সৌরাষ্ট্রের অন্তর্গত, শ্রীকৃষ্ণভুমি দ্বারকা থেকে সাড়ে তিন ঘন্টার ডিসিটেন্সে। যেখানে আছি, সেখানে নির্ঝঞ্ঝাটে ননভেজ খেতে পারা মানে বিশাল কেল্লাফতে। যদিও ঝঞ্ঝাট যে কোন পোহাতে হয়না তা নয়। ননভেজ আইটেম পাওয়া যায় নির্দিষ্ট জায়গায় আর তাও ভ্যারাইটি কম। এবার শুধু কিনে আনলেই হল না, এলাকা (সোসাইটি) বিশেষে তা আবার রান্না করা বারণ। বাঙালি… ননভেজিটেরিয়ান শুনলে অনেকে তো আবার বাড়ি বা ফ্ল্যাট ভাড়াই দিতে চায়না। তা যাইহোক সে নিয়েও অনেক গল্প আছে, সে নাহয় আরেকদিন হবে। আসি কালকের রাতের কথায়, প্রায় তিন বছর পর বর্ষাকালের মতো করে বৃষ্টি নামল। বৃষ্টি পরলে মন এক পা বারিয়েই থাকে “খিচুড়ি” বলে। এদিকে ঘরে না আছে মনমতো সব্জি, না মজুত আছে ডিম। রয়েছে শুধু কয়েকপিস চিকেন। ভাবলাম, এতোবছর পর এমন জম্পেস বৃষ্টিতে যদি একটু ঝাল ঝাল এক্সপেরিমেন্টই না করলাম তো কি করলাম… তাই করেই ফেললাম।স্বার্থক বৃষ্টি আর স্বার্থক কাল রাতের ডিনার… এমনি কোন এক বৃষ্টির রাতের জন্য রইল এই “মাংসের খিচুড়ি”-র রেসিপি…
উপকরণঃ
- মুরগির মাংস
- গোবিন্দভোগ চাল
- মুগডাল
- মুসুরির ডাল
- ছোলার ডাল
- স্লাইজড পেঁয়াজ
- আদা বাটা
- রসুন বাটা
- বড়ো টুকরো করে কাটা আলু
- রেডিমেড চিকেন মশলা
- জিরে গুড়ো
- ধনে গুড়ো
- গরম মশলা গুড়ো
- নুন
- হলুদ
- চিনি
- কাঁচালঙ্কা
- গোটা গরম মশলা
- তেজপাতা
- ঘি
- সাদাতেল
- শুকনো লংকা
প্রণালীঃ
সাদা তেলে ও সামান্য ঘি একসাথে গরম করতে হবে।
তেল গরম হলে তেজপাতা, গোটা গরমমশলা, শুকনোলংকা ফোড়ন দিয়ে, সুন্দর গন্ধ বেরোলে, আদা-রসুন বাটা, স্লাইজড পেঁয়াজ তেলে দিয়ে কষাতে হবে।
নুন, হলুদ দিতে হবে।
পেঁয়াজ কষে এলে, চিকেনের পিস গুলো দিয়ে কষাতে হবে।
কিছু পরে সামান্য চিকেন মশলা আর বড়ো টুকরো করে কাটা আলু গুলো মাংসের মধ্যে দিয়ে একসাথে কষাতে হবে।
চিকেন কষে এলে, তেল ছাড়তে শুরু করবে মশলা, তখন ধুয়ে জল ঝরানো গোবিন্দভোগ চাল, এর মধ্যে দিয়ে চিকেন আর মশলার সাথে ভাজতে হবে।
এরপর একে একে, মুসুরির ডাল, ছোলার ডাল ও শুকনো খোলায় ভেজে রাখা মুগডাল (১: ১/২ : ১ অনুপাতে) মাংস ও চালের সাথে দিয়ে ভাজতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন মশলা নিচে লেগে না ধরে। প্রয়োজনে সামান্য জল দেওয়া যেতে পারে।
চাল যখন ট্রান্সলুসেন্ট হয়ে আসবে, তখন জিরে গুড়ো, সামান্য ধনে গুড়ো, স্বাদ অনুযায়ী নুন, কাঁচালঙ্কা দিয়ে জল দিয়ে দিতে হবে। এমন ভাবে জল দিতে হবে যাতে, চাল ডুবে গিয়েও উপরে এক কর জল থাকে।
এবার কড়াইয়ে ঢাকা দিয়ে আঁচ কমিয়ে দিতে হবে।
৪-৫ মিনিট পর ঢাকা খুলে, সামান্য চিনি, ঘি ও গরমমশলা গুড়ো ছড়িয়ে ভালভাবে মিশিয়ে দিয়ে হবে।
চাল, ডাল কতোটা সিদ্ধ হয়েছে সেদিকে খেয়াল রেখে প্রয়োজনে জল অ্যাড করে, আরো কিছুক্ষন কম আঁচে রাখতে হবে।
ব্যাস, এরপরেই রেডি মাংসের খিচুড়ি।
এক্সসেলেন্ট
থ্যাংক ইউ দাদা 🙂