১ ইউ কেন? ভারী মজা লাগল আমার, এমনকি, জায়েশ ভাই পর্যন্ত কৃষ্ণা কে ক্রুষ্ণা বলে ডাকছে… আমি হাতছানি দিয়ে ডাকলাম কৃষ্ণা কে, – ম্যাঁ তুঝে কৃষ্ণা বুলাউঁ তো চলেগা? বেশ যেন কৌতূক পেয়ে গেল আমার কথায়। হেসে, দৌড় দিয়ে চলে গেল ওদের ভাঙ্গাচোড়া ছনের শেডটার পেছনে, আপাতত ওটাই আমাদের তাজ প্যালেস। জায়েশ ভাই এর সাথে এই বার্ড সাঞ্চুয়ারীতে আমার চলে আসাটাও রীতিমতো কাকতালিও বলা চলে। জামনাগরে ট্রান্সফার হয়ে আসার পরেই বুঝছিলাম, এই শহরটার একটা কি জানো টানতো আমাকে, হতে পারে সেটা নতুন জায়গার মোহ বা সাইটের হাড়খাটুনি কাজের থেকে নিস্তার…
Read MoreCategory: My Script
উপজাযক
মোবাইলের ডাকে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। শীতকাল , লেপের তলার ওম থেকে হাতটা বের করতে ইচ্ছে করছিল না। বেশ বোঝা যাচ্ছে এখনো বেশী বেলা যায় নি। হাতটা বাড়িয়ে ফোন টা ধরতেই, ওধার থেকে মহিলা কন্ঠ, “ফণীবাবু, আজকে আমার রক্ত নিতে লোক পাঠানোর কথা ভুলে যাননি তো?আটটার মধ্যে যেন অবশ্যই আসে। কারণ, গতকাল রাত আটটায় খেয়েছি”। আমি হু, হ্যাঁ , কে জিজ্ঞেস করার আগেই লাইনটা কেটে গেল। খানিকক্ষণ শুয়ে থাকার পর, কি মনে হল, উঠে পড়লাম। বাথরুম এ গিয়ে চোখে মুখে জল দিয়ে, এক কাপ চা করে নিয়ে ঘরে এলাম। বারিতে আমি…
Read Moreবার্বি ডল
রীমাদেবী সবে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছেন আর তখনই ডোরবেলটা বেজে উঠল বলে উনি একটু অবাকই হলেন, এই ভর দুপুরে আবার কে এলো? কষ্ট করে উঠে দোতলার বারান্দায় গিয়ে নিচে তাকালেন আর মনটা খুশিতে ভরে উঠল। হাসি হাসি মুখ করে উপরের দিকে তাকিয়ে আছে সীমা, ওনার ছোট মেয়ে।মেয়েকে দাঁড়াতে বলে রীমাদেবী তার নাতিকে বললেন, যা তো রে লাট্টু, নিচের দরজাটা খুলে দিয়ে আয়, তোর রাঙা পিসি এসেছে। রাঙা পিসি এসেছে, রাঙা পিসি এসেছে বলতে বলতে নিচে গিয়ে দরজাটা খুলে দিল লাট্টু। রাঙা পিসিকে একা দেখে জানতে চাইল, মিষ্টুকে আননি? – আমি…
Read Moreমনের কথা
__ হাতের মেহেন্দির রঙ এখোন ও তৃষার হাত থেকে মলিন হয় নি — দীপ্ত বেশীদিন ছুটি না পাওয়ায় বিয়ের পনের দিন এর মাথায় USA ফিরে গেছে । তৃষার ভিসা রেডি হয়নি – তারপর স্কুলের চাকরী ছাড়বো বললেই তো ছাড়া যায় না । তাই ঠিক হয়েছে মাস তিনেক পর ও একাই এ দেশের পাততাড়ি গুটিয়ে পাড়ি দেবে দীপ্তর কাছে নতুন জীবনের উদ্দেশ্যে । আর তাছাড়া এদেশে আছেই বা কে — মা – বাবা অনেক দিন আগেই গত হয়েছেন — একমাত্র ভাই তার পরিবারের সাথে কোলকাতায় সেটল । আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা –…
Read Moreএকটু ভাবুন
গত ১৫ ই মার্চ ২০১৬, জনৈক বাংলা দৈনিকে একটা লেখা পড়ে ভীষন আশ্চর্য হয়ে গেছিলাম। ভারতবর্ষ কি পুরুষ বিদ্বেষী রাষ্ট্র? প্রায় একডজন যুক্তি তার সপক্ষে দাঁড় করানো হয়েছিল।এখন অনেক জায়গাতেই শোনা যায় স্বাধীনচেতা আধুনিকা নারীর তত্ব। আসলে পুরুষতন্ত্র বা নারীবাদ দুটোর কোনওটাই কোনও রাষ্ট্রের মজ্জাগত সমাজবিভাজনের পক্ষে আদর্শ হতে পারেনা। এর থেকে অনেক বেশী রাষ্ট্রের উন্নতি হতে পারে যদি মানবতাবাদকে গুরত্ব দেওয়া হয়।একধরনের পুরুষের একনায়কতন্ত্র যেমন সৃষ্টিশীল এক শক্তিকে কুক্ষিগত করে রাখে সংসারের বিধান দিয়ে।তাদের কাছে নারী মানেই সকাল থেকে রাত অবধি সংসারের ফাইফর্মাশ খাটবে, কারণে অকারণে ফোঁস করা যাবেনা।…
Read Moreবুক !!
”ঠিক করে বসো সোনা ! আর কতবার শেখাবো যে মেয়েদের নীচু হয়ে বসতে নেই ! অতো ঝুঁকে বসো কেন তুমি ? বারবার বারণ করা সত্ত্বেও গলা বারো জামা গুলোই তুমি কেনো কেন বলতো !”এরকম কথা গুলোর সম্মুখীন হতে হয় আমাদের অনেকেরই রোজ ! রাস্তাঘাটে ‘ বুক ‘ প্রসঙ্গে শুনতে হয় , উফফ কি লাগছে ! ফুল ডবকা মাল ! এরকম আরো কত কি ! যদিও আলোচিত ‘বুক’ বিষয়ে পুরুষদের প্রতি ভগবান একটু কার্পণ্য করেছেন বটে ! না হয় মেয়েদের একটু বেশিই দিয়েছেন তাই বলে চারিদিকে এতো গরম হাওয়া ? সহ্য…
Read MoreHAPPILY EVER AFTER
Everyone is not suitable for everything, this fact was understood by Trisha very well. Neither she was suitable for the life which her husband chose for her, Nor her husband was suitable for her, they were poles apart, so she took the liberty of freeing her husband and came to her city, ‘the city of joy’.However, things wouldn’t have been easy for her over here as well, if she did not have her Parent’s support and Suneil’s love. Suneil was a autistic 6 yrs old child who was a resident…
Read Moreহানিমুন
আজও ওরা পাহাড়ের বেশ কিছু সুন্দর জায়গা দেখে সন্ধেবেলা হোটেলে ফিরলো। সেই সৌম্যদর্শন বৃদ্ধ লবিতে বসেছিলেন,বললেন“এই যে কেমন ঘুরলে তোমরা ? এই দক্ষিণের ট্রাইবাল ভিলেজটা তোমরা একবার দেখতে যেতে পার – – -” ঘরে ফিরে রীমা বললো “দেখো ঐ বুড়োকে এড়িয়ে চল, নইলে দেখবে রোজ জ্বালাবে। ” সুমন ওকে কাছে টেনে নিয়ে বলল, ”ছাড়োতো ওসব কথা , এবার একটু – – -” তৃতীয় দিন ওরা অনিচ্ছা সত্তেও সেই বৃদ্ধের রুমে গেল। ৫০তম বিবাহবার্ষিকী , বারবার বলেছিলেন। সারাঘরে ৫০টা মোমবাতি জ্বলছে, প্রচুর ফুলে সাজানো , একদিকে ধুপবাতি জ্বলছে। একটা গরদের শাড়ী…
Read Moreবকশিশ
ব্যাঙ্কে একটা চেক জমা দিয়ে বেরুনোর সময় নন্দলালবাবুর নজরে এল, একটা স্লিপ হাতে এক বয়স্কা ভদ্রমহিলা একে ওকে কী যেন অনুরোধ করছেন। সকলেই তাকে এড়িয়ে চলে যাচ্ছে। নন্দলালবাবু ওনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কী ব্যাপার? -এই দেখ না বাবা, আমি কিছু টাকা তুলব।, কিন্তু, কাউকে দিয়ে লেখাতে পারছি না। নন্দলালবাবু হাত ঘড়িটা দেখে নিয়ে বললেন, ঠিক আছে আসুন আমার সঙ্গে, আমি না হয় লিখে দিচ্ছি। ফাঁকা একটা টেবিলে বসে নন্দলালবাবু পাশবই আর স্লিপটা ওনার কাছ থেকে নিয়ে বললেন, কত টাকা তুলবেন? -সাত হাজার টাকা, বাবা। স্লিপটা পূরণ করে ভদ্রমহিলাকে বললেন, নিন, এখানে…
Read Moreচিঠি
গভীর রাতে গোটা কলকাতা নিঝুম ঘুমে গড়িয়ে গেল।জোড়াসাঁকোর সদরের গ্যাসের আলো গুলিও ঘুমোল বোধ হয়। আমি চুপিচুপি উঠে তখন তোমার চিঠি পড়েছি। বেলি ঘুমোচ্ছে ধরো আর শিয়রের জানলা দিয়ে একটু খানি চাঁদ আলো অনেক খানি দখিন বাতাস নিয়ে ঢুকে পড়লো ঘরে—ম্রিয়মাণ সেজের বাতি একটু কেঁপে নিভে গেল কেমন,আমি তখন স্পর্শ দিয়ে তোমার লেখা পড়ি। একটু একটু করে ছুঁয়ে ফেলি তোমার মান অভিমান আটপৌরে সংসার ভাবনা —মনে হয় পদ্মা পার থেকে বেলির বাবা এসে আমাদের ঠিক পাশটিতে বসেছেন। তোমার শরীর গন্ধ,আর দৃঢ়তর কাঁধ থেকে নেমে আসা কোমল বাহু আমাকে ছুঁয়ে দিল…
Read More