আমাদের মধ্যে বিরাজ করেন আত্মা এবং অহংবোধ। একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে যে এই দুটি বস্তু সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী।এই দুই বিপরীতধর্মী বস্তুর সহাবস্থান আছে আমাদের অন্তরে। আলো -অন্ধকার ,দিন -রাত্রির মতোই এরা যুগপৎ অবস্থান করে আছে।আমাদের কথায় মূলতঃ প্রাধান্য পায় এই অহং। আমার ছেলে ,আমার স্বামী ,আমার বাড়ী ,আমার টাকা -আরও কত কী। কিন্তু এই ‘আমি ‘বা ‘আমার ‘উৎপত্তিস্থল কোথায় ? উপনিষদে ‘অহম ক:’?-এই প্রশ্ন আছে। আমি কে ?কোথা থেকে এলাম ?মৃত্যর পরে আমি কোথায় যাব ?এরই নাম আত্মজিজ্ঞাসা। আত্মজিজ্ঞাসা মানে আত্মাকে জানার ইচ্ছা। বেদান্তের মূল তত্ত্বই হচ্ছে…
Read MoreYear: 2018
ঠান্ডা-গরম
আপনাদের কার কার গরম খাওয়ার বাতিক আছে শুনি? না, ঠান্ডা করকরে ভাত, কি নেতিয়ে চিমসে যাওয়া টোস্ট খেতে মোটেই বলছি নে, ও আবার কারো ভাল্লাগে না কি? কিন্তু এমন অনেকেই আছেন না, যাঁদের খাদ্য বা পানীয়, বাঞ্ছিত উষ্ণতার থেকে সামান্য, অতি সামান্য, রতি মাত্র কমে গেলেই মুখ ভার, কান কটকট, পেটে ডিফার্যানশ্যাল ক্যালকুলাস ইত্যাদি হয়?এঁরা মহান লোক মশাই।এঁরা অক্লেশে আগুন-গরম ফিশফ্রাই তে প্যাকম্যানের মত হাঁ করে কামড় বসান, ফুটন্ত স্যুপ সুড়ুৎ করে গলা দিয়ে গলিয়ে ফেলেন, কড়াই থেকে সটাং পাতে আসা ফুলকো লুচিকে ফুস্করে দিতে গিয়ে এঁদের চম্পকাঙ্গুলিতে একটুও ফোস্কা…
Read Moreফিস কেক
আমরা তো অনেক রকম কেক এর কথাই জানি, আর আমাদের মতন বাঙালীদের ‘কেক’ শুনলে প্রথমেই মনে পড়ে বড়দিনের কথা- সাথে ফ্রুট কেক, প্লাম কেক আরও কত কি!এবার আমি বলব এক নতুন ধরণের কেক – ফিস কেকের কথা। এটি বানাতে লাগবে – রুই বা কাতলা মাছের পেটি – ৫ খানা (বড়) পেঁয়াজ আদা রসুন টমেটো আলু – একটি (বড়) ধনেপাতা হলুদ গুঁড়ো গরম মশলা গুঁড়ো ভাজা জিরে গুঁড়ো ডিম – ৪টে সাদা তেল এবার বলি, কি ভাবে বানাতে হবে; মাছের পেটিগুলোকে হলুদ মাখিয়ে জলে সেদ্ধ করতে হবে মাছ নরম হয়ে এলে,…
Read Moreচুপকথাদের রূপকথা
চারপাশে কত পবিত্র উচ্চারণ–কত বিচিত্র রূপ, কত ছায়ার কথা,কথার ছায়া– তুমি কেন নিশ্চুপ? ঐ শোন বাজে সুর -ছন্দের যোগ্য যুগলবন্দি, ওদের সাথে করেই ফেলো এবার কলমসন্ধি। তোমার বুকেও বারুদমাখা আকাশ মাটির গল্প, দুটি চোখের ক্যানভাসে যে রঙিন চিত্রকল্প। আঙুলজুড়ে শব্দেরা সব করছে কেমন খেলা, আলোর রঙে তোমার কলম ডোবাও না এইবেলা। বাঙ্ময় হোক চুপকথারা– নীরব আছে যারা, উন্মুখ মন অপেক্ষাতে হাসুক রূপকথারা। ShilpidasStudied at LakeTown Girls’ High School, Bolpur Girls’ High School ,Visva Bharati. Living at Bolpur.More Posts
Read Moreস্বীকৃতি
ফোনটা হাতে নিয়ে কন্ট্যাক্টলিস্টে শুধু একটা নামকে দেখেই সময় কাটে অমিতের। মানে যখন খুব একা লাগে, ও দেখেছে, নামটা দেখলেই ওর বেশ একটা ভাললাগতে শুরু করে। মাঝে মাঝে এরমটাও হয়েছে, নামটা দেখছে…আর ঐ নামটা থেকেই ফোন এসেছে। ফোনটা বেজে যায়…. হ্যাঁ, বেজে যায়, অমিত ফোনটা ধরে না …. চোখের সামনে বাজতে বাজতে ফোনটা থেমে যায়; অমিত বিধাতাকে ধন্যবাদ জানায়; ফোনটা আসে ….মাসে একবার, দুমাসে একবার, তিনমাসে একবার। আসে, বেজে যায়। কিন্তু আসবেই। সে এখনো মনে রাখে তাকে, ভোলে নি। অমিত জানে, ভুলবেও না। ************************************************ সবাই এসে গেছে, ঐ হতচ্ছাড়া গৌরবটার…
Read Moreশুভদৃষ্টি
এখনও পাশের বাড়ির থেকে শাঁখ আর উলুর আওয়াজ আসছে ।পিউ-এর বিয়ে হয়ে গেল কিংশুকের সাথে ।কিংশুক নাম করা ডাক্তার ।পিউ যথেষ্ট সুন্দরী ।অরুনাভ বোঝে সব ।তবু আজকের দিনে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে ।কোন ছোট্টবেলা থেকে পিউ আর অরুনাভ-এর প্রেম ।সবাই জানতো, ওদের বিয়ে হবেই ।সব কিছু ঠিক থাকলে হয়তো আজ পিউ-এর সাথে কিংশুকের বদলে অরুনাভ-এর বিয়ে হত ।কিন্তু………… অন্ধকার ছাদে একলা বসে আছে অরুনাভ ।ওদের ছাদ আর পিউ-দের ছাদ লাগোয়া ।সেই কোন আমলে কাঠের সেতু তৈরি করেছিল অরুনাভ ছাদে ছাদে ওবাড়ি যাওয়ার জন্য, আজও সেই সেতুটা রয়ে গেছে ।শুধু মাত্র অরুনাভ…
Read Moreসম্মোহন
কে কাকে এড়িয়ে চলে কে কাকে জড়িয়ে ধরে পথে কে কাকে মাড়িয়ে চলে কে কাকে আঁকড়ে ধরে রথে এ যেন গোলক ধাঁধা কে দেবে গোপনে বাধা রাতে কার হবে পরাজয় ছিনিয়ে কে নেব জয় দাঁতে সব যেন ভোজবাজি কে কত কাজের কাজি …
Read Moreমৃত্যু
বদলবাবু আজও একটা স্কচ হাতে নিয়ে বারান্দায় বসে চিন্তা করেন সেই দিনগুলোর কথা। শিকারের আনন্দ তিনি ভুলতে পারেন না, একটা জন্তু কে মেরে ফেলার আনন্দ যে কি, তা বলে বোঝানো যায় না। জন্তু, মানে যাদের বুদ্ধি কম , যারা কোনো কিছু করার আগে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ওরা আবেগ সর্বস্য। বদলবাবু কারোর মৃত্যুর জন্য দায়ী নন। তিনি মনে করেন, তিনি কাঊকে হত্যা করেন নি , বরং মৃত্যুর মত একটি অমূল্য উপহার দিয়েছেন মাত্র। জন্তুটা বেঁচে থেকেই বা কি করত ? বদলবাবু মোটেও নিষ্ঠুর নন , তিনি তাঁর সংসার ও একমাত্র…
Read Moreআফসোস
জীবন সব সময় , সময় দেয় না। রিম্পা ছোট থেকেই বাবার থেকে কাকার বেশি কাছের ছিল । বাবা যেহেতু ব্যবসা নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকত , তাই সব আদর আবদার মেটাত ওর কাকা। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে কাকার কাছে চলে যেত।তারপর ব্রাশ করান , খাওয়ান , স্কুলে পৌঁচ্ছে দেওয়া , সর্বস্ব কাকার দায়িত্ব। কাকার একটা স্কুটার ছিল , আর সেই স্কুটারে সব সময় সামনে দাঁড়িয়ে যেত ও। কোন এক অজানা কারনে স্কুটারের পিছনে বসতে রিম্পার খুব ভয় করত। হয়ত রিম্পার মনে হত কেউ যদি পেছন থেকে তুলে নেয় ওকে, কাকা…
Read Moreআ্যটেন্ডান্স
ক্যালাস কতরকমের হয় …… সুকুমার যে আজ আসবে না, মনেই ছিল না চান্দ্রেয়ীর। বোকার মত ভেবে বসে আছে বিয়ের গিফটটা ওকে দিয়েই কেনাবে। আজ কাজ করতে করতে ১২টা নাগাদ মনে পড়ল সেই কথা। সন্ধ্যেতে অফিস থেকে সবাই মজুমদারের বিয়ে তে যাবে, সেই গিফট কিনতে এখন নিজেকেই যেতে হবে….কি আর করা! প্রনব স্যার কে বলে, ঘনশ্যামের গাড়িটা নিয়ে সোজা উল্টোডাঙার টাইটান শো-রুম। তাড়াতাড়ি না ফিরলে প্রচুর কথা শুনতে হবে…… গাড়ী থেকে নামার সময় ফোনটা বাজল; বুবুল।ফোন সাইলেন্ট করে, চান্দ্রেয়ী ভাবল, ঘড়িটা আগে কিনে নিই, ফেরার সময় ফোন করে নেব। দোকানে ঢুকতে…
Read More