, অন্য নারীর সৎসঙ্গও পরিত্যাজ্য।মুখর স্বামীকে মৌন করা হল নারীদের বিবাহের প্রথম চারবছরের চ্যালেঞ্জ, কারণ এরপর মৌনমুখরতার প্রতিটি দিনে তারা চালকের আসনে বসতে পারবে। এবং ‘মৌনং সন্মতিক্রম’ এই আপ্তবাক্যটির উপর আস্থা রেখে স্বামীর মৌনতাকে হাতিয়ার করে সমস্থ গুরুত্বহীন সিদ্ধান্তগুলিতে ‘মস্তকক্ষেপ’ করতে পারবে।স্বামীর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলিতে যেমন দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা, সীমান্ত সমস্যা, পররাষ্ট্রনীতি ইত্যাদি প্রভৃতিতে ‘মস্তকক্ষেপ’ করার অধিকার থাকবে।
ছুটির দিনে সকাল থেকে শেখর বসে বসে এইসব সাত পাঁচ ভাবতে বেলা গড়িয়ে দুপুর। খেয়াল হতেই সে তার সদ্য কেনা পাঞ্জাবীটার খোঁজ করতে গিয়ে দেখলো তা যথাস্থানে নেই, সে বিরক্ত হয়ে হাঁক পাড়ে রমা পাঞ্জাবীটা কোথায় রেখেছো! রমা রান্নাঘর থেকে জবাব দেয় ওটা কাল রজত এসেছিলো, দেখে পছন্দ হয়েছিল বলে পড়ে গেছে। শেখর দেখলো বাস্তবিক পাঞ্জাবিটা গাত্রবদল হয়ে বেগুনি রঙের টিশার্টে পরিনত হয়েছে।শেখরের ধৈর্যচ্যুতি ঘটলো, সে অনেক খুঁজে খুঁজে নিউমার্কেট থেকে কিনে এনেছিল। বিশেষ করে তপতী কালারটা পছন্দ করে দিয়ে বলেছিলো এই কালারটা তাকে খুব মানাবে, পাঞ্জাবীর পয়সাটা পর্যন্ত সে শেখরকে দিতে দেয়নি। আজ একজন কমন ফ্রেন্ডের ম্যারেজ এনিভার্সারী রয়েছে, তপতী তাকে সেই অনুষ্ঠানে পাঞ্জাবীটি পড়ে আসতে বলেছিলো। তপতীর ছেলে ও শেখরের মেয়ে একই স্কুলে পড়ার সুবাদে তাদের দুজনের মধ্যে সখ্যতা বাড়ে,স্কুলে দিয়ে আসা, নিয়ে আসা বা বাচ্চারা স্কুল কামাই করলে খাতার আদান প্রদানের ফলে তাদের মধ্যে নিত্য যোগাযোগ রয়েছে। যার ফলে তপতীর সাথে একটা ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছে। আসলে দেখবেন যখন দুজন মানুষ নিজের সাম্রাজ্যে অধীনতামূলক মিত্রতা চুক্তির চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে ফেলে তখন এই দুই মানুষ পরস্পরের কাছাকাছি চলে আসে।তাদের রোজনামচার জীবনে কে আজ কতটা ঠোকা খেয়েছে, কতটা ভেঙেছে তাতে যে বোধদয় ঘটেছে সেগুলির আদান আর প্রদান করে নিজেরা সাহস সঞ্চয় করে নিয়ে আবার সংসার নামক যুদ্ধক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়বে। মাঝের ওই মহূর্ত গুলো হত তাদের ‘হর্সব্রিদিং পিরিয়ড’।তপতী একদিন গুনগুন করে একটা গান গেয়ে উঠেছিলো…… “আমি নিশিদিন তোমায় ভালোবাসি, তুমি অবসরমত বাসিয়ো। আমি নিশিদিন হেথায় বসে আছি তোমার যখন মনে পড়ে আসিয়ো”। শেখর মুগ্ধ হয়ে তার তারিফ করেছিল।আর মনে মনে রমার সাথে তুলনা করে হতাশ হয়েছিল, কারণ অসুরকুলের সেরা প্রোডাকসন তার গৃহ আলোকিত করে রয়েছে। ঠিক এইসময়েই দেখবেন ছোট ছোট বিসাদৃশ্য গুলো মাথার মধ্যে গুবরে পোকার মত কিলবিল করে।এইটা হলে ভাল হত, এইটা নাহলেও চলতো, এইধরনের চিন্তা গুলো মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেয়ে আপনাকে ব্যতিব্যাস্ত করে তুলবে,এগুলি তখন অনুঘটকের মত কাজ করে আপনাকে বিকর্ষণের দিকে ঠেলে দেবে।শেখর আর তপতীর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।
পাঞ্জাবী হরণকারী তস্করটি আসলে শেখরের শ্যালক, শেখরের এতদিনে বোধদয় হল যে ‘শালা’ শব্দটি কেন অপশব্দে পরিনত হয়েছে, এই ধরনের দুবৃত্ত সম্প্রদায় যুগে যুগে জামাতাদের জামা ধরে টানাটানি করার জন্য এই উপাধীটি পেয়েছে।সে চেঁচিয়ে উঠে বললো ও চাইলো আর তুমি দিয়ে দিলে,ওটা পড়ে আমি কমলের বাড়ি যাবো ভেবেছিলাম, আজ ওর ছেলের পৈতে রয়েছে।রমা কোমরে আঁচলটা জড়িয়ে রণরঙ্গিনী মূর্তি ধারন করে বলে তুমি আমাকে বলেছিলে যে আজ তোমার পৈতের নিমন্তন্ন! আর ছেলেটা তোমায় ভালবাসে বলেই তো তোমার উপর অধিকার দেখায়, তুমিও তো সেদিন ওর নীল রঙের টি শার্টটা পড়ে এসেছিলে তারবেলা!শেখর ঝেঁঝে উঠে বলে তাইজন্য ওকে বদলা নিতে হবে। এইভাবে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি চলতে থাকে। এমন সময় শেখরের পুত্র আর কন্যা মঞ্চে অবতীর্ণ হয়ে বিতর্কের মজা নিতে থাকে। ছেলে বলে বাবা আজ কিন্তু তোমায় জিততেই হবে, প্রতিবার মায়ের কাছে হেরে যাও। মেয়ে বলে বাবা চিন্তা কোরনা, ম্যাচ এখনও ড্র চলছে, তুমি মামার টিসার্ট নিয়েছো, মামা তোমার পাঞ্জাবী নিয়েছে, আমরা মামির কাছ থেকে আমাদের জন্য জামা আদায় করে তোমার মান রাখবো।কিন্তু বাবা প্রমিস কর কাল পর্যন্ত এই তেজ যেন বহাল থাকে, নইলে আমরা মায়ের কাছে মুখ দেখাতে পারছিনা। শেখর বিনা বাক্যব্যায়ে শালার টিসার্টটা গলিয়ে গৃহত্যাগ করে কমলের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।যেতে যেতে শেখর রমার খানদানি গলার আওয়াজ পায়.. মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।
কমলের বাড়ির সামনে এসে দেখে বাড়ি প্রায় জনমানবশুন্য। তপতী আর দুই একজনকে দাঁড়াতে দেখে সে এগিয়ে যায়।তপতীর মুখে জানতে পারে কমলের বাবা বিনা নোটিশে স্বর্গের টিকিট কনফার্ম করেছে, যার ফলে সব আয়োজনের বিসর্জন দিয়ে কমল তার বাবাকে নিয়ে শেষযাত্রায় বেড়িয়েছে। শেখর পড়লো মহা আতান্তরে, কারণ রমার সাথে বাদবিসম্বাদ করে সে গৃহত্যাগী হয়েছিলো, কিন্তু ঘটনার ঘণঘটায় আবার ব্যাক টু দা প্যাভিলয়ন হলে তার পৌরুষত্বে গ্যামাক্সিন লেগে যাবে। এদিকে যা বেলা হয়েছে তাতে পাইস হোটেল গুলো বন্ধ হয়ে গেছে। শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অভিজাত হোটেলগুলিতে যেতে যেতে ছুঁচোয় তার নারিভুড়ি গুলোকে ডন মারতে মারতে খেয়ে নেবে।কিংকর্তব্যবিমুঢ় অবস্থায় শেখর পাশের পানের দোকান থেকে ক্রিমরোল কেনার জন্য অগ্রসর হল।এইসময় তপতী শেখরকে ডেকে উঠে বললো শুনছেন, কোথায় যাচ্ছেন? শেখর তখন পাংশুমুখে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা শুনিয়ে ক্ষুধা নিবারনের প্রচেষ্ঠার কথা শোনায়। তপতী হেসে ফেলে বলে যদি ছুৎমার্গ না থাকে তো কাছেই আমার বাড়ি, গরীবের বাড়ি ডিমের ঝোল, পেঁয়াজপোস্ত, ডাল ভাত হয়ে যাবে।রাত্রের জন্য করে রেখেছিলাম, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ওগুলোরই সদগতি করে ফেলি চলুন। মেনু শুনে শেখরের খিধেটা কয়েকগুণ বেড়ে গেল।কিন্তু একটু ইতস্তত বোধ করে সে জিজ্ঞেস করলো বাড়িতে হিটলার থুড়ি কত্তা কি মনে করবেন।তপতী মুচকি হেসে বললো তিনি তার পুত্রকে নিয়ে বর্ধমান গেছেন, রাত্রে ফিরবেন।শুনে শেখর একটু নিশ্চিন্ত এবং অনেকটা পুলকিত হয়ে একটা নিষিদ্ধ অভিযানের কথা ভেবে শিউরে উঠলো, আর রমাকে মনে মনে বললো তোমার খাঁচার পাখি খাঁচা ছেড়ে অন্যের খাঁচায় ঢুকছে, তুমি ঘরে বসে বুড়োআঙুল চোষ।মনে একটা বিজাতীয় সুখ অনুভব করে বীরদর্পে সে তপতীর সহগামী হল।
কিছুদূর যাবার পর একজায়গায় ভীড় দেখে তারা কৌতুহলি হয়ে কার্যকারণের তল্লাসি করতে গিয়ে দেখলো একটা নিরিহ গোবেচারা লোককে একজন মহিলা ও দুজন পুরুষ মিলে আড়ংধোলাই দিচ্ছে, পাশে অন্য এক মহিলা এই হেনস্থা দেখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে।অকুস্থলে এক পরিচিতের কাছে জানা গেল হেনস্থাকারিনী নারীটি নিপিড়িতের স্ত্রী, ক্রন্দনরত নারীটির সাথে নিপিড়িত পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলো বহুদিন ধরে, আজ তাদের হাতেনাতে ধরা হয়েছে। অত্যাচারী পুরুষদুটির মধ্যে যে বেশী অত্যাচারী সে নিপিড়িতের শ্যালক, অন্যজন ক্রন্দনরতার স্বামী। ওরা আবার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। শেখর যেতে যেতে মনঃস্চক্ষে দেখতে পেল, রজত আর হিটলার তাকে রাস্তায় ফেলে এভাবে অপারেসন বদলা নিচ্ছে আর রমা ফাঁকফোঁকর দেখলেই তার প্রতিশোধের আগুনকে শান্ত করছে।ভয়ে গাটা কেমন শিরশির করে উঠলো। শেখরের ক্ষিধেটা আস্তে আস্তে মরে গিয়ে গোটা শরীরে ভয়ের চোরাস্রোত বইতে লাগলো। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে তপতী তাকে জিজ্ঞেস করলো পাঞ্জাবীটা পড়েননি কেন? শেখর পাঞ্জাবী হরণের কথা সবিস্তারে বর্ণনা করলো তপতীর কাছে।তপতী হেসে বললো আপনারা পারেনও বটে।
ঘরে ঢুকে শেখর সোফায় গিয়ে বসলো, আর তপতী রান্নাঘরে খাবারগুলো গরম করতে গেল।শেখর সময় কাটানোর জন্য পেপারটা খুলে পড়তে পড়তে একটা হেডলাইনে গিয়ে তার চোখ আটকে গেল,লেখা ছিল অবৈধ প্রণয়ের জেরে স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন। শেখর তাড়াতাড়ি পেপারটিকে রেখে দিল, বাকিটা পড়ার আর উৎসাহ দেখালনা।ইত্যবসরে তপতী তার কর্তব্য সম্পন্ন করে টেবিলে খাবার পরিবেশন করে শেখরকে ডাকে, শেখর স্লথ গতিতে ডাইনিংটেবিলের চেয়ারটা টেনে বসে। প্রথমেই ঢকঢক করে খানিকটা জল খেয়ে ফেলে।তারপর খেতে শুরু করে, তার প্রিয় মেনু আজ তার কাছে বিস্বাদ লাগে।কোনগতীকে গলধকরণ করে বেসিনে হাত ধুয়ে সোফায় এসে বসে।তপতী খাওয়া শেষ করে থালা বাসন নামিয়ে শেখরের পাশে বসে শেখরের দিকে তাকিয়ে বলে আপনিতো দরদর করে ঘামছেন? চলুন বাবাইএর ঘরের এসিটা চালিয়ে দিচ্ছি বসবেন।শেখর বলে না না আমি ঠিক আছি, তপতী এবার কড়া সুরে বলে কিছু ঠিক নেই, আপনি আসা ইস্তক আনইসি ফিল করছেন, আমি বাঘিনী নই যে আঁচরে দেবো, চলুন!শেখর নিজেকে রাবণের সাথে তুলনা করে দেখলো এখানে সীতা স্বয়ং তাকে লক্ষণরেখা পার হতে বলছে তাই শেখর বাধ্য ছেলের মত তপতীকে অনুসরন করে। তপতী এসিটা চালিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দেয়।হঠাৎ ধড়াম করে একটা আওয়াজ আসে। শেখর তড়াক করে এক লাফ দিয়ে উঠে বলে নির্ঘাৎ হিটলার থুড়ি আপনার কত্তা চলে এসেছে, তপতী বলে এজ্ঞে না, পাশের বিল্ডিংএ কাজ হচ্ছে। আপনি বৃথা ভয় পাচ্ছেন, বরং এই যে হঠাৎ করে পাওয়া মুহূর্তগুলোকে নষ্ট হতে দেবেননা প্লিস। কথাকটি বলে তপতী শেখরের কাছে এসে শেখরের বুকে মাথা রাখে, আপনাদের দাঁতে দাঁতে লেগে দাঁতকপাটি লেগেছে? হাঁটু দুটো ঠকঠক করে কেঁপেছে? ঠান্ডা ঘরে কুলকুল করে ঘামের স্রোতে ভিজেছেন? শেখর এই উপসর্গগুলি নিয়ে আড়ষ্ঠ হয়ে বসে রইলো। কিছুক্ষণ পর তপতী প্রকৃতস্থ হয়ে মাথাটা বুক থেকে সরিয়ে নিয়ে বলে এই মুহূর্তটা আমি আমার সারা জীবনে ভুলবোনা।এবার যান আর বিরক্ত করবোনা কোনদিন, আমরা আগামী সপ্তাহে শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি, ওনার বদলী হয়ে গেছে।আমি এই শহরের সেরা স্মৃতিটি নিয়ে যাচ্ছি, পারলে এই ব্যাবহারের জন্য ক্ষমা করবেন, কথাগুলো বলে তপতী কাঁদতে থাকে, শেখর তপতীর কাছে এগিয়ে এসে বলে ম্যাডাম আমিও আপনাকে সারাজীবন মনে রাখবো, ভুলবোনা কোনদিন।আসলে জানেন আমাদের বিবাহিত জীবনটা অনেকটা ওই জোড়া শালিকের মত। ওরা যখন একত্রে থাকে কিচিরমিচির করে সারাক্ষণ ঝগড়া করে, জোড়ায় যখন থাকে সবাই ওদের সৌভগ্যের সূচক ভেবে প্রণাম করে, সবজায়গায় তারা সমাদৃত হয়, জোড় যখন ভেঙে যায় তখন আর কোথাও চলেনা, সবাই চোখ বন্ধ করে এড়িয়ে যায়।তাকে অকল্যান মনে করে সবাই। কথাকটি বলে শেখর তপতীর মাথায় হাত রেখে তার বাসার শালিকটির কাছে ফিরে যায়।