ওঁ শব্দটি তিন অক্ষরে তৈরী।
অ উ ম্।
অ এর অর্থ উৎপন্ন হওয়া
উ এর অর্থ উঠা, উড়তে পারা অর্থাৎ বিকাশ।
ম এর মানে হলো মৌন হওয়া অর্থাৎ ব্রক্ষলীন হয়ে যাওয়া।
ওঁ সম্পূর্ণ ব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তি আর পুরো সৃষ্টির দ্যোতক।
ওঁ এর উচ্চারণ শারীরিক লাভ প্রদান করে।
ওঁ কিভাবে হয় স্বাস্থ্য বর্ধক আর আরোগ্যলাভের জন্য *ওঁ* এর উচ্চারণ কিভাবে সহায়ক হবে……
★ উচ্চারণের বিধি :—
সকালে উঠে পবিত্র হয়ে ওঁকার ধ্বনির উচ্চারণ করুন। ওঁ এর উচ্চারণ পদ্মাসন, অর্ধপদ্মাসন, সুখাসন, বজ্রাসনেে বসে অথবা এমনি বসে করতে পারেন। এর উচ্চারণ পাঁচ, সাত, দশ, একুশ বার নিজের সময় অনুসারে করতে পারেন। ওঁ জোরেও বলতে পারেন আবার ধীরেও বলতে পারেন।
১) ওঁ আর থাইরয়েড (Thyroid) –:
ওঁ এর উচ্চারণ করলে গলায় কম্পন উৎপন্ন হয় যার ফলে Thyroid গ্রন্থিতে Positive প্রভাব পড়তে থাকে।
২) ওঁ আর ঘাবড়ে যাওয়া –:
যদি আপনি কথায় কথায় ঘাবড়ে যান অথবা অধীর হয়ে যান তাহলে ওঁ এর উচ্চারণ থেকে উত্তম আর কিছুই নেই।
৩) ওঁ আর চিন্তা (Tension) –:
এটা শরীরের বিষাক্ত তত্ত্বকে দূর করে অর্থাৎ চিন্তার কারণে উৎপন্ন হওয়া দ্রব্যকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৪) ওঁ আর রক্তের প্রবাহ –:
এটা হৃদয় আর রক্তের প্রবাহকে সন্তুলিত করে
৫) ওঁ আর পাচন –:
*ওঁ* এর উচ্চারণে পাচন শক্তি তেজ হয়।
৬) ওঁ আনে স্ফূর্তি –:
এর দ্বারা শরীরে আবার থেকে ছোট বেলার মত স্ফুর্তির সঞ্চার হয়।
৭) ওঁ আর ক্লান্ত –:
শ্রান্ত ক্লান্ত হওয়ার থেকে বাঁচতে এর থেকে উত্তম উপায় আর কিছুই নেই ।
৮) ওঁ আর ঘুম –:
ঘুম না আসার সমস্যা এর থেকে কিছু সময়ের মধ্যেই দূর হয়। রাতে শোওয়ার সময় ঘুম আসা পর্যন্ত মনে মনে এটাকে করলে ঘুম অবশ্যই আসবে।
৯) ওঁ আর ফুসফুস –:
কিছু বিশেষ প্রাণায়ামের সাথে এটা করলে ফুসফুস মজবুত হয়।
১০) ওঁ আর মেরুদন্ড –:
ওঁ এর প্রথম শব্দ উচ্চারণ করলে কম্পন উৎপন্ন হয়। এই কম্পনে মেরুদন্ডের হাড়গুলি প্রবাহিত হয়ে মেরুদন্ডের ক্ষমতা বাড়ায়।
১১) ওঁ দূর করে ভাবনা চিন্তা –:
ওঁ এর উচ্চারণ করলে পুরো শরীর চিন্তা বিহীন হয়ে যায়।
আশা করি আপনারা এবার থেকে কিছু সময় অবশ্যই *ওঁ* এর উচ্চারণ করবেন। সাথে সাথে তাদেরও দেবেন যাদের জন্য আপনার চিন্তা আছে। নিজেদের খেয়াল রাখুন, আর খুশী থাকুন…!!!