আজ হোলি খেলব শ্যাম

উতলিকা হাউজিং কমপ্লেক্সের চল্লিশতম তলার ব্যালকনিতে বসে শ্যামলবাবু অতীতে হারিয়ে গেলেন এক দোলের দিনে। এখনকার ছেলে-মেয়েরা তো দোল খেলতেই জানে না। মেজো মেয়ে অরূণিমা গত পরশু এসেছে। সঙ্গে এসেছে বারো বছরের নাতি পাপ্পু। আবিরের বাটিটা হাতে নিয়ে শ্যামলবাবু ডাকলেন পাপ্পুকে, এই পাপ্পু, আয় একটু কাছে, তোকে একটু রঙ মাখিয়ে দিই।সে তো কিছুতেই রঙ মাখতে চায় না। বলে, না দাদু রঙ দিও না, মা বকবেন, রঙ মাখলে শরীর খারাপ করবে। শ্যামলবাবুর মনে পড়ে যায় ছোট বেলার কথা। তখনকার দিনে মা বাবারা এমন ভাবে ছেলেমেয়েদের তুতুবুতু করে রাখতেন না। বেলা আটটা নটা…

Read More

স্বামীকে মানুষ

এই মেয়েকেও পছন্দ হয়ে গেল মণিরাদেবীর। ছেলেরও পছন্দ। কিন্তু, মণিরাদেবীর চিন্তা অন্যখানে। এর পূর্বেও কয়েকটি মেয়েকে পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু, মণিরাদেবীর শর্ত শুনে ওই মেয়েরা কেউই বিয়ে করতে রাজি হয় নি। মণিরাদেবীর আশঙ্কা এই মেয়েটিও যদি পিছিয়ে যায়! ওই বাড়ি থেকে বেরুনোর সময় মণিরাদেবী মানসীকে ফের ডেকে পাঠালেন, মানসীর চিবুক ছুঁয়ে বললেন, মা, তোমাকে আমার বেশ ভালো লেগেছে। আমি আলাদা ভাবে কিছু কথা বলতে চাই তোমার সঙ্গে। পার্স থেকে একটা ছোট কাগজ বের করে মানসীর হাতে দিয়ে বললেন, এতে আমার মোবাইল নম্বর আছে, তুমি আমায় ফোন কোরো। দুরু দুরু বক্ষে একদিন…

Read More

বার্বি ডল

রীমাদেবী সবে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছেন আর তখনই ডোরবেলটা বেজে উঠল বলে উনি একটু অবাকই হলেন, এই ভর দুপুরে আবার কে এলো? কষ্ট করে উঠে দোতলার বারান্দায় গিয়ে নিচে তাকালেন আর মনটা খুশিতে ভরে উঠল। হাসি হাসি মুখ করে উপরের দিকে তাকিয়ে আছে সীমা, ওনার ছোট মেয়ে।মেয়েকে দাঁড়াতে বলে রীমাদেবী তার নাতিকে বললেন, যা তো রে লাট্টু, নিচের দরজাটা খুলে দিয়ে আয়, তোর রাঙা পিসি এসেছে। রাঙা পিসি এসেছে, রাঙা পিসি এসেছে বলতে বলতে নিচে গিয়ে দরজাটা খুলে দিল লাট্টু। রাঙা পিসিকে একা দেখে জানতে চাইল, মিষ্টুকে আননি? – আমি…

Read More

বকশিশ

ব্যাঙ্কে একটা চেক জমা দিয়ে বেরুনোর সময় নন্দলালবাবুর নজরে এল, একটা স্লিপ হাতে এক বয়স্কা ভদ্রমহিলা একে ওকে কী যেন অনুরোধ করছেন। সকলেই তাকে এড়িয়ে চলে যাচ্ছে। নন্দলালবাবু ওনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কী ব্যাপার? -এই দেখ না বাবা, আমি কিছু টাকা তুলব।, কিন্তু, কাউকে দিয়ে লেখাতে পারছি না। নন্দলালবাবু হাত ঘড়িটা দেখে নিয়ে বললেন, ঠিক আছে আসুন আমার সঙ্গে, আমি না হয় লিখে দিচ্ছি। ফাঁকা একটা টেবিলে বসে নন্দলালবাবু পাশবই আর স্লিপটা ওনার কাছ থেকে নিয়ে বললেন, কত টাকা তুলবেন? -সাত হাজার টাকা, বাবা। স্লিপটা পূরণ করে ভদ্রমহিলাকে বললেন, নিন, এখানে…

Read More

Made for each other

made-for-each-other

Satyaban was glancing through the Matrimonial column of a local daily when he came across a strange advertisement. It claims that the organization can identify perfect match for those who are seeking life partners. For this a highly professional software developed by a German Company is being used. The software was launched three years ago and in the meantime there are thousands of couples who are happily married. They do not charge any fee for registration; however donations are welcome. Satyaban being a software engineer himself got interested and filled…

Read More