একটু ভাবুন

hands-640840_960_720
গত ১৫ ই মার্চ ২০১৬, জনৈক বাংলা দৈনিকে একটা লেখা পড়ে ভীষন আশ্চর্য হয়ে গেছিলাম। ভারতবর্ষ কি পুরুষ বিদ্বেষী রাষ্ট্র? প্রায় একডজন যুক্তি তার সপক্ষে দাঁড় করানো হয়েছিল।এখন অনেক জায়গাতেই শোনা যায় স্বাধীনচেতা আধুনিকা নারীর তত্ব।  আসলে পুরুষতন্ত্র বা নারীবাদ দুটোর কোনওটাই কোনও রাষ্ট্রের মজ্জাগত সমাজবিভাজনের পক্ষে আদর্শ হতে পারেনা। এর থেকে অনেক বেশী রাষ্ট্রের উন্নতি হতে পারে যদি মানবতাবাদকে গুরত্ব দেওয়া হয়।একধরনের পুরুষের একনায়কতন্ত্র যেমন সৃষ্টিশীল এক শক্তিকে কুক্ষিগত করে রাখে সংসারের বিধান দিয়ে।তাদের কাছে নারী মানেই সকাল থেকে রাত অবধি সংসারের ফাইফর্মাশ খাটবে, কারণে অকারণে ফোঁস করা যাবেনা। সব কিছু গরম করার দায়িত্ব শুধু তার সে দিনভর হেঁসেলের রান্নাই হোক কিমবা রাতের বিছানা। যেন নীলচাষী আর বাবুরা যেন নীলকর সাহেব। এই পুরুষতন্ত্র সমাজে কোনওদিন উপকারে আসতে পারেনা। আবার আর এক ধরনের পুরুষ আছে যাদের অঙ্গ ভঙ্গিটা অনেকটা সখী আমায় ধর ধর জাতীয়। এরা আবার মেকী নারীবাদের ভান করে নারীদের ভীড়ে ঢুকে পড়তে চায় দু চারটে চাপের অভিলাষে। কপট নারীবাদ সমর্থক এই পুরুষতন্ত্রও সমাজের পক্ষে হানিকারক। এবার আসি স্বাধীনচেতা সেই সব নারীদের কথায় যারা ঘরে স্বামী থাকতেও ধর্মতলার সস্তা হোটেলে নিজের প্রাক্তনীকে সিঁথির সিঁদুুর দান করে আসে ভালবাসার টানে। এই নারীবাদ কি সমাজ গঠন করতে পারে? কিছু স্বাধীনচেতা নারী আছে যারা পরকীয়া কে বন্ধুত্বের নাম দিয়ে কারও আবেগ নিয়ে স্কোয়াশ খেলতে ভালবাসে,আর যখন তাদের নোংরামীটা চোখের সামনে চলে আসে তখন নিজের সতীত্ব প্রমান করতে বাকি সমাজের কাছে দুই চোখে দুই জলের ধারা গঙ্গা যমুনা। এই নারীবাদ ঘৃন্য, এতে সমাজ গঠন হয়না। উপরোক্ত এই ধরনের পুরুষ বা নারী গুলো অন্যকে সমাজের বুকে কলুষিত করতে তাদের দূর্বলতার সুযোগ নেয়। এরা কি সমাজ গড়বে? এরা নেসেসারি আর লাক্সারীর মধ্যে পার্থক্য বোঝেনা, পরকীয়া আর স্বর্গীয়ার মর্ম বোঝেনা। এদের প্রভাব যতই বাড়বে সমাজে ততই হয় পুরুষ বিদ্বেষ বাড়বে না হয় নারী বিদ্বেষ বাড়বে। এদের জন্য সত্যিকারের মানবতাবাদ আজ আঘাত প্রাপ্ত। নারী স্বাধীনতা যদি থমকে গিয়ে থাকে,পুরুষতন্ত্র যদি সমাজকে গ্রাস করে থাকে,  তার জন্য উপরিক্ত কদর্য মানসিকতার মানুষগুলো দায়ী। তবে একদিন সূর্য উঠবে, সমাজ এই কলঙ্ক গুলোকে পাতালে নিক্ষেপ করবে। পুরুষ নারী একে অপরকে সম্মান করে হাতে হাত রেখে নতুন করে রাষ্ট্র গড়বে। সেই সুদিনের আশায় নেলসন ম্যান্ডেলার সেই উক্তি দিয়ে অপেক্ষায় রইলাম …..
“স্বাধীন হওয়া মানে শ্রদ্ধা,উশৃঙ্খলতা নয়। সমাজ বা রাষ্ট্র গঠনে অন্যের স্বাধীনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজের পরিচিতির প্রকাশ পায় “।।
বিঃ দ্রঃ – কিছু ভাষা হয়ত শ্রুতিকটু, মার্জ্জনীয়।
Avatar

Priyaranjan Adhikary

ঘড়ির টিকটিক শব্দ কানে বাজছে, নিঃশ্তব্ধ চোখ দুটো অন্ধকারেও নিজের অস্তিত্ব খুজছে; শূন্যতার দিকদিগন্ত ছেড়ে, ফাঁকা ঘরে আজ একলা আমি। তীব্র পরিহাস ঘেরা নিকোটিন সমৃদ্ধ এই জীবন, জানিনা কেন মৃত্যুর কবরের উপর দিয়ে ছুটে চলেছি একলা আমি।। নমস্কার বন্ধুরা। আমি প্রিয়রঞ্জন অধিকারী। B.Sc (H) করে একটি Integrated Steel Plant এ চাকুরিরত।আমার বর্তমান লেখা গুলো শুধু একটা মৃত্যুকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য পুনরায় শুরু করা ,যেটা আমি অনেক বছর আগে ছেড়ে দিয়েছিলাম।

More Posts

Related posts

Leave a Comment