শারদীয়া – কিছু টুকরো স্মৃতি

kishore-bharati-pujabarshiki-1420

পুজো শব্দটার সাথে জড়িয়ে আছে আপামর বাঙ্গালীর সমস্ত আবেগ। অনেক ভালোলাগা, পুরনো স্মৃতি, দেদার আড্ডা, হয়তো কিছুটা বিষাদের ছোঁয়া সবই মিলেমিশে যায় এই আবেগে। যুগ বদলেছে, তার সঙ্গে বদলেছে মানুষের জীবনযাত্রা। সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা; তাদের আদব-কায়দা, ফ্যাশন এমনকি খাওয়াদাওয়া। প্রাচ্য-পাশ্চাত্যে আদান প্রদান সংস্কৃতির আঙিনা ছারিয়ে অনেকদিন আগেই ঢুকে পড়েছে আমাদের অন্দর মহলে। এত কিছুর মাঝেও বদলায় নি পুজো নিয়ে মানুষের আবেগ। পুজো নিয়েও আমাদের ধ্যান ধারনার বদল যে হয় নি, তা নয়। সেখানেও অনেক বৈচিত্র এসেছে, জাঁকজমক বেড়েছে। সাবেকি পুজোর সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে থিম পুজোর জনপ্রিয়তা। আধুনিকতার ছোঁয়া যতই আসুক না কেন, পুজো মানেই যেন শিউলি ফুল আর কাশের বোন, নতুন জামাকাপড় আর প্রচুর খাওয়াদাওয়া, শরতের নীল আকাশ, অষ্টমীর অঞ্জলি আর দশমীর সিঁদুর খেলা। এ সবই যেন চিরন্তন। এ সবের অনুভূতির মাত্রাকে আরও কিছুটা বাড়িয়ে দেয় নতুন বইএর গন্ধ- যার নাম পূজাবার্ষিকী। এ যেন বাঙালীর হৃদয়ের খুব কাছের এক বন্ধু, বহুদিনের চেনা। আর শুধু সাহিত্যপ্রেমী মানুষদের কাছেই নয়, শারদীয়া সংখ্যার চাহিদা উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সমাজের সব স্তরের মানুষদের কাছেই। বাঙালীর পুজোর বাজার অসম্পূর্ণ থেকে যায় শারদীয়া সংখ্যা ছাড়া। একটা সময় ছিল, যখন নতুন জামাকাপড়ের সঙ্গেই বাড়ীতে আসত নতুন বই আর পুজোর গানের রেকর্ড। সিনেমার গানের পাশাপাশি বা কখনো তার থেকেও বেশী জনপ্রিয় ছিল বিভিন্ন বিখ্যাত শিল্পীর গলায় গাওয়া পুজোর গান। শুধু পুজোর জন্যই ভাবনা চিন্তা করে গান লেখা হত। সারা বছর বাঙালী শ্রোতা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকত পুজোর নতুন গান আর শারদীয়া সংখ্যার জন্য। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো কিছুটা ধুলো জমেছে তবু শারদীয়া সংখ্যার জনপ্রিয়তা আজও তার নিজস্বতা হারায় নি। ঠিক যেন মহালয়ার সকালে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের স্তোত্র পাঠের মত। এত যুগ, এত বছর পরেও সে তার স্বমহিমায় উজ্জ্বল। মহালয়া নিয়ে অনেক ভাবনা চিন্তা হয়েছে, হয়তো অনেক সুন্দর উপস্থাপনাও হয়েছে, কিন্তু মহালয়ার সকালে বাতাসে হাল্কা ঠাণ্ডা আমেজে আধো ঘুম ভাঙা চোখে রেডিওয় মহালয়া শোনার যে মাদকতা, তা বোধহয় আর কিছুতেই নেই।ওনার গলার চণ্ডীপাঠ আর মন মাতানো গানেই আজও আমাদের মাতৃপক্ষের সূচনা হয়। শুরু হয় বাঙালীর উৎসব।

download

শারদোৎসব বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর এ জন্যই এই পুজোর কটা দিন বছরের আর সব দিনের থেকে বেশ আলাদা। সারা বছরের বাধানিষেধ, শাসন আর একঘেয়েমি থেকে মুক্তি। আমরা সবাই যেন গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে একটু অন্যরকম ভাবে কাটাতে চাই দিনগুলো। তাই তো সারা বছর ধরে অপেক্ষা এই চারটি দিনের। হয়তো এরকমই কিছু অন্য রকম করার ভাবনা থেকেই শুরু হয়েছিল শারদীয়া সংখ্যার পরিকল্পনা। সম্ভবতঃ ১৯২৬ সালে, আনন্দবাজার গোষ্ঠী এই ধরনের একটি প্রয়াস শুরু করেন। প্রথম যে সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়েছিল, তার নাম ছিল –“শারদ সংখ্যা”। মোটা একটা বই, তার মধ্যেই উপন্যাস, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ সব দিয়ে সাজানো সাহিত্যের সম্ভার। বাঙালী পাঠকের কাছে তা ছিল এক অনবদ্য উপহার। বলা বাহুল্য, ১৯২৬ সালে, তৎকালীন গুনী জ্ঞানী ব্যক্তিরা যে ছোটো চারাগাছটি রোপণ করেছিলেন, পরবর্তী যুগে আরও অনেক গুনী ব্যক্তির সান্নিধ্যে আজ তা মহীরুহে পরিনত হয়েছে। সেদিনের শারদ সংখ্যা, আজকের পূজাবার্ষিকী। আজ আর সে ছোট্টটি নয়। শৈশব, কৈশোর, যৌবনের অনেকখানি পেরিয়ে যথেষ্ট পরিণত, গুণে মানে অনেক উন্নত। আর তাকে উন্নত করেছেন আমাদেরই বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে থাকা কৃতি ব্যক্তিরা। পরবর্তী যুগে ছোটো বড় অনেক পত্রিকাগোষ্ঠী এই পূজাবার্ষিকীর প্রয়াস করেছেন এবং সফলও হয়েছেন। বাঙালী পাঠকের কাছে সেই সব শারদীয়া সংখ্যার জনপ্রিয়তাও কম নয়। পূজাবার্ষিকী বা শারদীয়া সংখ্যা – যাই বলি না কেন, এই নতুন শব্দটির সঙ্গে বাঙালী পাঠকের পরিচয়ের সেইবন্ধন শুরু করেছিল আনন্দবাজার গোষ্ঠী। তাই বাঙালী পাঠক এবং বাংলা সাহিত্য তাদের কাছে আজও ঋণী। এই শারদ সংখ্যার সবচেয়ে বড় অবদান হল সাহিত্য এবং সাহিত্যিকদের তাদের প্রতিভা বিকাশ করার সুযোগ করে দেওয়া, তৎকালীন প্রতিষ্ঠিত নামীদামী লেখকদের পাশাপাশি নতুন প্রতিভাকেও সমান ভাবে সম্মান করা। আজকে আমরা সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় এই নতুন প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেওয়ার বা তাদের সুযোগ করে দেওয়ার নানা অনুষ্ঠান দেখি। সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে অনেক আগেই এই কাজটি শুরু করেছিল শারদীয়া সংখ্যা। এই পরম বন্ধুর হাত ধরেই অনেক নতুন লেখক, কবি তাদের যাত্রা শুরু করেছিলেন। আর তাদের অনবদ্য সৃষ্টিতে পূর্ণ হয়েছিল বাংলা সাহিত্য সম্ভার। এই সব বিভিন্ন পুজাসঙ্খ্যাগুলির মাধ্যমেই আমরা পেয়েছি বাংলা সাহিত্যের সেরা অনেক সৃষ্টি এবং তাদের স্রষ্টাকে। তাই, বাঙালীর জীবনে এই বইটির অবদান অনস্বীকার্য। সাহিত্যপ্রেমী মানুষের আত্মার সঙ্গে এক গভীর টান, বাঙালী পাঠকের সে যেন এক পরম আত্মীয়।

এই বইটির সাথে জড়িয়ে আছে টুকরো টুকরো অনেক স্মৃতি। ঠিক যেন সিনেমার ফ্ল্যাশব্যাকের মতন। চোখ বন্ধ করলেই মনে পড়ে এক একটি দৃশ্যপট। সেইসব পুরনো দিনের কথা মনে করে অনেকেই হয়তো আমার মতন নস্ট্যালজিক হয়ে পড়বেন। আসলে আমাদের শৈশব বা কৈশোর জীবনে বিনোদনের আয়োজন আজকের মত ছিল না। প্রযুক্তিগত ভাবে সভ্যতা আজকের তুলনায় অনেক পিছিয়ে ছিল। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঝাঁ চকচকে মল গড়ে ওঠে নি। কার্টুন চ্যানেল, ভিডিও গেমস, অত্যাধুনিক খেলনা… এসবের সঙ্গে আমাদের পরিচয় ছিল না। তখন হাতে গোনা বাড়ীতে টিভি ছিল। এখন তো প্রতিটা শপিং মলেই বাচ্চাদের কথা মাথায় রেকেহ তৈরি হয়েছে বিশেষ বিনোদনের জায়গা। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন বিনোদন পার্ক। এখনকার বাচ্চারা আর খেলনা বাটি খেলে না কিংবা জানেই না হা ডু ডু বা কিতকিত খেলতে। বিশ্বকর্মা বা সরস্বতী পুজোয় ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি শহরে নেই বললেই চলে। আগে, এই দুটি দিনে আকাশ সেজে উঠত রঙ বেরঙের ঘুড়িতে। ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসাহ ছোটো থেকে বড় সবাইকে সমানভাবে মাতিয়ে তুলত।আজ সেই উৎসাহে অনেকটাই ভাঁটা। শহরতলীতে কিছুটা দেখা গেলেও খোদ কলকাতায় সেই আকাশ জুড়ে ঘুড়ির দেখা মেলা ভার। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে বাচ্চাদের চাহিদা আর তাদের বিনোদনের জগত। কিন্তু আমার মতন হয়তো আরও অনেকেরই শৈশব এবং কৈশোরের অনেকটাই জুড়ে রয়েছে বইএর পাতার কিছু চরিত্র। সারা বছর আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম আমাদের সেই বন্ধুদের জন্য। পূজাবার্ষিকীর হাত ধরেই তারা আমাদের জীবনে এসেছিল, ভরিয়ে তুলেছিল আমাদের কিশোরবেলাকে। প্রফেসর শঙ্কু, গোগোল, সন্তু  ও কাকাবাবু, বা ফেলুদা তোপসে কিম্বা পান্ডব গোয়েন্দা – এরা কবেই যেন আমাদেরই একজন হয়ে উঠেছিল। কল্পনার পাতা থেকে ধীরে ধীরে এরা জায়গা করে নিয়েছিল বাঙালীর মনে। এদের ছাড়া আমাদের ছোটবেলা অসম্পূর্ণ ছিল।

images-2

প্রকৃতির নিয়মে প্রত্যেক বছরই পুজো আসে আবার চার দিন পর তা শেষও হয়ে যায়। তবুও তার রেশ থেকে যায় বহুদিন। সারা বছরের পরিকল্পনা শুধু যেন এই চারটে দিনকে ঘিরেই। অবশেষে বহু অপেক্ষিত দিনগুলি যখন আসে, কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে দিয়ে কেটে যায়। এখনও অনেক বনেদী বাড়ীতে রথের দিন নিয়ম মেনে মূর্তির কাঠামো পুজো করা হয়। ওইদিন থেকেই শুরু হয় পুজোর আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি। বড় বড় ক্লাব বা প্রতিষ্ঠানগুলি খুঁটি স্থাপনের মাধ্যমে তাদের প্রস্তুতি শুরু করেন। উত্তর থেকে দক্ষিণ বা মধ্য কলকাতার নামি দামি এক একটা পুজোর পেছনে যে কতদিনের প্রস্তুতি আর কত মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম – তা ভাবাই যায় না। এই সব বিভিন্ন পুজা কমিটির যারা উদ্যোক্তা রয়েছেন, তারা তাদের পরিবার, ব্যাক্তিগত সখ-আহ্লাদ সব ভুলে, ভরিয়ে তোলেন আমাদের চার দিন। মোটামুটি ভাবে, বিশ্বকর্মা পুজোর পরের দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় দিন গোনা। আর তারপরে মহালয়ার সকাল মানেই যেন উৎসবের শুরু। ঠিক এ ভাবেই কিন্তু প্রত্যেকটি পত্রিকার অফিসগুলোতে বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় শারদীয়া সংখ্যার প্রস্তুতি। কে কত ভালোভাবে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলবে তার পত্রিকে, সে নিয়েও চলে এক সুস্থ প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন বিষয়ে লেখা যোগাড় করা থেকে শুরু করে, লেখাগুলি সময় মতন আসলো কি না তা মাথায় রেখে, ফ্যাশন থেকে ভ্রমন, রূপচর্চা থেকে খাওয়াদাওয়া সমস্ত বিভাগ কে সমান গুরুত্ব দিয়ে যত্ন সহকারে শারদীয়া সংখ্যার জন্য তৈরি করা হয়। অনেক ধৈর্য আর নিষ্ঠা না থাকলে এ প্রয়াস সম্ভব নয়। ছোটো বড় সমস্ত শারদীয়া সংখ্যার প্রস্তুতিতে অনেক মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম রয়েছে।

শারদোৎসব আর শারদীয়া সংখ্যা নিয়ে অনেক কথাই তো বললাম; তবুও যেন বাকি থেকে গেল অনেক কিছু। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই উন্মাদনা আর আবেগকে কয়েকটা পাতার মধ্যে ব্যক্ত করা বধয় সম্ভব নয়। প্রকৃতির নিষ্ঠুর নিয়মে আমরা হারিয়েছি অনেক কিছু। পৃথিবী জুড়ে চলতে থাকা হিংসা, প্রাকৃতিক বিপর্যয় কেড়ে নিয়েছে আমাদেimages-1র বন্ধু, আমাদের স্বজনকে। আমাদের এই ভারতবর্ষ আমাদের মাতৃভূমি- এখানে সবচেয়ে বেশী পূজিত হয় মাতৃশক্তি। অশুভ শক্তির বিনাশ করতেই জন্ম নিয়েছিলেন মা দুর্গা। ন’দিনের যুদ্ধ শেষে সেই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে শুভ শক্তির সূচনা হয়েছিল। আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে ভাবে নারীজাতিকে লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে, যে ভাবে মেয়েদের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন, সর্বত্র যেন এক অশুভ শক্তির ছায়া। তাই আমরাও কামনা করি এক শুভ শক্তির। যে শক্তির আলোয় মানুষের মন শুদ্ধ হবে, চিন্তাধারা পবিত্র হবে। জন্ম হবে পাপমুক্ত এক শুদ্ধ সমাজের। যে সমাজে আমরা এত উৎসাহ, উদ্দীপনা নিয়ে মায়ের আরাধনা করি, তার আগমনে নিজেদের সাজিয়ে তুলি, সেই একই সমাজের নারীজাতির এই অপমান কেন? প্রত্যেক বছরই মায়ের কাছে আমরা আমাদের সুখ-শান্তি, পরিবারের সমৃদ্ধি কামনা করি। আগামী শারদোৎসবে আমাদের সকলের প্রার্থনা হোক এক সুস্থ হিংসামুক্ত সমাজের।যে সমাজের পরিবেশ আমাদের ঘরের মায়েদের নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে সম্মানও দেবে, বাতাসে থাকবে বা বারুদের গন্ধ, যেখানে আমরা প্রান ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারব। আর সত্যি যে দিন সেটা হবে, সার্থক হবে আমাদের শারদোৎসব – আমাদের পুজো।

Avatar

Paramita Banerjee

রহড়ার ভবনাথ ইন্সটিটিউট থেকে ১২ ক্লাস পাশ করে পলিটিক্যাল সাইন্স এ স্নাতক, এক্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে এম.বি.এ। ছোটো থেকেই সাহিত্য-সঙ্গীত-নৃত্যের প্রতি ভালবাসা।তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ আমার পারিবারিক পরিকাঠামো এবং আমার বাবা-মার প্রতি। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্লাসিক্যাল ও রবীন্দ্রনৃত্যে ডিপ্লোমা।স্কুল ম্যাগাজিন দিয়ে লেখার হাতেখড়ি। কলেজ জীবন থেকে বিভিন্ন ছোটো বড় পত্রিকায় লেখার সুযোগ। এভাবেই ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে ফ্যাশন-মনোরমা-সাপ্তাহিক বর্তমান-আনন্দবাজারপত্রিকায় বিভিন্ন বিষয়ের উপর ফিচার লেখা একটানা প্রায় ৮ বছর।কর্ম জীবনের ব্যাস্ততার জেরে বেশ অনেকদিনের এক বিচ্ছেদ ছিল লেখালেখির সাথে। কিন্তু লেখার প্রতি ভালবাসাটা রয়ে গেছিল বলে, সময় পেলেই নিজের জন্য কিছু লিখতে বসতাম। আজ অনেকদিন পর আমার কিছু কাছের মানুষের উৎসাহ ও অনুপ্রেরনায় আবার নতুন করে লিখতে শুরু করলাম আমাদের সবার প্রিয় WishScript এর জন্য।

More Posts

Related posts

One Thought to “শারদীয়া – কিছু টুকরো স্মৃতি”

  1. Avatar Prasenjit Chatterjee

    Osadharon. Daroon. Khuv valo laglo.

Leave a Comment