সেদিন দুপুর বৃষ্টি অঝোর কফির কাপ ও দেরাজ ঘরে
শ্রীজাততে মন বসে না…মল্লিকা, জয় থাকলো পড়ে |
হাতের মুঠোয় জিয়নকাঠি ..চিলেকোঠায়..চৌপায়াতে
একলা বসি | মন দিয়ে আজ লিখব শুধুই আবছায়াতে |
কাব্যি এলে জিয়নকাঠি স্বমহিমায় চলতে থাকে
সাদাপাতায় মনের খাতায় কল্পলোকের গল্প আঁকে |
ঠিক তখনই মুখর হলো মুঠো ফোনে শ্যামের বাঁশী
“কেমন আছ?” বললো হেসে ভারি গলায় মিষ্টি মাসি!
মগজ জুড়ে আগল খোলা কাব্যকথার কলরবে,
এমন সময়, আছি কেমন?..সেই কথাটাই জানতে হবে!!
“ভালই আছি, তোমরা কেমন?…দুষ্টু আর জামাইবাবু?”
একশো কথায় খানিক সময় চলকে পড়ে বেবাক কাবু |
আবার করে লিখতে বসি মনের টুকরো জুড়ে দিয়ে
মেঘবালিকা উড়ায় আঁচল অস্তরাগের রঙীন নিয়ে |
ভালোবাসার যতেক আখর কলমজুড়ে বান ডেকেছে
লিখন মাতাল কবির খবর কবেই বা আর কে রেখেছে !
আগুন পাখায় ভর করে আজ পেরোই যখন অমরাবতী,
আবাদ জমি শরীর পাতে………সময় এখন গর্ভবতী !
কিন্তু আবার!! দ্বারে এবার, ঘন্টা জোরে জানান দিলো
ঝুম দুপুরে দর্শন চায়? আগন্তুককে? কেই বা এলো!!!
আবার ছুটে দরজা খোলা …সামনে দেখি দাঁড়িয়ে আছে ..
ভাইয়ের মত!!..ভাই তবু নয় !!..ফেরিওয়ালা , সাবান বেচে!
নষ্ট সময়, কথার খেলায় , বিদায় দিয়ে লিখতে বসি
নাছোড় ছন্দে কত আনন্দে লিখবে আমার কলমমসী |
কিন্তু কোথায়? আসেনা তো!!কথার স্রোত কী হারাল পথ!
ভাবের ঘরে আঘাত করি….বেরোয় যদি সেই সম্পদ..
বাইরে তখন অঝোর ধারা, নীল গলে তাই সবুজ হলো
বেঘোর ঘুরে শেষ দুপুরে ভাবনারা সব হারিয়ে গেলো
শূন্য চেতন, বিদ্ধ মনন, নীরদ বিন্দু আমার চোখেও
এমনি করেই ব্যস্ততারা সময় কাড়ে, জীবনটাকেও |
অবাক চোখে তাকিয়ে দেখি আমার আমি সামনে যে মোর
জড়িয়ে ধরে শুধোয় আমায়, “কী চাস বল?..যা ইচ্ছে তোর
সাতমহলা স্বপ্নপুরী ?……….আবির হুসেন প্রেমিক হবে?”
-“একটু নিভৃত, একটু গোপন, একটু আড়াল দিও তবে”.