বাসন্তীর বাড়ী

“ও, তোমার সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা পিওন- সেই বান্ধবী, ওঃ তুমি পারও বটে জোটাতে”। ব্যাঙ্গ ভাবে কথাগুলো বলে অপাঙ্গে দ্যুতির দিকে তাকিয়ে অনি সিগারেট ধরাল।দ্যুতি ভাবলেশহীন মুখে বাঁ কানে নতুন কেনা দুলটা পড়তে পড়তে শান্ত স্বরে উত্তর দিলো, “হ্যাঁ, আমার সাধারণ বান্ধবী পিওন”। বাসে, অটো ও মেট্রো তে যাতায়াত করে আমি যে কত সমৃদ্ধ হয়েছি – কত যে সাধারণ মানুষের সাথে আলাপ হয়েছে, ভালো লাগে আমার, আমি কৃতজ্ঞ যে তোমার গাড়ী আর আমায় অফিসে নামায় না। দ্যুতির এই শান্ত উত্তরে অনি বেশ অবাক হল। খবরের কাগজে চোখ বোলাতে বোলাতে প্রত্যুত্তর…

Read More

সাহস

আমার দিদার মা নিভাননী ছিলেন অতি সাহসী মহিলা। ছয় ছেলেমেয়ে নিয়ে তার বিরাট সংসার, স্বামী থাকেন দূরে। তার ক্ষেত খামারে যে সব মুনিস, রাখাল, বাগাল সারাদিন ধরে কাজকর্ম করত, তারাই আবার সুযোগ বুঝে মালিকের বাড়ীতে চুরিও করত। একদিন, গরমের রাত। নিভাননী, তার শোবার আগে, সমস্ত ঘরগুলিতে নজরদারি চালিয়ে নিয়েছেন, সিঁড়ির কোণাগুলো, সিঁড়ির নীচে ইত্যাদি সব জায়গায়। তারপর উনি যখন অভ্যাস মত তার পা দুটো খাটের পাশে রাখা পাপোশে মুছে, ছোটো সিঁড়ি দিয়ে বিশাল উঁচু পালঙ্কে উঠতে যাবেন, দেখেন, আলনার জামা কাপড়ের আড়ালে ও খাটের পাশে একটা মিশকালো শুঁটকো লোক পিছন…

Read More

আমাদের পেন্সিল খেলা

নামজাদা এক মিশনারি স্কুলে পড়াশোনা করেছি। আনন্দময় এক আশ্বিনের সকালে হঠাৎ মনে পড়ল ছেলেবেলায় হারিয়ে যাওয়া এক অভিনব খেলার কথা। আমরা খেলাটি খেলতাম ক্লাসে – নিয়মিত- টিফিনের সময়। খেলাটি হল, পাশাপাশি খাতাগুলো রেখে – যা নাকি বাড়িঘর-অফিস কাছারি- স্কুল কলেজ- পাড়া – রাস্তা ইত্যাদি, আর ছিল নানা আকারের পেন্সিল, যারা প্রতিনিধিত্ব করত আমাদের আশেপাশের মানুষজনকে – যাদের সঙ্গে ছিল আমাদের রোজকার ওঠাবসা, নানান আদান প্রদান, বিনিয়োগ ইত্যাদি। সেইসব চরিত্ররা, যেমন বাবা,মা,ভাই,বোন,আত্মীয়স্বজন,পাড়া-প্রতিবেশী,শিক্ষিকা,বন্ধুরা মায় মুদিওয়ালাও পর্যন্ত নানান পেন্সিলের মাধ্যমে ও আমাদের monologue এ প্রান পেয়ে অনর্গল বিভিন্ন স্বরক্ষেপনে, আবেগে জীবন্ত – প্রাণবন্ত…

Read More