সখ ছিল তোর , এলো চুলে অস্তমিত সূর্যের আলো-আঁধারিতে দেখবি আমায় পশ্চিমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে তোর অপেক্ষায় ……
পড়ন্ত বিকেলের সোনা রোদ যখন জানলার নীল কাঁচ ভেদ করে গায়ে এসে পড়ল মনে পড়ে গেল সে কথা …..
মনে পড়ে গেল – সূর্যোদয়ের রঙ গায়ে মেখে সমুদ্র সৈকত চলতে চলতে আমায় জানিয়ে ছিলি তোর ইচ্ছের কথা ………
বলেছিলালম – আজই নয় কেন — সূর্যাস্তের বেলায় এসে দাঁড়াব এই সৈকতে – দেখবি দু-চোখ ভরে ……
বলেছিলি না — ঐ পশ্চিমের বারান্দা – সূর্যাস্ত আর সেই সময়ের এলো চুলে দাঁড়ানোই তোর চাই ……
সময়ের ধূলি ধূসর বাস্তবে চাপা পড়ে গিয়েছিল তোর ইচ্ছে আর আমার কথা রাখার প্রচেষ্টা ……
আজ বহুদিন পর সেই সোনা রোদ গায়ে পড়তেই সব ধূলো ঝেড়ে স্মৃতির পরতটা কে সরিয়ে সেদিনের তোকে দেওয়া কথা গুলো রাখতে ব্যাকুল হলাম ……
তৈরী হতে লাগলাম তোকে দেওয়া কথার বাস্তবায়নের জন্য …..
হঠাৎ ভীষণ শন্ শন্ শব্দে ঝরা পাতা উড়ে যাচ্ছে বলে মনে হল ……
এক ছুটে গিয়ে দাঁড়ালাম বারান্দায় – কোথায় অস্তমিত সূর্যের সোনালী রোদ ….. !!!!
চারিদিক কালো অন্ধকারে ঢেকে গেছে – ঝরে পড়া ম্যাপল পাতা গুলো ঘূর্ণিপাকের মত পাক খেতে খেতে দূর থেকে বহু দূরে সরে যাচ্ছে ……
অন্ধকারের ম্যাপল পাতাগুলোর সাথে আবছা ছায়ার মত তুই ও মিলিয়ে যাচ্ছিস আমার থেকে অনেক অনেক দূরে ….. ধূলি মাখা স্মৃতির আস্তরণে …..
………… “বুঝলাম-বেশ খানিকটা দেরী হয়ে গেছে— সময় যে থাকে না থেমে” ……