নেশার ঘোরে জড়িয়ে আছো বন্ধন
এখন শুধু বাসি ফুলের গন্ধ
হয়তো শুরু করতে হবে তর্পণ
নদীর জলে ভাসিয়ে দিয়ে দর্প
ভুলের ফাঁদে পিছলে গেলে রাস্তায়
ফুরিয়ে যাবে নিজের প্রতি আস্থা
দাঁড়িয়ে গেলে জমেই যাবে ঠাণ্ডায়
মিইয়ে যাবে শেখানো সব ফাণ্ডা
গাছের মত আলোর টানে বৃদ্ধির
উপায় নেই যা কিছু থাক সিদ্ধি
ভুলেও যদি সুযোগ খোঁজো পাঙ্গার
বিপদ এসে করবে নিজেই নাঙ্গা
ভজন গানে মুখর ছিল প্রাঙ্গণ
হঠাৎ করে আসর হল সাঙ্গ
পথের ধারে দেখলে সুখী প্রান্তর
বুঝতে হবে আদতে সব ভ্রান্ত
আলোর থেকে ছিনিয়ে নিতে রক্তিম
বিলিয়ে দিলে লুকোনো সব শক্তি
ভেতরে তাও বাড়তে থাকে জঙ্গল
এটাই বুঝি চরম-তম রঙ্গ
সামনে পথ এখন খুব বন্ধুর
বুঝতে হবে কে যে সঠিক বন্ধু
ভুলের ফাঁদে হারিয়ে গেলে সন্ধ্যায়
থাকতে হবে সারা জীবন বন্ধ্যা
চলার পথ যখন হল ভঙ্গিল
পালটে গেল কথার কত ভঙ্গী
তোমার হয়ে ধরত যারা সঙ্গিন
তারাই আজ ভিন্ন কারো সঙ্গী
বিপদ দেখে দাঁড়িয়ে কেন রাস্তায়
এই বাজারে মুখোশ বড় সস্তা
গোপন ঘরে অস্ত্র আছে হত্যার
নিলাম ডাকে বিকিয়ে যাবে সত্তা
মেলার ভিড়ে চলছে খেলা শব্দর
একলা হলে নিমেষে সব স্তব্ধ
এখন আশা অলীক কোনো সৃষ্টির
হারিয়ে যায় দূরের যত দৃষ্টি
যদিও তুমি সাধক ছিলে তন্ত্রের
সময় বুঝে পালটে নাও মন্ত্র
নতুন সাজে মানিয়ে যাক বন্ধন
সময় তুমি একটু থেকো অন্ধ

Saptaswa Bhowmik
উল্লেখ করার মতো কোনো লেখক পরিচিতি আমার নেই। নিজস্ব উদ্যোগে ‘অনিকেত তথাগত’, ‘প্রেমে ও পরাগে’ এবং ‘উদাসীন অন্ধকার’ নামে তিনটি কাব্য-গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এক সময় কিছু দৈনিক ও ক্ষুদ্র পত্রিকায় কিছু কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ ও অণু-গল্প প্রকাশিত হত। কিছুদিন হল সে সব প্রায় বন্ধ।