রাজু

বান্দ্রা স্টেশনের এক কোনায় বসে রাজু লোকাল ট্রেনগুলোর আসা যাওয়া দেখছিল । আর বারবার তাকাচ্ছিল দিদিমণি কখন আসবে । প্রতিদিন অফিস শেষে দিদিমণি ফিরে যায় । প্রায়ই একটি খাবারের প্যাকেট হাতে দেয় , তাতে ওর রাতের খাওয়া হয়ে যায় । টুম্পার সঙ্গে ওর দেখা হওয়া যেন এক দৈবযোগ । একদিন প্ল্যাটফর্মের ভিড়ে একটি চোর ওর হাতের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালাচ্ছিল । ও ছুটে গিয়ে ওর কাছ থেকে তা কেড়ে নিয়ে এসে টুম্পাকে ফিরিয়ে দেয় । সেই থেকে এই গরিব ছেলেটির প্রতি ওর মায়া পড়ে গেছে । প্ল্যাটফর্মেই ওর জীবন ।…

Read More

রক্তবন্ধন

আজ জন ফিরে যাচ্ছে । এই দিয়ে ও তৃতীয়বার এসেছে এই ছোট্ট গ্রাম সুদামপুরে সুদূর আমেরিকা থেকে । জনার্দনের এখানে একটা ছোটো দোকান আছে । একমাত্র ছেলে রথীন্দ্রকে অনেক কষ্টে পড়াশোনা করিয়েছিল । তবে ও মেধাবী ছিল , পরিশ্রমী ছিল , সাইকেল করে স্কুল যেত , বৃত্তি পেতো ,তাই সবাই ওকে ভালবাসতো । তারপর শহরের কলেজে গেল , সেখানেও ভাল ফল করে কিভাবে যেন আমেরিকা চলে গেল । এরপর সামান্য যোগাযোগ রাখতো , মাঝেমধ্যে টাকা পাঠাতো আর শুধু একবার মাত্র এসেছিল । রথীন্দ্র ওখানে এক মেম বিয়ে করে । জন ওদের…

Read More

ছেলের বাড়ি

গতকাল টিয়া দুবার বলেছে “বাবা রোববারে বাড়িতে বসে থাকবেন কেন,যান অমুল্যকাকার ওখানে ঘুরে আসুন । নয়তো একটা ভাল ছবি হচ্ছে দেখে আসুন । ” আজ সকালে সুজয়ও বললো “ড্রাইভার তোমাকে পৌছে দেবে আমি পরে নিয়ে আসব । ” ছেলের বাড়িতে এসে এমন ভালবাসা পেয়ে হরনাথ ভীষণ খুশি । তবে ও কোথাও যাবেনা বলেছে । কদিনের জন্য এসেছে বাড়িতে থাকাই ভাল । খবরের কাগজ খুজতে ও সুজয়ের ঘরের দিকে এগোলো । দরজায় পৌছে ও শুনতে পেল সুজয় বলছে“বাবাতো যেতেই রাজি নয় কী করবে ? ” টিয়া বললো “বোঝ এখন । সন্ধেতে…

Read More

উরি

uri

ছাউনিতে শায়িত ওরা, মুদ্রিত চোখ দিয়েছে আহুতি আমাদের বীর সন্তান শত্রুর গুলিতে রক্তাক্ত শরীর , বাঁচাতে ত্রিরঙ্গা আকাশে দেশবাসী এস কাঁধ দি, ওদের বিদায়ের পথে । সুদূর গাঁয়ে লোক জমে কুটিরের পাশে পুত্রের সংবাদে কাঁপে পৃথিবী বৃদ্ধা মায়ের, শোকাতুর পরিজন । তাকায় অবুঝ শিশু চতুর্দিকে দেশবাসী এস দু বিন্দু অশ্রুপাত করি শহীদের তরে। ধৈর্য্যের সীমা আছে, যদি পিঠ লাগে দেয়ালে বিস্ফোরিত হয় ক্রোধ প্রচণ্ড গর্জনে মানুষ জমায়িত পথে, পার্কে, মাঠে চতুর্দিকে দেশবাসী এস প্রতিকার চাই দুর্বার সোচ্চারে । Shivaji Sanyalশিবাজী সান্যাল একটি বহুজাতিক বানিজ্যিক সংস্থায় দক্ষিণ এশিয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ পদ…

Read More

বিবাহ বার্ষিকী

অনেক চেস্টা করেও দীনেন আটকাতে পারলোনা । ছোটো মেয়ে সঞ্চারী আশাপূর্ণাকে নিজের কাছে নিয়ে গেল । বললো ,“মার একটু বিশ্রাম দরকার ,আমার কাছে মাসখানেক থাকবে । ” কিন্তু গেলে কী হবে ? সকাল বিকেল দীনেন ফোন করতে লাগল কখন ওর প্রেসারের ওসুধ , কখন ডাইবেটিসের ওসূুধ আশাকে দিতে হবে । ওরা যেন ঐ পিজা বা পাস্তা ওকে না খাওয়ায় । ওর পাতলা ঝোলভাত খাওয়াই ভালো । ১৬ দিনের মাথায় , সবাইকে অবাক্ করে দীনেন মাঝরাতে মেয়ের বাড়িতে পৌছে গেল । সঞ্চারী বললো ,“বাবা তুমি মাকে ছেড়ে একদম থাকতে পারো না…

Read More

হানিমুন

আজও ওরা পাহাড়ের বেশ কিছু সুন্দর জায়গা দেখে সন্ধেবেলা হোটেলে ফিরলো। সেই সৌম্যদর্শন বৃদ্ধ লবিতে বসেছিলেন,বললেন“এই যে কেমন ঘুরলে তোমরা ? এই দক্ষিণের ট্রাইবাল ভিলেজটা তোমরা একবার দেখতে যেতে পার – – -” ঘরে ফিরে রীমা বললো “দেখো ঐ বুড়োকে এড়িয়ে চল, নইলে দেখবে রোজ জ্বালাবে। ” সুমন ওকে কাছে টেনে নিয়ে বলল, ”ছাড়োতো ওসব কথা , এবার একটু – – -” তৃতীয় দিন ওরা অনিচ্ছা সত্তেও সেই বৃদ্ধের রুমে গেল। ৫০তম বিবাহবার্ষিকী , বারবার বলেছিলেন। সারাঘরে ৫০টা মোমবাতি জ্বলছে, প্রচুর ফুলে সাজানো , একদিকে ধুপবাতি জ্বলছে। একটা গরদের শাড়ী…

Read More