ও রতনদা দাওনা কোন একটা কাজ
দুবেলা মুখপুড়ির মুখে ভাত,
আর এক টুকরো কাপড় পেলেই ঢাকবো মোর লাজ.
সেথায় তোমার কত পরিচিতি,কতজনই তো যায় ;
একটু চেষ্টা করেই দেখো যদি আমার কিছু একটা হয়.
শুনেছি এই শহরেই সবার ভাত জোটে,
মুখপুড়ির মুখেতে আগুন, তবু যদি হাসি ফোটে.
লোকটা তো আর এলোনা, সপ্ন দিয়েছিলো,
পেটে যখন মুখপুড়ি, তখনই বিদেই হলো.
মরণ, তখন যদি জানতাম নিতাম নাকি পেটে?
এমন করে বললো আমায়, যেন জীবন যাবে কেটে.
রবিবার করে আসত মিনসে ফুলএর মালা হাতে,
কতবার পড়িয়েছে গলায়, ছিঁড়েছে শেষ রাতে.
ইঁট ভাঁটার ওই মজুমদার কত্ত সেধেছিল,
আমি বলেছিলাম গতর আছে, খাটিয়ে খাবো,
তোর বিছানায় কেন যাব ?
কিন্তু হলো তো সেই, লাগলো কালির পোঁচ,
পোড়ামুখি জন্ম নিল, বাপের নেইকো খোঁজ.
বুকের দুধে আর কুলাবে কি, সেও গিয়েছে শুকিয়ে,
একবেলা ফ্যান খাই, আরেক বেলা ভাত নুন দিয়ে.
রতন এবার কাজ এনেছে বাবুর বাড়ি যাব,
দুই বেলা পেট পুরে খাওয়া, সঙ্গে কুড়িটি টাকা পাব.
বাবুর বাড়ি একটু খানি ঘুম এসেছিল বটে,
বাবুর ছেলে সেই সুযোগে আমার শরীর চাটে.
ঘেন্নায় বমি পেল, ছুটলাম রাস্তা ধরে,
বুকের মাঝে মুখপুড়ি, কেঁদে উঠল ডুকরে.
সান্তনার হাত মাথায় রেখেই বললাম
ওরে যায়নিকো এখনো শরীর খানা, সম্মান নিয়েই চললাম.
দু দিন শুধুই জল খেয়েছি পথের ধারে কলে,
মুখপুড়ির খাবারে টান, দুধ আর কই মেলে.
রাঙ্গা মাসী আজ দুপুরে নিয়ে এলো সাথে,
অনেক আরও আমার মতই এখানেতে থাকে.
নাম গুলো এদের নাকি মা বাবার দেওয়া নয়,
কাজ করলেই পয়সা পাবে এই তো পরিচয়.
আমিও পেলুম কাদম্বরী,
খেতে পেল দুটি মুখপুড়ি.
এখন রোজ সকালে ঘুমিয়ে উঠে মুখের কালি তুলি,
শরীর না হয় বেঁচে দিয়েছি, মেয়েকে কেমনে ভুলি?
সন্ধায় পর রঙ্গরসে সব চট্চটে হয় যখন,
অবাক চোখে তাকায় মুখপুড়ি, কিছু বোঝে কি তখন?
দুবেলা মুখপুড়ির মুখে ভাত,
আর এক টুকরো কাপড় পেলেই ঢাকবো মোর লাজ.
সেথায় তোমার কত পরিচিতি,কতজনই তো যায় ;
একটু চেষ্টা করেই দেখো যদি আমার কিছু একটা হয়.
শুনেছি এই শহরেই সবার ভাত জোটে,
মুখপুড়ির মুখেতে আগুন, তবু যদি হাসি ফোটে.
লোকটা তো আর এলোনা, সপ্ন দিয়েছিলো,
পেটে যখন মুখপুড়ি, তখনই বিদেই হলো.
মরণ, তখন যদি জানতাম নিতাম নাকি পেটে?
এমন করে বললো আমায়, যেন জীবন যাবে কেটে.
রবিবার করে আসত মিনসে ফুলএর মালা হাতে,
কতবার পড়িয়েছে গলায়, ছিঁড়েছে শেষ রাতে.
ইঁট ভাঁটার ওই মজুমদার কত্ত সেধেছিল,
আমি বলেছিলাম গতর আছে, খাটিয়ে খাবো,
তোর বিছানায় কেন যাব ?
কিন্তু হলো তো সেই, লাগলো কালির পোঁচ,
পোড়ামুখি জন্ম নিল, বাপের নেইকো খোঁজ.
বুকের দুধে আর কুলাবে কি, সেও গিয়েছে শুকিয়ে,
একবেলা ফ্যান খাই, আরেক বেলা ভাত নুন দিয়ে.
রতন এবার কাজ এনেছে বাবুর বাড়ি যাব,
দুই বেলা পেট পুরে খাওয়া, সঙ্গে কুড়িটি টাকা পাব.
বাবুর বাড়ি একটু খানি ঘুম এসেছিল বটে,
বাবুর ছেলে সেই সুযোগে আমার শরীর চাটে.
ঘেন্নায় বমি পেল, ছুটলাম রাস্তা ধরে,
বুকের মাঝে মুখপুড়ি, কেঁদে উঠল ডুকরে.
সান্তনার হাত মাথায় রেখেই বললাম
ওরে যায়নিকো এখনো শরীর খানা, সম্মান নিয়েই চললাম.
দু দিন শুধুই জল খেয়েছি পথের ধারে কলে,
মুখপুড়ির খাবারে টান, দুধ আর কই মেলে.
রাঙ্গা মাসী আজ দুপুরে নিয়ে এলো সাথে,
অনেক আরও আমার মতই এখানেতে থাকে.
নাম গুলো এদের নাকি মা বাবার দেওয়া নয়,
কাজ করলেই পয়সা পাবে এই তো পরিচয়.
আমিও পেলুম কাদম্বরী,
খেতে পেল দুটি মুখপুড়ি.
এখন রোজ সকালে ঘুমিয়ে উঠে মুখের কালি তুলি,
শরীর না হয় বেঁচে দিয়েছি, মেয়েকে কেমনে ভুলি?
সন্ধায় পর রঙ্গরসে সব চট্চটে হয় যখন,
অবাক চোখে তাকায় মুখপুড়ি, কিছু বোঝে কি তখন?