গভীর রাতে গোটা কলকাতা নিঝুম ঘুমে গড়িয়ে গেল।জোড়াসাঁকোর সদরের গ্যাসের আলো গুলিও ঘুমোল বোধ হয়। আমি চুপিচুপি উঠে তখন তোমার চিঠি পড়েছি। বেলি ঘুমোচ্ছে ধরো আর শিয়রের জানলা দিয়ে একটু খানি চাঁদ আলো অনেক খানি দখিন বাতাস নিয়ে ঢুকে পড়লো ঘরে—ম্রিয়মাণ সেজের বাতি একটু কেঁপে নিভে গেল কেমন,আমি তখন স্পর্শ দিয়ে তোমার লেখা পড়ি। একটু একটু করে ছুঁয়ে ফেলি তোমার মান অভিমান আটপৌরে সংসার ভাবনা —মনে হয় পদ্মা পার থেকে বেলির বাবা এসে আমাদের ঠিক পাশটিতে বসেছেন। তোমার শরীর গন্ধ,আর দৃঢ়তর কাঁধ থেকে নেমে আসা কোমল বাহু আমাকে ছুঁয়ে দিল…
Read MoreDay: July 13, 2016
লাল তিতির
তিতলি আসতে আসতে মায়ের হাত টা সরিয়ে পা টিপে টিপে এসে দরজার কোণে বালতিটা উপুর করে রাখলো ……….. তারপর ওটার ওপর উঠে দু’পা উঁচু করে সদর দরজার ছিটকিনিটা খুলেই দে ছুট….. আজ আসবে বলেছে লাল তিতির …… খুব দেরি হয়ে গেলো … “তিতির কি অপেক্ষা করছে ওর জন্য ! নাকি ফিরে চলেই গেলো ! চলে যাবে !” বুক টা মোচর দিয়ে উঠলো তিতলি র ….সত্যি যদি লাল তিতির চলেযায় !! তিতির নাম টা তিতলি ই দিয়েছে ওকে ….তিতলি র ভালো লাগে ওকে এইনাম এ ডাকতে …. এটা একান্তই ওর দেওয়া নাম ….ওর সব চেয়ে কাছের বন্ধুকে… কেউ বিশ্বাস ই করতে চায়না লাল তিতির ওর সাথে কথা বলে …লাল তিতির আর তিতলি খুব ভালো বন্ধু ….. মা তো রোজ বকে ওকে , তিতলি কেন যে মা কে বোঝাতেই পারে না …!! রোজ নাকি ঘুমোতেই হবে …. বোঝে না লাল তিতির ওরজন্যই শুধু অপেক্ষা করে বসে থাকে বাগানের শেষ প্রান্তে …. পা চালিয়ে ছোটে তিতলি…..বাগানের ঘাসে পা রাখতেই রঙ্গন ফুলের গাছ টা তে তিতলি দেখতে পেল লালতিতির কে … ফুলের সাথে মিশে লুকিয়ে ছিলো ….. তিতলি কাছে যেতেই লালতিতির উড়ে এসে বসলো ওর হাতের আঙুলে ….. রোজের মতো তিতলি হাত টা আসতে আসতে চোখের সামনে নিয়ে আসলো … আর বললো …. “ভালো আছো লাল তিতির ? “তিতির ও রোজের মতো ফরফর করে উড়ে একবার ওকে চক্কর কেটেআবার এসে বসলো আঙুলে …..এই ভাবেই এককথা দুকথা …….জমে ওঠে ৮ বছরের তিতলি র সাথে লাল ফড়িং এর বন্ধুত্ব …..আর ছেলেবেলার গান ……সাঁঝ ঘনিয়ে আসে….. “তিতলি …. সোনা মা আমার …. ওঠো ওঠো ….. সন্ধ্যা লেগে গেছে …. চলো পড়তে বসতে হবে …. আজ অনেক হোমওয়ার্ক আছে … আর গানের রেওয়াজ টাও আজ করতে হবে …. আঁকার দিদির হোমওয়ার্ক ফিনিশ করেছ তো ! এই উইক এ আঁকার পরীক্ষা আছে কিন্তু ….চলো চলো …. উঠে পড় ….”মায়ের একনাগারে কথাগুলো যেন রেলগাড়ির মত ঝমাঝম করে এলো আবার মিলিয়ে গেল ……সঙ্গে নিয়ে গেলো লাল তিতির কেও ….. তিতলি র চোখে ঘুম….আর লাল তিতিরের স্বপ্ন … হাতে পেনসিল আর হারানো শৈশবে বেড়ে ওঠা কঠোর বাস্তব ….. Suparna Pradhanআমি সুপর্ণা প্রধান । পশ্চিমবঙ্গের এক মফঃস্বলে (কৃষ্ণনগর ) ১৯৭৮ সালের ৯ ই মে আমার জন্ম । ডিপ্লোমা ইন্জিনীয়ারীং করলেও চাকরীতে মন ছিলো না কখনই । পরিবার…
Read Moreপাকা পেঁপের কেশরী হালুয়া
উপকরণঃ ১) ১ কেজি পাকা পেঁপে ২) ৩ টেবিল চামচ চিনি ৩) ১ কাপ ঘন দুধ ৪) ২ চিমটে কেশর ৫) ২ টেবিল চামচ টুটি ফ্রুটি ৬) ১ টেবিল চামচ ভাঙ্গা কাজু ৭) ৩ টেবিল চামচ গাওয়া ঘি ৮) ২ টি তেজপাতা ৯) ১ ছোট চামচ এলাচ গুঁড়ো ১০) সাজানোর জন্য তবক পদ্ধতিঃ গ্রাইন্ডার এ জল না দিয়ে পেঁপের একটি ঘন ক্কাথ করুন । কড়াইতে ২ টেবিল চামচ ঘি গরম করে তেজপাতা দিন। কাঠের হাতা দিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষন না পেঁপের রস শুকায় । এবার দুধ ও কেশর দিন।…
Read Moreচিলি সয়াবিন
উপকরণঃ সয়াবিন – ১০০ গ্রাম সাদা তেল – ৩ চামচ ক্যাপসিকাম – ১ টা মাঝারি মাপের পেঁয়াজ – ৩ টে মাঝারি মাপের টমেটো স্যস – ১/৩ কাপ সয়া স্যস – ১/৩ কাপ চিলি স্যস – ১/৩ কাপ ভিনিগার – অল্প গোলমরিচ গুঁড়ো – সামান্য রসুন বাটা – ১/২ চা চামচ কর্নফ্লাওয়ার – ২ চা চামচ ধনেপাতা – সাজানোর জন্য প্রণালীঃ প্রথমে সয়াবিন সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। জল ঝরা সয়াবিন থেকে বাড়তি জল চিপে বের করে সেগুলিকে গোলমরিচ গুঁড়ো আর ভিনিগার দিয়ে মেখে রাখতে হবে ১০ মিনিট। সাদা তেল…
Read Moreভালবাসার অবশেষে
মনের দোলাচল ভালোবাসার আকাশে আবেগের ঝর্না নিঃশব্দে ঝরে চলে, নয়ন দুয়ারে ভালবাসার বালুচরে, একাকীত্বের চোরাবালি স্বপ্ন ভাঙ্গার জোয়ারে জীবন আজ সাদাকালো,শূন্য, শুকানো বাগানের মালি পশ্চিম আকাশে জীবন সূর্য্যির অস্তাচলের গোধূলি তবুও আজও তুমি ওই আকাশের ধ্রুবতারা আমার জীবন-সূর্য্যি অস্ত যাক বা নাই বা যাক তোমার ভালোবাসার চাঁদ সেই আকাশে চির বর্তমান চিরনিদ্রায় যাবে জীবন যেদিন, একটাই ভাবনার অবশেষ স্বপ্নে শুধু তুমি এসো সেদিন হয়তো কখনও বৃষ্টি যদি আসে ভেবে নিও ওই পবিত্র ধারায় আছি আমি কখনও শান্ত সকালের কোমল রৌদ্র তোমায় কষ্ট দেয় অনুভব করবে ওই সোনালী কিরনে আমার উপস্থিতি…
Read Moreপথিক
নতুন বছর আসে নতুন উদ্দামের সাথে, দেয় আমার মনের কোনায়…. প্রবল ইচ্ছা নতুন কিছুর দেখার || জাগায় মনে অনেক নতুন পথ চলার | | চলি আমি অন্তহীন , অজানার সন্ধানে , খুজে বেড়াই সত্যের হাতছানি নিঝুম অন্ধকারে | | কখনো নামি অনন্ত গভীরে , চলি আমি মৌন হয়ে দিগন্তের পথে || কখনো বা চলি ইচ্ছাবিহীন —— কখনো বা খুজে যাই পথ , দিশাহীন ; ভাসবো না আমি হারিয়ে ধুসর মরু তটে, বানাবো নতুন পথ , নতুন জীবনের দৃষ্টিকোণে || জীবনের পথে চলমান গাড়ি ———— চালাই নিশিদিন ,…
Read Moreঅনু-কবিতা
বিন্দু বিন্দু তে জমেছিল মেঘ, আগুনে ঝলসেছিল চোখ, তোরর তাপে যদি পুড়তে দিস আবার.. তবে আমার পুনর্জন্ম হোক…. এক গাছি সোনা।। – লুকোনো কোনো গ্রন্থি থেকে,কান্না আসে।। গন্ধ ছড়ায় এই আকাশে, যেই আকাশে ACID ভাসে, রুপালী মেঘ ভাসে না।। নামটা মুখে সোনাগাছি আসে, এক গাছি সোনা আসে না।। ——————————— Abhijit DeyMyself Abhijit Dey, from kolkata. I work with Trans technologies Thermal Pvt. Ltd. as a Jr. Engineer. Writing is a way of expressing myself, for me. I love to be alone.More Posts
Read MoreMemories of Another Day
I tumbled down your lap, And you threw me up in the air, I touched the wind, the cloud, the sunshine, As you brought me down the stairs. Your loving , smiling eyes My disheveled hair, how I dwelt endlessly in your embrace, Without worries, troubles or care. “ It was time to go” you said one day. ‘Already’? I was quite taken aback. And yet I was ready in my newfound look, And desires in my backpack. The gates opened, and I dared out, What a…
Read Moreচিকেন মেয়োনিজ কাবাব
উপকরণ : মুরগী ( কিউব ) : ৫০০ গ্রাম। তিল তেল : দু চামচ। নুন : স্বাদ মতো। লেবুর রস : মাঝারি একটা পুরো। আদা বাটা : এক চামচ। পেয়াজ বাটা : দু চামচ। রসুন বাটা : দু চামচ। কাঁচা লংকা বাটা : দেড় চামচ। টকদই : চার চামচ। তন্দুরি মশলা : দু চামচ। মেয়োনিজ : চার চামচ। মাখন : গলানো, দুই চামচ। পুদিনা পাতা : সাজানোর জন্য। প্রণালী : মুরগী বা চিকেন কিউব নিয়ে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নুন, লেবুর রস, আদা পেয়াজ রসুন বাটা, কাঁচালংকা বাটা দিয়ে ওভারনাইট ম্যারিনেড…
Read MoreHost Family: a unique experience
Host family living is an essential aspect of Exchange Programs and undoubtedly the best way to know a country and its culture. When I attended The India Youth Advocacy Program 2014 under Columbus International Program, I got the opportunity to live with two amazing host families. This article is about that experience and the cultural difference I observed between India and the United States during my stay. When I was informed that my first host family would be Mr.& Mrs. Pranab Bhattacharya, I was hugely amused! Who could have imagined…
Read More