রোজই চোখে পরে ওই মহিলা একটা মেয়ে কোলে ফুটপাতে হাত পেতে বসে আছেন ! আজ হটাৎ-ই দেখলাম যথারীতি ওই মহিলা তাঁর বাচ্ছা মেয়েটি ছাড়াও পাশেই পরে রয়েছে একটা সদ্যজাত ! তারস্বরে কেঁদেই চলেছে , আর পাশে বসে নিঃশব্দে চোখের জল ফেলছেন, ওই মহিলাটি ! কিছুটা এগিয়ে শুনলাম মহিলার স্বামী মেয়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য তাঁকে তাড়িয়ে দিয়ে নতুন সংসার পেতেছেন ! তারপর থেকেই ফুটপাতই ওনার আস্তানা ! বুকে অতো ছোট শিশু দেখে অনেকেরই দয়ার উপহারস্বরূপ কিছু পয়সা পেয়ে ঐ দিয়েই চালিয়ে নিচ্ছিলেন বেশ , শুনলাম ফুটপাত থেকে তাঁর কলকাতার চেনার…
Read MoreTag: bangla golpo
চাইছি তোমার বন্ধুতা
বাঙ্গালী মানে সকালবেলা চা খেয়েই বাজারে করতে ছোটা,বাজারে এর সব থেকে ভালো মালটা চাই প্রত্যেক বাঙ্গালীর | তার ওপর আজ রবিবার | পৃথিবী উল্টে গেলেও আজ আমার সকালবেলা বাজার করতে যাওয়া চাই | এটা আমার বাবার থেকেই শেখা | বাবা প্রত্যেক রবিবার বাজার করতে যেত | মা কে বলতেও হতো না বাজার করতে যাবার জন্য | তাই স্বভাব তা আমিও পেয়েছি | বাজার এর ব্যাগ তা দুলিয়ে বাজারে ঢোকার সাথে সাথে “দাদা আমার কাছে আসুন,এদিকে ভালো মাল আছে” এর মধ্যে একটা বাবুমশাই টাইপ এর অনুভূতি হয় | বাজারে এ গিয়ে;…
Read Moreপুজোর টানে
পুজো মানে শিউলি কাশ রেডিও তে মহালয়া পুজো মানে ঢাকের আওয়াজ নতুন জামা পড়া পুজো মানে দেদার আড্ডা প্রচুর খাওয়া দাওয়া ……….. পুজো মানে মন খারাপ আর কলকাতা কে মিস করা !!! হ্যাঁ, এবারও প্রতিবারের মতন নিজের শহর, সেই তিলোত্তমা কলকাতা, যেখানে জন্মেছি আর কেটেছে জীবনের অনেক গুলো বছর, ভীষণ ভাবে মিস করছি। দূর্গা পুজো নিয়ে বাঙালির যে উত্ত্বেজনা, যে উন্মাদনা, যে আনন্দ, সব কিছু থেকে নিজেকে খুব বঞ্চিত বলে মনে হচ্ছে আজ। ছোটবেলায় দূর্গা পূজা বা শরৎ কাল নিয়ে লিখেছিলাম অনেক রচনা। আজ খুব ইচ্ছে করলো পুজো নিয়ে কিছু লিখি কিন্তু…
Read Moreদহন জ্বালা !
প্রথমবার ওই আগুনের স্পর্শের সাথে আলাপ বে-পাড়ার এক শ্মশান ঘাটে , তারপর অবশ্য খুব কাছে দেখার সুযোগ আসে , সেটা ২০০৮, বারাণসী ঘাট ! হরিশচন্দ্র ঘাট , ছোটবেলায় আমরা বইতে পড়েছিলাম ‘The Burning Ghat’ এর গল্প , চাক্ষুস দেখার খিদেটা যদিও তখন থেকেই , টিভিতে কতবার দেখেছি কাঠ দিয়ে সাজানো বিছানার ওপর সাদা চাদর পাতা তার ওপরই একটা অসাড় দেহ , জাগতিক সব বিষয় থেকে দূরে বহুদূরে , নেই কোনো অনুভূতি ! আর তার চারপাশে কান্নার রোল …. হঠাৎ একটা আগুনের প্রবেশ অদ্ভুত থমথমে , কাঠের বিছানার একদম নিচ প্রান্তে ছোঁয়ানো হলো…
Read Moreদীপ্তেন্দুকে
দীপ্তেন্দু, জানি তোমাকে না জানিয়ে এসেছি বলে এক আকাশ অভিমান জমে আছে তোমার সমস্ত শরীর মন জুড়ে , কিন্তু এও জানি তুমি পারবে না আমার ওপর অভিমান করে থাকতে । এতোদিনের এতো দুঃসাহসের ভালোবাসায় এটুকু আমি নিশ্চিতভাবেই জেনেছি , বহমান রক্ত যেমন আপনস্রোতে ভেসে যাবে প্রাণস্পন্দন থাকা অবধি , তুমি আমাতেই এসে মিশবে হাজার হাজার অভিমানের পরেও , হাজার হাজার মাইল দুরত্ব অতিক্রম করেও । এই বিশ্বাস-ই তো আমাদের ভালোবাসা – তাই না দীপ্ত । কংক্রিটের জঙ্গল আর সেই জঙ্গলের বনমানুষের ( তথাকথিত সামাজিক ভাষায় সুসভ্য ও সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিগণ…
Read Moreশিবরাণী দেবী
– দিদা, একটা গল্প বলো।- গল্প? (এই রে, নতুন কিছু গল্প যে মনে করতে পারছি না!) আচ্ছা, আজ তোমাকে অন্য একটা দিদার গল্প বলি? আমার দিদার গল্প। শুরু হল সুরমার গল্পের আসর। অদ্ভুত আসর সেটা। Skypeএ একধারে ছোটো রিয়া আর অন্যধারে তার দিদা। মধ্যের দূরত্বটা যদিও সুদূর ইউরোপ থেকে ভারতের দুরত্ব – এদের কাছে সেটা কখনই খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। রান্নাবাটি, পুতুলখেলা থেকে গল্পবলা সবই চলে – এই ধারে তুমি আর ঐ ধারে আমি – দিদা আর তার ছোট্ট নাতনীর মধ্যে। – রাঁচি ছিল আমাদের মামার বাড়ি।শীতকালে আমরা যখন মা, মাসীদের…
Read Moreনা-কথা।
শীর্ণ একটা অন্ধকার দুজনের মাঝখানে আটকে রইলো। ফলতঃ আমরা এক কৌনিক দুরত্ব বজায় রেখে গেলাম বরাবর। সেই দুরতিক্রম্য অন্ধকার থেকে যে সৌরভ ভেসে এলো তা আমার চির চেনা কেলভিন ক্লেন্স। তার প্রিয় ছিল। অথচ অপার্থিব আলোরা,বরাবর যেমন থাকে ,মৃদু ইন্দ্রজালে,তেমনই ছিল তাজ বেঙ্গলের লাউঞ্জে। লেমন গ্রাসের অলৌকিক সুবাস টুকুও।শুধু আমার ইন্দ্রিয় গুলি তার শরীরের সুগন্ধ টুকু খুঁজে নিচ্ছিল কেবল। চোখ শুধু তাকেই দেখছিল। যদিও দৃষ্টি আনত তাও দেখলাম ,তার গাঢ় নীল ফর্মাল ট্রাউজার্সের সঙ্গে মানানসই স্টিলেটো। সে এখানে কি ভাবে? কেন?একযুগ পেরিয়ে এলে ভাঙা সম্পর্ক, হুড়মুড়িয়ে এ কৌতুহল প্রকাশ করা…
Read Moreআজকের শব্দ / আজকের দৃশ্য
অনুলিখন ১: আজকের শব্দ : একটা অদ্ভুত শব্দ ! ‘পলতা স্টেশন- পলতা স্টেশন’ ! হঠাৎই চোখ সরে গেলো ট্রেনের জানলা থেকে , নিচে একটা মাঝবয়েসী ছেলে অনেক্ষন থেকেই একই কথা বলে যাচ্ছে , নীচু হয়ে দেখলাম দুটো পা-ই অকেজো ! সবাই হাত বাড়িয়ে সাহায্য করছেন তাঁকে , কিন্তু উঁনি চেষ্টা করছিলেন গেটের কাছে এগোনোর ! কিন্তু অপারগ , অসহায় অবস্থায় এগিয়ে চলছিলেন ! ”প্রতিবন্ধী” শব্দ’টা কি খালি শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুস্থ-অসুস্থতার ওপর নির্ভর করে? জানিনা কেন মনে হয় , আমরা ,যারা রোজ ওই মানুষগুলিকে মনে করিয়ে দেই এই ‘খুঁত মানুষ’ গুলি…
Read Moreজোড়া শালিক
শুঁয়োপোকার চরিত্রটি যদি বিশ্লেষণ করে দেখি, তাহলে দেখতে পাবো এই অমেরুদন্ডী প্রাণীটির রোঁয়া যতক্ষণ আছে ততক্ষণ তার যত রোয়াব, একটি দেশলাই কাঠি যখন এর রোঁয়া গুলোকে নির্মূল করে দেয় তখন এরা গুটিয়ে গিয়ে হীনবল হয়ে পড়ে, রোঁয়াহীন শুঁয়োপোকার তখন কোন পেডিগ্রি থাকেনা তার জাতভাইদের কাছে। মাথা ঝুঁকিয়ে, শরীরটিকে গুটিয়ে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেবার চেষ্টা করে।পুংলিঙ্গ জাতীয় অমেরুদন্ডী প্রাণীটির সঙ্গে এক্ষেত্রে শুঁয়োপোকার প্রভুত চরিত্রগত মিল পাওয়া যায়।পুরুষজাতীর রোয়াবি তার হম্বিতম্বিতে, এই ধ্রুবসত্যটা বিপরীত প্রজাতির বুদ্ধিমতী সম্প্রদায় কয়েকযুগ ধরে পর্যবেক্ষন করে ধরে ফেলেছে।পাল্টা প্রতিষেধক দিয়ে নারকেল ছোবড়ার মত তাদের রোয়াবী ছাড়িয়ে ফেললেই…
Read Moreমজার রাজ্যের আজব গল্প
Hello! একটা গল্প বলব। গল্পটা ডিডার কাছে শোনা। যেটা ডিডা শুনেছিল তার ডিডার কাছে। ইন্টারেস্টিং গল্প। তোমাদেরও নিশ্চই ভালো লাগবে। অনেক অনেক দিন আগে একটা মজার রাজ্য ছিল যেখানকার মানুষগুলোও ছিল আজব। দেখতে তারা আমাদেরই মত ছিল কিন্তু সাজপোষাক, খাওয়াদাওয়া, ধরণধারণে ছিল একেবারো আলাদা। তারা সূর্য-ওঠা ভোরে ঘুম থেকে উঠত, মাথায়গায়ে তেল মেখে স্নান করত, কিন্ডেল না পড়ে বই নামে এক গোছা বাঁধানো কাগজ পড়ত, কাগজের ওপর পেন বলে একটা আজব যন্ত্র দিয়ে হাত দিয়ে লিখত আর পায়ে হেঁটে যাতায়াত করত । সবচেয়ে মজার কথা, আমরা তো ভূমিকম্প হলে বা…
Read More