না

সতীত্বের  সংকটে  পড়ে  বার  বার  অগ্নি  পরীক্ষা  দিয়েছিলে  , সেই  থেকে  সতীত্বের সংকটে ভোগা শুরু । সৌমিত্রি  বিরহে  যুগ  কাটিয়ে ত্যাগের  দৃষ্টান্ত  হলে । সেই  থেকে  ত্যাগের  তকমা  জুটল  । মা  বলেছিলেন  , ভাগ  কোরে  খাও । তুমি  পাঁচ  স্বামী  নিয়ে  সংসার  করলে , সেদিন  থেকে  আপসের  সাথে  সন্ধি । আমার  সাথে  তোমার  নাম  নেওয়া হবে । তুমি কলঙ্কের ভাগি হয়ে বাঁশির  সুর হলে । অধিকার  বিসর্জনের  শুরু  । সেদিন তোমরা যদি  ‘না’  শব্দ টা   বলতে  , তবে  আজকের  ইতিহাস  অন্য  কথা  বলতো  । ‘না’  শব্দ  সম্মানিত  হোত  । Jharna…

Read More

হেমলক

গত বছর শীতের শেষ হয়ে বসন্ত আসি আসি করছে – এমন একটা পড়ন্ত দুপুরের দিকে অপরাজিতার বাড়িতে বেহায়া কোকিলের মতো একটানা ল্যান্ডফোনটা বেজেই যাচ্ছিল ।মধ্যবয়সী মহিলাটি বাড়িতে একা – আলগা ভাতঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন ।চমক ভেঙে পড়িমড়ি করে ফোনটা ধরতেই অচেনা এক কণ্ঠ ঘোষণা করেছিল নিতান্ত এক দুঃসংবাদ ।অপরাজিতা দাশগুপ্ত পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় রিকভার নার্সিংহোমে অ্যাভমিটেড ।বলাই বাহুল্য, মধ্যবয়সী মহিলাটি অপরাজিতা দাশগুপ্তের মা ।তারপর….. ?!!! তারপর নার্সিংহোমে পৌঁছে দেখা গেল অপরাজিতা তখনও সেন্সলেস ।মাথায় আঘাত গুরুতর ।রক্ত দিতে হয়েছে ।জীবনের আশঙ্কা নেই । কে এই দেবদূত – যিনি দুর্ঘটনাস্থল…

Read More

প্রতিবিম্ব

ক্রমাগত রক্তপাতে তপ্ত হতে হতে চিনে নিলে নিরাকার ছক আর ছবি কতটুকু জানে বল ঘর-ছাড়া কবি কার্নিশের কোণে ঝুলে আছে কোনো মতে নিরালম্ব শব্দ আসে স্তব্ধ কোনো রাতে কিছু তার অভিমান – কিছু ছেলেখেলা চোখের আড়ালে ছোটে সময়ের ভেলা মৃত্যু জানি সুনিশ্চিত নিষাদের হাতে নিদ্রাহীন রাতে যদি বৃষ্টি ঝেঁপে আসে কান পেতে শুনি তার অপরূপ গান বিন্দু বিন্দু জলকণা রাতের বাতাসে রেখে যায় বর্ণহীন কিছু অভিমান বিবাগী কাঙাল কবি শব্দ ভালোবেসে দর্পণের প্রতিবিম্বে খুঁজে চলে প্রাণ!  Saptaswa Bhowmikউল্লেখ করার মতো কোনো লেখক পরিচিতি আমার নেই। নিজস্ব উদ্যোগে ‘অনিকেত তথাগত’, ‘প্রেমে ও পরাগে’…

Read More

শেষ থেকে শুরু

বৃষ্টি অফিসের কাজে দিল্লী গেছে কিন্তু দিল্লীতে যাওয়ার ইচ্ছে তার ঠিক ছিল না। যেহেতু সে দিল্লীর মেয়ে তাই জায়গাটাও তার পরিচিত বলে অফিস থেকে তাকেই পাঠানো হয়েছে। দিল্লীর নেহেরু প্লেসের এক অফিসে কাজ আছে তাই লাজপত নগরের বিক্রম হোটেলেই অফিস থেকে বুকিং করে দিয়েছে। (১) বৃষ্টির জন্ম ও পড়াশুনা দিল্লীতেই, তাই দিল্লীর রাস্তা ঘাট ওর কাছে খুব পরিচিত। দিল্লীর লোকেদের নার্ভও ওর ভাল ভাবে জানা। মনে পরে যায় সেই ছেলেবেলার কথা। বাবা, মা-র হাত ধরে ছুটির দিনে ইণ্ডিয়া গেটের সামনে বেড়াতে যাওয়া, মনে পরে সেই দিনগুলো যখন লোদী গার্ডেনের বা…

Read More

প্রোষিতভর্তৃকা

ফাগুনে  আগুন  লাগিয়ে যে  পথ এঁকে বেঁকে  চলে গেছে ওই  সুদূরে , প্রোষিতভর্তৃকা  জানালার  পাশে  দাঁড়ায়ে প্রতিক্ষায়  দিন  গোনে । মুখ  থমথম  চোখ  ছলছল ঝাপসা  দৃষ্টি  মনের  আকুতি পলাশ  মল্লিকা  যূথি শুধায়  সবারে  দেখেছ  কি  তারে ? দু আঁখিতে  জোয়ারের  ঢল পবন  হিল্লোল  দোলা  দেয়  মন চন্দন  সুবাস , বিরহী  সুদূর  পিয়াস মনে  মিলনের  আশ । দিন  যায়  রাত  আসে নিশুতি  আঁধার  শয্যায়  মেশে প্রোষিতভর্তৃকা  বসে  থাকে  জানালার  পাশে । এই   ফাগুনে  প্রিয়  যে  তার  পরবাসে । Abhijit DeyMyself Abhijit Dey, from kolkata. I work with Trans technologies Thermal Pvt.…

Read More

Reoccurring reality

He bent down to put his heavy bag down to unlock the door, after a long days work he was ready for some beer and a fine hooker. Pushing the key inside, he finds much to his surprise the door is already unlocked. Fear strikes his heart as a list of the house valuables that could’ve been stolen crosses his mind, the fact that he thought of his baby last doesn’t bother him at all. Pushing it all aside he rushes in ready to face the worst but what he…

Read More

শোক

ঘুমের ভেতরে ঘুম ডেকে নেয় তাকে বালিশ বিছানা সব ছিল পরিপাটি ভেজাল ছিল না মনে সব ছিল খাঁটি তবু পথ থেমে গেল যৌবনের বাঁকে জল-ভরা কিছু মেঘে শোক মিশে থাকে তার ছায়া খুঁজে চলে একলা দোপাটি গ্রহণের ছায়া বুকে পাথরের বাটি চোখের আড়াল থেকে অবিরাম ডাকে   দিন আসে দিন যায় নিথর সময় ভেতরে ভেতরে শুধু বেড়ে চলে ক্ষয় দোপাটির ডালপালা নুয়ে আছে শোকে দূর থেকে মনে হয় অভিমানী সুধা এত প্রেম কেন তুমি দিয়েছ বসুধা কি করে নিজের ঘরে নিয়ে যাব ওকে Saptaswa Bhowmikউল্লেখ করার মতো কোনো লেখক পরিচিতি…

Read More

২০০ টা টাকা

(ছবিগুলো বেশ পুরোনো এবং খারাপ , মার্জনা করবেন ) বেশ কয়েকমাস আগে থেকে ট্রেনের টিকেট কাউন্টারে লাইন দিয়ে টিকিট কেটে কয়েকটা কনফার্ম আর দুএকটা RAC টিকিট পাওয়া যেত। বাবা ফিরেই বলতো এবার দার্জিলিং যাবো , টিকিট হয়েছে কিন্তু দুটো RAC আছে। পুজোর গন্ধ নাকে আসার আগেই টিকিট বাড়িতে আসতো। দুটো বড়ো ব্যাগ এর সঙ্গে কয়েকটা ছোটোখাটো ব্যাগ আর কয়েকটা জলের বোতল নিয়ে হাওড়া স্টেশনের বড়ো ঘড়ির তলায় বা শিয়ালদাহ স্টেশনের গেট পার করে অন্য কাকুদের অপেক্ষায় দাঁড়াতে হতো। কেউ না কেউ দেরি করে আসবেন, তার টেনশনটা বাড়তি পাওনা। ট্রেনে ওঠার…

Read More

হারিয়ে পাওয়া

লাল পাহাড়ের চূড়ার রোদ্দুর মাখা মেঘের দিকে অপলকে তাকিয়ে ছিল ধিতাং।কাল মহালয়া।বাড়িতে থাকলে এই সময় কত হইহই ।মা, কাকীমার সাথে হাজার দোকান ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা, ফেরার পথে ফুচকা খাওয়া-মজাই আলাদা।টিকলি তো দিদিভাই ছাড়া কিছু জানতো না, কে জানে এখন টিকলি দিদিভাইকে আর আগের মতো ভালোবাসে কিনা ।উঁহু, বাসবে না ।কেউই তো আর ধিতাংকে ভালোবাসে না ।সবার চোখে ধিতাং খুনি হয়ে গেছে ।জলে ভরে আসে ধিতাং-এর চোখে । ফেসবুক খুলে বসে ধিতাং ।এই ফেসবুকের বন্ধুরাই তো তার জীবনের একমাত্র জানলা, যা দিয়ে তবু কিছু আলো আসে ।পুরোনো ছবিগুলো দেখে মাঝে মাঝে…

Read More

বসতি

সময়  মতো দুজনের দেখা হলো দেখা  মাত্রই  প্রেমে ভেজা দুটি চোখ আবেশ এ বিভোর । চাঁদের  নয়নে হাত চাপা দেয় এক রাশ মেঘ সেই  ফাঁকে উষ্ণতার খোঁজে ভালোবাসা র বুকে মাথা রাখতে উদগ্রীব । হাতছানি দিয়ে ডাকে প্রেম , ঝড়ের  গতিতে জল প্রপাত পাথরের বুকে আছড়ে পড়ে তার দয়িত এর জন্য । ঘন উষ্ণতার আদরে ঘনিভুত হয় এক ঘূর্ণাবর্ত,  হারিয়ে  যায় দহে ঘূর্ণাবর্তে র গহ্বরে  । যেখানে আদি নেই, নেই অন্ত আছে  শুধু শাশ্বত প্রেম । ভালোবাসার  মিলনে নব জন্ম হয় নদীর । সম্ভোগ শেষে নদী  এঁকে বেঁকে  বয়ে  চলে…

Read More
Page 1 of 9
1 2 3 9