মৃত্যু

বদলবাবু আজও একটা স্কচ হাতে নিয়ে বারান্দায় বসে চিন্তা করেন সেই দিনগুলোর কথা। শিকারের আনন্দ তিনি ভুলতে পারেন না, একটা জন্তু কে মেরে ফেলার আনন্দ যে কি, তা বলে বোঝানো যায় না। জন্তু, মানে যাদের বুদ্ধি কম , যারা কোনো কিছু করার আগে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ওরা আবেগ সর্বস্য। বদলবাবু কারোর মৃত্যুর জন্য দায়ী নন। তিনি মনে করেন, তিনি কাঊকে হত্যা করেন নি , বরং মৃত্যুর মত একটি অমূল্য উপহার দিয়েছেন মাত্র। জন্তুটা বেঁচে থেকেই বা কি করত ? বদলবাবু মোটেও নিষ্ঠুর নন , তিনি তাঁর সংসার ও একমাত্র মেয়েকে যথেষ্ট ভালোবাসেন। তিনি তো পুণ্যের কাজ করেছেন , জন্তুটার সত্যিকারের প্রেমিকা, “মৃত্যু ” র সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন মাত্র , জন্তুটাকে বাঁচার কারণ ছাড়া বেঁচে থাকার যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিয়েছেন। তাহলে আজ কেন বদলবাবু বিচলিত , উনি কেন হটাৎ এতটা চিন্তিত হয়ে পড়ছেন? জন্তুটা আঘাত পেয়েও তো কোন আওয়াজ করেনি , কোন প্রতিবাদ করেনি , তার টকটকে লাল রক্ত দেখেও না দেখার ভান করেছিলেন বদলবাবু। শিকারের পর বিজয়ের উল্লাসে রক্তের রং চাপা পড়ে যায়। এত বড় শিকার তো ওনাকে একরকম বাধ্য হয়েই করতে হয়েছিল নিজের মেয়ের ভাগ্য উজ্জ্বল করার জন্য। সমাজের চোখে সম্মানীয় বদলবাবু ভাগ্য মানেন না , কারণ তিনি ভাগ্যবান।  

আলাদিনের জীন

আলাদিনের জীন

আলাদিনের প্রদীপের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা জীনটার মতোই কুঁড়ে এবং বেশির ভাগ সময় ঘুমিয়ে বা দিবা স্বপ্ন দেখে কাটাই। অভ্যাস বসত আমাকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার কারণে মাঝে মধ্যেই ঘর ছাড়া হতে হয়। আমি ঝোলা কাঁধে নিয়ে একাই অনেক জায়গা ঘুরে বেড়াই। আমি সাহিত্য জানিনা তাই যা চোখে দেখি আর যে সব উদ্ভট চিন্তা মাথায় আসে সেগুলোই টুকলি মারি।

More Posts

Related posts

Leave a Comment