আদিরাশাহ মা বাপের সঙ্গে ঝগড়া করে তিনহাজার টাকা আদায় করেছে। তারপর গেল সেই মস্ত জুতোর দোকানে। বিদেশী ব্র্যান্ড,এখন এই ছোট্ট শহরেও খুলেছে তার আউটলেট। অনেক অপশন থাকে না,তবুও যা আছে যথেষ্ট। বিষ্টুপুরে ঘুরতে গেলে আদিরা ঐ দোকানটার কাঁচের ওপিঠে নজর ফ্যালে। দেখে এক তন্বী ম্যানিকুইনের সাদা পায়ে লাল স্টিলেটো। লাল দুটি সিল্কের লেস ক্রিসক্রস করে হাঁটু পর্যন্ত বাঁধা। আদিরা ঠোঁট ফুলিয়ে আম্মিকে আব্দার করলো -“খরিদ দিজিয়ে না। ” শায়রা চোখ কপালে তুলে বললো-“ইয়া আল্লাহ । তিনহাজার কি চপ্পল!!বাছা,আমাদের কি সেই হ্যাসিয়ত!” মেয়ে গোঁসা করলো। তাদের দুকামরার ছোট কোয়ার্টারে আঁধার নেমে…
Read MoreAuthor: Barnali Mukherjee
না-কথা।
শীর্ণ একটা অন্ধকার দুজনের মাঝখানে আটকে রইলো। ফলতঃ আমরা এক কৌনিক দুরত্ব বজায় রেখে গেলাম বরাবর। সেই দুরতিক্রম্য অন্ধকার থেকে যে সৌরভ ভেসে এলো তা আমার চির চেনা কেলভিন ক্লেন্স। তার প্রিয় ছিল। অথচ অপার্থিব আলোরা,বরাবর যেমন থাকে ,মৃদু ইন্দ্রজালে,তেমনই ছিল তাজ বেঙ্গলের লাউঞ্জে। লেমন গ্রাসের অলৌকিক সুবাস টুকুও।শুধু আমার ইন্দ্রিয় গুলি তার শরীরের সুগন্ধ টুকু খুঁজে নিচ্ছিল কেবল। চোখ শুধু তাকেই দেখছিল। যদিও দৃষ্টি আনত তাও দেখলাম ,তার গাঢ় নীল ফর্মাল ট্রাউজার্সের সঙ্গে মানানসই স্টিলেটো। সে এখানে কি ভাবে? কেন?একযুগ পেরিয়ে এলে ভাঙা সম্পর্ক, হুড়মুড়িয়ে এ কৌতুহল প্রকাশ করা…
Read Moreচিঠি
গভীর রাতে গোটা কলকাতা নিঝুম ঘুমে গড়িয়ে গেল।জোড়াসাঁকোর সদরের গ্যাসের আলো গুলিও ঘুমোল বোধ হয়। আমি চুপিচুপি উঠে তখন তোমার চিঠি পড়েছি। বেলি ঘুমোচ্ছে ধরো আর শিয়রের জানলা দিয়ে একটু খানি চাঁদ আলো অনেক খানি দখিন বাতাস নিয়ে ঢুকে পড়লো ঘরে—ম্রিয়মাণ সেজের বাতি একটু কেঁপে নিভে গেল কেমন,আমি তখন স্পর্শ দিয়ে তোমার লেখা পড়ি। একটু একটু করে ছুঁয়ে ফেলি তোমার মান অভিমান আটপৌরে সংসার ভাবনা —মনে হয় পদ্মা পার থেকে বেলির বাবা এসে আমাদের ঠিক পাশটিতে বসেছেন। তোমার শরীর গন্ধ,আর দৃঢ়তর কাঁধ থেকে নেমে আসা কোমল বাহু আমাকে ছুঁয়ে দিল…
Read More