আজও ওরা পাহাড়ের বেশ কিছু সুন্দর জায়গা দেখে সন্ধেবেলা হোটেলে ফিরলো। সেই সৌম্যদর্শন বৃদ্ধ লবিতে বসেছিলেন,বললেন“এই যে কেমন ঘুরলে তোমরা ? এই দক্ষিণের ট্রাইবাল ভিলেজটা তোমরা একবার দেখতে যেতে পার – – -”
ঘরে ফিরে রীমা বললো “দেখো ঐ বুড়োকে এড়িয়ে চল, নইলে দেখবে রোজ জ্বালাবে। ” সুমন ওকে কাছে টেনে নিয়ে বলল, ”ছাড়োতো ওসব কথা , এবার একটু – – -”
তৃতীয় দিন ওরা অনিচ্ছা সত্তেও সেই বৃদ্ধের রুমে গেল। ৫০তম বিবাহবার্ষিকী , বারবার বলেছিলেন।
সারাঘরে ৫০টা মোমবাতি জ্বলছে, প্রচুর ফুলে সাজানো , একদিকে ধুপবাতি জ্বলছে। একটা গরদের শাড়ী পরে বসে আছেন বৃদ্ধা ।
“ওমা তোমরা এসেছো ? এস এস । আর বলোনা দেখো ওর পাগলামি । এই স্বর্নজয়ন্তি পালনের জন্য আমাকে এই পাহাড়ে তুলে এনেছে। আমি চলতে পারিনা, চোখে ভালকরে দেখিনা । সারাজীবন ওই আমার সেবা করে চলেছে, যেখানে আমার ওকে সেবা করার কথা । কিছুই দিতে পারিনি ওকে, একটি সন্তান পর্যন্ত নয় – – -”
বৃদ্ধ হেসে ওর কাধে হাত রেখে বললেন, “কী বলছো মায়া ? তুমিই তো আমার সব। তোমার জন্যইতো আমি এতটা পথ চলতে পেরেছি – – – ”
ওরা চুপ করে বিছানায় শুয়ে ছিল । অনেক রাত ।
রীমা বললো ,“ঘুমিয়েছো ?”
“না ”
রীমা সুমনকে জড়িয়ে, ওর বুকে মাথা রেখে ফিসফিস করে বললো, “তুমি আমাকে ঐ বৃদ্ধের মত ভালবেসো । ”