নীরবতা কত কথা বলে
ছলে বলে অথবা কৌশলে
অভিমানে সময় নিথর
জলের উপরে যার ঘর
তার কেন বানে জলে ভয়
ফিরে আয় উধাও সময়
সব পথ মুখ গুঁজে আছে
সময় এখানে অসহায়
জমে থাকা জল নয় তবু
আগুনের তাপে গলে যায়
তার পর বুকে হেঁটে চলা
দেখে শুধু রাত জাগা কবি
ভূত হয়ে কথা ফিরে আসে
জেগে ওঠে মৃত সব ছবি
মুহূর্তকে টুকরো করে ছবি
প্রথম প্রেমে সবাই বুঝি কবি
শিকড় নীচে উপরে ডালপালা
চোখের নীচে স্বপ্ন কথামালা
কাজল রাতে জ্বালিয়ে রাখে দীপ
সময় হ্রদে যেই ফেলেছি ছিপ
খুঁজে পেলাম হারানো সব গান
অতল জলে কান পেতেছি কান
তবে হে সময় চলো
ভাটি ভুলে উজানের পথে
তবে হে কাঙাল কবি
চুন দাও পুরাতন ক্ষতে
যা কিছু বিবাগী শোক
পাহাড় ডিঙিয়ে ছুটে আয়
যা কিছু গোপন সুখ
ফিরে আয় বুকের খাঁচায়
ভেতর থেকে পর্দা তুলে
এবার তবে ভিন্ন কথা হোক
একটু যেন পড়ছে মনে
অন্ধকারে অন্ধ তবু চোখ
কিন্তু কথা হাওয়ার টানে
গভীর রাতে স্বপ্নে গানে
তীরের মতো তীব্র করে হানা
আমার কেন মধ্য রাতে
অস্ত্র হাতে বর্গি হতে মানা
বর্গি তুমি বর্গি হতে পারো
কিন্তু কিছু নিয়ম আছে তারও
প্রাচীর ভেঙে গুড়িয়ে দিলে গড়
হয়তো তুমি পেতেও পারো কর
এখন যদি নেশার ঘোরে
ছুটতে থাকো ভীষণ জোরে
বলবে সবাই ভূত করেছে ভর
আয় ভূত থাক ভূত চাদরের ভাজে
আয় ভূত থাক ভূত শরীরের খাঁজে
শুধু তোর হাতে হাত
এক সাথে সারারাত
যত খুশি কথা আজ হোক আজেবাজে
আয় ভূত থাক ভূত দুচোখের মাঝে
আঁধার রাতে ভুতের নাচে চুপ
আলোয় এলে পড়বে খসে রূপ
এবার তবে ভিন্ন সাজে ফেরা
যুদ্ধ ভূমি মন্ত্র দিয়ে ঘেরা
তোমার আমার শূন্য তেপান্তর
গোপন তূণে অস্ত্র করুক ভর
দিনের শেষে যুদ্ধ হল শুরু
সময় ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়ি জলে
পারের থেকে বলছে যারা গুরু
ফাঁদ পেতেছে তারাও জলের তলে
এক নিমেষে সাঁতার হল শেষ
বুঝতে পারি জলে নামাই ভুল
সময় পরি পরে পাখির বেশ
পেরিয়ে গেল ভরা নদীর কূল
তবে কেন শিকড়ের কাছে ফিরে ফিরে আসা
তবে কেন ইঁদারার কাছে খোঁজো ভালোবাসা
তুমি জানো প্রতি পলে পলে অবিরাম ক্ষয়
তুমি জানো আজো কোনো ঘট শেখেনি সঞ্চয়
আমি ঘটের পবিত্র জল
সারারাত করেছি মন্থন
সময়ের সজীব চুম্বনে
কাঁটা শুধু কাঁটা অগণন
ঘটের থেকে গড়িয়ে পড়ে জল
সময় চেনে অসময়ের ছল
এ মন্থনে শুধুই হলাহল
যুদ্ধ শেষে এইতো ফলাফল
ঘটের থেকে গড়িয়ে পড়ে জল