গতকাল টিয়া দুবার বলেছে “বাবা রোববারে বাড়িতে বসে থাকবেন কেন,যান অমুল্যকাকার ওখানে ঘুরে আসুন । নয়তো একটা ভাল ছবি হচ্ছে দেখে আসুন । ”
আজ সকালে সুজয়ও বললো “ড্রাইভার তোমাকে পৌছে দেবে আমি পরে নিয়ে আসব । ”
ছেলের বাড়িতে এসে এমন ভালবাসা পেয়ে হরনাথ ভীষণ খুশি । তবে ও কোথাও যাবেনা বলেছে । কদিনের জন্য এসেছে বাড়িতে থাকাই ভাল । খবরের কাগজ খুজতে ও সুজয়ের ঘরের দিকে এগোলো । দরজায় পৌছে ও শুনতে পেল সুজয় বলছে“বাবাতো যেতেই রাজি নয় কী করবে ? ”
টিয়া বললো “বোঝ এখন । সন্ধেতে সব পার্টিতে এসে ঐ বুড়োকে দেখলে কেউ এনজয় করতে পারবে ? আর ড্রিঙ্কস্ এর বোতল দেখলেতো বাবা ——”
বিকেলে হরনাথ বললো “আমি অমুল্যর ওখানে ঘুরেই আসছি । তবে গাড়ি চাইনা , চলেই যাব—-”
রাতে জমাট পার্টি হল । পাগলকরা বিদেশী মিউজিক চললো । সুমিতা নাচের সময় সুজয়ের বুকে লেপটে রইল। দীপক “একটা কথা আছে” বলে টিয়াকে পাশের ঘরে নিয়ে গেল । সব যখন শেষ সুজয় ফোন করল “অমুল্যকাকা বাবাকে বলুন আমি আসছি নিতে । ”
”সে কী গো ? হরনাথ তো এখানে আসেনি । ”
হরনাথ বিকেলে বেড়িয়ে অনেকক্ষন রাস্তায় হেটে বেড়িয়েছে । একটি পার্কে একা বসে থেকেছে । তারপর স্টেসনে একটি বেনচে বসে অনেক ট্রেন আসতে যেতে দেখেছে । এখন অনেক রাত । গাড়ি কমে এসেছে । মনে মনে বললো “মনোরমা তুমি স্বর্গে গিয়ে ভালই করেছো । এখানে এসময় থাকলে তুমি বড় কষ্ট পেতে গো —-”। ওর দুচোখ বেয়ে জল নেমে এল ।