আজ জন ফিরে যাচ্ছে ।
এই দিয়ে ও তৃতীয়বার এসেছে এই ছোট্ট গ্রাম সুদামপুরে সুদূর আমেরিকা থেকে । জনার্দনের এখানে একটা ছোটো দোকান আছে । একমাত্র ছেলে রথীন্দ্রকে অনেক কষ্টে পড়াশোনা করিয়েছিল । তবে ও মেধাবী ছিল , পরিশ্রমী ছিল , সাইকেল করে স্কুল যেত , বৃত্তি পেতো ,তাই সবাই ওকে ভালবাসতো । তারপর শহরের কলেজে গেল , সেখানেও ভাল ফল করে কিভাবে যেন আমেরিকা চলে গেল । এরপর সামান্য যোগাযোগ রাখতো , মাঝেমধ্যে টাকা পাঠাতো আর শুধু একবার মাত্র এসেছিল ।
রথীন্দ্র ওখানে এক মেম বিয়ে করে । জন ওদের ছেলে । মায়ের মত গায়ের রঙ , বাপের মত লম্বা , কালো কোকরা চুল । যেন সাক্ষাৎ রাজপুত্র । তবে হস্টেলে থেকে মানুষ হচ্ছে । কারন বাবা মার ডিভোর্স হয়ে গেছে , দুজনেরই আবার বিয়েও হয়ে গেছে । ওর আজ কেউ নেই, কেউ ওর কথা ভাবেনা । একটু ভালবাসার জন্য ও আকুল হয়ে থাকে ।
সেই ভালবাসার ছোয়া পেতেই ও এই অজগায়ে সাতসমুদ্র পেরিয়ে দাদু দিদার কাছে চলে আসে । জনার্দন আর মায়াময়ি ইংরেজি জানেনা , ইশারা ছাড়া কোনো কথাও হয়না তবুও যেন ওদের অপার ভালবাসা জনের জন্য উপচে পরে ।
জন ট্রেনের জানালায় বসে ছল ছল চোখে ওদের অনেক কথা শুনছিল । কিছুই বুঝতে পারছিল না । নিজের হাতে ও দাদু দিদার চোখের জল মুছে দিল । ইশারায় বললো আবার আসবে ।
ট্রেন চলে যাবার পরেও ওরা দুজন অনেকক্ষন তাকিয়ে রইলো । জনার্দন বললো , “ ছেলে না আসুক , নাতি সোনা তো আসে আমাদের কাছে ! ”
জন ট্রেনের জানালায় বসে ছল ছল চোখে ওদের অনেক কথা শুনছিল । কিছুই বুঝতে পারছিল না । নিজের হাতে ও দাদু দিদার চোখের জল মুছে দিল । ইশারায় বললো আবার আসবে ।
ট্রেন চলে যাবার পরেও ওরা দুজন অনেকক্ষন তাকিয়ে রইলো । জনার্দন বললো , “ ছেলে না আসুক , নাতি সোনা তো আসে আমাদের কাছে ! ”
